পিংকি দির এঙ্গেজমেন্ট
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি পিঙ্কি দিদির এঙ্গেজমেন্টের কিছু মুহূর্ত।
১৬ তারিখে বৃহস্পতিবার দিন পিঙ্কিদির এনগেজমেন্ট ছিল ,এই নিয়ে আমি আগেও বলেছি। আর দিদিকে মেহেন্দি পড়ার কথাও আমি শেয়ার করেছি একটি পোষ্টের মাধ্যমে।। পিংকি দিদি এংগেজমেন্ট খুব ঘরোয়া ভাবে কিছু পরিবারের সদস্য এবং কাছের মানুষদের নিয়েই সম্পূর্ণ হয়েছিল।
তার বেশ কিছুদিন আগে পিংকি দিদি আমাকে আর ঈশানকে নিমন্ত্রণ করেছিল ওর এনগেজমেন্টে যাওয়ার জন্য। ঈশান যেহেতু স্কুলে যাবে তাই আমাকে একা যেতে হবে ,সেটা আমি প্রথম থেকেই বুঝতে পেরেছিলাম। তাও দিদি বলেছিল ঈশান না গেলে আমার মাকে নিয়ে যেতে।, ওদিকে ঈশান স্কুলে যাওয়ার আগে থেকেই ভীষণ বায়না। যে আমি স্কুলে যাব না, এংগেজমেন্টের খাওয়া-দাওয়া করতে যাব। কিন্তু স্কুলে না পাঠালেও নয়, তাই ওকে স্কুলে পাঠাতে হয়েছে।।
তাই আমি ভেবে দেখেছিলাম যখন খেতে যাব, ওর জন্য কিছু খাবার প্যাক করে নিয়ে আসব। অথবা প্যাকেজিং সিস্টেম থাকলে দিদিকে বলবো। সকাল বেলায় প্রথমেই রেডি হয়ে শোরুমে গিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ শোরুমে থেকে তারপর আমাকে মার্কেটের দিকে বেরোতে হলো।
যাই হোক পিংকিদের জন্য গিফট কিনতে চলে গেলাম একটি দোকানে। প্রথমে ভেবেছিলাম ওর জন্য শাড়ি কিংবা কুর্তি দেখব, কিন্তু যেহেতু এটা ওদের এংগেজমেন্ট, তাই ভাবলাম ওদের সংসারের কিছু জিনিস দিলে ভালো হয়।। তাই একটা ডিনার সেট কিনতে চলে গেলাম দোকানে। বেশ সুন্দর করে পছন্দ করে একটা ডিনার সেট কিনে ফেললাম। আর সেটা নিয়েই সেখান থেকে টোটো করে চলে গেলাম পদ্মরাজ লজে।
দিদির এঙ্গেজমেন্ট পদ্মরাজ লাজে হচ্ছিল। ঢুকেই দেখি দোতলাতে পিংকি দিদি আর দিদির হবু বর বসে আছে। একেবারে সেলিব্রিটি দুজন। কারণ প্রচুর ক্যামেরা ওদের ঘিরে ধরেছে। ওদের দুজনের আশীর্বাদ পর্ব চলছে। আর দিদিকে একদম রাজকুমারীর মতন দেখতে লাগছে।। এত সুন্দর করে সমস্ত কিছু ডেকোরেশন করা ছিল। আমারও খুব আনন্দ হচ্ছিল ওকে দেখে।
আর বারবার আগের দিনের মতো এটাই মনে পড়ছিল যে, আমরা কত বড় হয়ে গেলাম। আমার ভীষণ খিদে পেয়ে গিয়েছিল, কারণ আমি সকাল থেকে ঠিক ভাবে খাইনি। এ কারণেই বেশি দেরি না করে পিংকি দিদিকে গিফটটা দিয়ে ওকে বললাম যে, আমি খেয়ে আসি । নিচের তলায় খাওয়া দাওয়া চলছিল। সেখানে একা একাই বসে গেলাম। যদিও আরো অনেকে ছিল আশেপাশে।
তারপর খাবার পাতে প্রথমে দেওয়া হল ভেজিটেবিল চপ, আর স্যালাড যেটা আমার অত্যন্ত পছন্দের, আমি সমস্ত ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছি ,কারণ মাথার মধ্যে অনেক চিন্তা ঘুরছিল। তার ওপর শরীরটাও ঠিক ছিল না। তাই ছবি তুলতে ভালো লাগছিল না, পর পর বেশ ভালই খাওয়া দাওয়া হল। তারপর ওখান থেকেই আমি টোটো নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছিলাম। বাড়ি যাওয়ার আগে পিংকি দিদি ভাইয়ের জন্য প্যাকিং করে খাবারও দিয়ে দিল। যাইহোক সবমিলিয়ে বেশ ভালোই সময় কেটেছিল।
আজকে এখানেই শেষ করছি।সকলে ভালো থাকুন।
প্রথমে আপনাকে বলব, এত সুন্দর একটা আনন্দ মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোস্টটি পড়ে জানতে পারলাম, পিংকি দিদির এঙ্গেজমেন্ট আপনি উপস্থিত ছিলেন, এবং আপনার পোস্টে পিংকি দিদি বরকেও দেখলাম। দুজনকে খুব ভালোই মানিয়েছে! পিংকি দিদি এনগেজমেন্টে কি, কি হয়েছে অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালোই লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে, ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
পিংকি দিদির এঙ্গেজমেন্টে যাওয়ার অভিজ্ঞতা খুবই সুন্দর ছিল। দিদির সাথে দেখা করে তাকে উপহার দেয়ার পর, খাবারের আনন্দে মজে গেছেন, তবে ছবি তোলার সময়টা মনে হয় আপনার মাথায় কিছু চিন্তা ঘুরছিল। সবমিলিয়ে খুব ভালো সময় কেটেছিল, আশা করি ভবিষ্যতে আরো এমন সুন্দর মুহূর্ত আপনার জীবনে আসবে।