বৃষ্টি মাথায় বাজার
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি বিশ্বকর্মা পূজোর আগের দিনের গল্প ।
পুজোর আগের দুদিন ধরে প্রচন্ড পরিমাণে বৃষ্টি । বৃষ্টি এমনই ভাবে হচ্ছিল,যে বাড়ি থেকে বেরোনো একদম পসিবল ছিল না। কিন্তু যেহেতু আমাদের কারখানায় বিশ্বকর্মা পূজো করা হয় তাই বাজার যেতে হতো। এদিকে আপনারা যারা আমার পোস্ট রেগুলার পড়ে থাকেন তারা হয়তো জানবেন আমি পুজোর বাজার করতে ভীষণ ভালোবাসি। আর আমার বাড়িতে যত পুজো হয়, বাজার ঘাট আমি করি।
বৃষ্টির মধ্যে আমি ভেবেছিলাম বাজার করতে যাব না ।কিন্তু অবশেষে যখন দেখলাম যে আমি ছাড়া সম্ভব নয় ,তখন আমাকে যেতে বাধ্য হতে হল। কারণ এছাড়াও আমার কিছু কাজ ছিল। পুজোর আগের দিন সকালবেলায় তাই ভাবলাম বৃষ্টি থামলে একটু বেরোবো বাজার করতে। যখন বৃষ্টি থামল আমি আমার দাদার সাথে বাজার করতে বেরিয়ে গেলাম। আমি যখন টোটো করে বাজার যাচ্ছি ,হঠাৎ করে আবার ঝমঝম করে বৃষ্টি শুরু হল। বাজার পৌঁছতে পৌঁছতে বৃষ্টিটা এতটাই জোরে আসলো ,যে বাজারে দাঁড়িয়ে গেলেও আমি ভিজে যাব।
সঙ্গে ছাতা নিয়ে বেরিয়েছিলাম তাই সে যাত্রায় বেঁচে গেছি। প্রথমে আমরা চলে গেলাম ফলের দোকানে। ফলের দোকানে গিয়ে পাঁচ রকমের ফল অনেকগুলো করে নিয়ে নিলাম। তারপর চলে এলাম দশকর্মার দোকানে। খুব সোজা ।দশকর্মা দোকানে এসে বলে ফেললাম বিশ্বকর্মার দশকর্মা জিনিসপত্র দাও। তারপরে তারা দশকর্মা জিনিসগুলো ধরিয়ে দিল। এর সাথেই আমাদের যেহেতু হোম করা হয় ,হোমের জিনিসগুলো কেনা হলো। তারপর আমরা বাতাসা ,মুড়ি ,মুরকি এই সমস্ত কিছু কিনলাম।
ফুলের সেকশনটা পরের দিন সকালের জন্যই রাখলাম ।কারণ ফুল আগের দিন নিলে শুকিয়ে যাবে ,আর বৃষ্টির মধ্যে ফুল গুলো কেমন পচা পচা দেখতে লাগছিল ,বাজারের মধ্যে তাই ফুলের দিকে হাত বাড়ালাম না। এবার এখান থেকে আমার যাওয়ার কথা ছিল অন্য জায়গায়। আর দাদা সোজা চলে যাবে কারখানার দিকে। সাথে ঠাকুরটাও কিনতে হবে। তাই দাদা টোটো নিয়ে ঠাকুর কিনে সোজা চলে গেল কারখানার দিকে।
আর এইদিকে আমি এক বিশিষ্ট মানুষের সাথে চলে গেলাম আমার কাজের জায়গায়। আসলে আমি কিছুদিন আগে একটা পাঞ্জাবি কিনেছিলাম আমাদের প্যান্টালুন্স থেকে ,কিন্তু সেটা চেঞ্জ করতে হবে। যার জন্য কিনেছিলাম তার সেটা একদমই পছন্দ ছিল না। এ কারণে আমি ভাবলাম চেঞ্জ করে বাবার জন্য কিছু একটা নিয়ে নিই। বৃষ্টি যখন ঝমঝম করে পড়ছে ,বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে বেরোবো। কারণ প্যান্টালুনস ওখান থেকে অনেকটাই দূর। এদিকে বাইকে করে যেতে হবে। বাইকটা যে অন্য কোথাও রেখে যাবো সেটারও উপায় নেই। অবশেষে ৫-৬ মিনিট পরে আপনা আপনি বৃষ্টি থেমে গেল।
তারপর আমরা যেতে পারলাম ।বৃষ্টির দিনে এভাবে বাইকে বসে ঘুরতে খুব ভালো লাগে। হালকা হালকা বৃষ্টি পড়লেও দুর্দান্ত মজা লাগে ।ওয়েদারটা এতটা রোমান্টিক ছিল যে বলে বোঝাবার নয়। ১০ মিনিটের মধ্যে প্যান্টালুনস পৌঁছে গেলাম। তারপর বাবার জন্য শার্টটাও নিয়ে নিলাম। আর তারপর ফিরে এসে মার্কেটের মধ্যেই একটা ক্যাফেতে বসে পড়লাম।
দুজন মিলে গল্প করতে করতে পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার করে দিলাম। আমি যেখানেই যাই মিষ্টি জাতীয় জিনিস খাই ।তো সেই মতোই আমি একটা পাইনাপেল মুজ অর্ডার করেছিলাম। এরপরে ওখান থেকে আমাকে আবার অন্য জায়গায় যেতে হয়েছিল ।সে ঘটনা আপনাদের সাথে পরে শেয়ার করব। আজকে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন ।সুস্থ থাকবেন।
Your post has been rewarded by the Seven Team.
Support partner witnesses
We are the hope!
বিশ্বকর্মা পুজোর আগে যে হারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমি তো ভাবলাম বৃষ্টি থামবেই না। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বিশ্বকর্মা পুজো বাজার করেছ। পছন্দ করে পাঞ্জাবি টা কিনে আবার চেঞ্জ করে নিয়েছো। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে বাজার করেছো। তোমার পুজোর বাজারের গল্প পড়ে খুব ভালো লাগলো।