গিয়েও ফিরে আসা

in Incredible India6 days ago

নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন।আমি আপনাদের জানিয়েছিলাম জেঠিনের জন্য আমি একটি গিফট কিনেছি, তার পরের ঘটনা আমি শেয়ার করব বলেছিলাম ,তাই আজকে চলে এসেছি। আমি ভেবেছিলাম জেঠিনকে সন্ধ্যেবেলায় জেঠিনের বাড়িতে গিয়ে আমি ,মা আর বাবা মিলে এই ছোট্ট উপহারটা দিয়ে আসবো।

20250116_175221.jpg

উপহারটি কেনার সময় আমার বাবা বারবার আমাকে টাকা দিতে চেয়েছে ।রীতিমতো জেদাজেদি। কিন্তু আমি কাউকে টাকা দিতে দিইনি। কারণ আমি বুদ্ধিটা বার করেছি এবং আমিই দিতে চেয়েছিলাম। তাই আমি গিফট করব এবং আমি টাকা দেব। সত্যি কথা বলতে নিজের রোজগার করে নিজের কাছের মানুষদের কিছু দেওয়ার মজাই আলাদা।

20250116_182429.jpg

বাড়ি আসার পর হঠাৎ শুনছি একটা নাকি নতুন প্ল্যান হয়েছে। আমাদের বাড়ি আর জেঠুদের বাড়ি মিলে মাঝেমধ্যেই হুটহাট করে এদিক ওদিক বেরোনো হয়। সেদিন যেহেতু বৃহস্পতিবার ছিল, জেঠি নাকি বলেছে শিবনিবাস যাবে। আমার বাবা তাই পুরোপুরি রাজি হয়ে গিয়েছিল। বাড়ি এসেই শুনছি শিবনিবাস যেতে হবে।

20250116_182437.jpg

এদিকে সবাই হুটোপাটা করছে আর ওদিকে স্কুল থেকে ঈশান এখনো পৌঁছয়নি। আমরা সবাই রেডি হয়ে গিয়েছি, ঈশান স্কুল থেকে ফিরতে ফিরতে সাড়ে চারটে বাজিয়ে দিল। তারপর খাওয়া দাওয়া করে বেরোতে বেরোতে পাঁচটা পার হয়ে গেল।

20250116_182441.jpg

তারপর বাড়ি থেকে বার হতে হতে মোটামুটি সাড়ে পাঁচটা হবে। আমরা সবাই জানি যে মন্দির তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু জেঠু বার বার বলছিল মন্দির সাড়ে ছটায় বন্ধ হয়।। এই দোটানা করতে করতে আমরা পৌঁছে গেলাম শিব নিবাসে। শিবনিবাস আমাদের বাড়ি থেকে আমাদের গাড়ি করে মোটামুটি ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টার মতো লাগে। ছ'টা নয় নাগাদ যখন আমরা পৌঁছলাম। আমরা রীতিমত অবাক। কারণ মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে গেছে ততক্ষণে।

20250116_183141.jpg

ওখানে গিয়ে জানতে পারলাম মন্দির রোজ ছটার সময় বন্ধ হয়ে যায়। ঠাকুরের জন্য ফুল, মিষ্টি ,যা যা পুজোর জিনিসপত্র এনেছিলাম সব আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হলো।। জেঠিনেরও মনটা খারাপ হয়ে গেল। হয়তো ঠাকুর চাইনি, আমরা এরকম স্নান না করে ভাত টাত খেয়ে পুজো দিতে আসি।

20250116_183123.jpg

তাই আমরা ঠিক করলাম পরের দিন আবার আসব। সকাল সকাল এসে পুজো দিয়ে যাব। কি তাড়াহুড়ো করে আমরা মন্দির অব্দি এসেছিলাম ।আবার ফিরে চলে যেতে হল। সবই ঠাকুরের কৃপা। উনি না চাইলে গাছ থেকে একটা পাতাও পড়ে না। ঠিক যেভাবে এসছিলাম ফেরার সময় ঠিক সেভাবেই আস্তে আস্তে ফিরতে লাগলাম। এর পরের পোস্টে বাকি ঘটনা শেয়ার করছি।আজকে এখানেই শেষ করছি।

Sort:  
Loading...
Loading...
 5 days ago 

কোনো কিছু না হলেও, মন্দিরে যাওয়ার সময় যে তাড়াহুড়ো হয়েছিল, তা আপনার গল্পে বেশ উপভোগ্য মনে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ঠাকুরের ইচ্ছাতেই সব কিছু ঘটেছে, এটা এক ধরনের শান্তি। আশা করি পরের দিন পুজো দিতে গিয়ে মনের শান্তি পাবেন।

 5 days ago 

আপনার পোস্টটি পড়ে মনে হলো, কখনো- কখনো জীবন আমাদের পরিকল্পনার মতো কাজ করে না, কিন্তু শেষে আমরা বুঝতে পারি, সবই সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা। মন্দিরে পুজো দিতে না পারা, হতাশাজনক হলেও, পরের দিন আবার নতুন করে চেষ্টা করার ইচ্ছা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

 2 days ago 

আসলে একটা জায়গায় যাওয়ার আগে ওই জায়গা সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে শুনে নেয়াটা উত্তম আপনার ওখানে গিয়েছেন অনেকটা দেরি করে তাই আপনাদেরকে ফিরে আসতে হয়েছে তবে আপনারা আবারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আবারো যাবেন যেটা জানতে পেরে ভালো লাগলো আশা করি আপনার পরিবারের প্রত্যেকটা মানুষের মুখে হাসি ফুটবে যখন আপনারা ওই জায়গায় আবার সঠিক সময় যেতে পারবেন অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.23
JST 0.033
BTC 97751.69
ETH 2680.88
SBD 2.83