গনেশ চতুর্থী|| শেষ পোস্ট
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। গত দুদিন ধরে আমি গনেশ পুজোর অনেক কিছু শেয়ার করেছি। আজকে গনেশ পুজো নিয়ে আমার শেষ পোস্ট। আজকে আমি পুজোর সমস্ত কিছু , পুজো করার সমস্ত যাবতীয় মুহূর্তগুলো তুলে ধরছি। আমি আপনাদের বলে ছিলাম পুজোর সমস্ত কিছু আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। আর আমার মনে হয়েছে, আজকে যেগুলো শেয়ার করছি ,সেগুলো আপনাদের ভাল লাগবে।
ব্রাহ্মণ আসার পর, নানান রকম জোগাড় করতে লাগলেন। অন্যান্য পূজোর থেকে এই পুজোর ফর্দ বড় ছিল। আমরা যে কতকিছু কিনেছিলাম । তার ঠিক নেই। ঠাকুর মশাই এসে শুরু করে দিলেন। আমি শুধুমাত্র অপেক্ষা করছিলাম গণেশ ঠাকুরের স্নানের জন্য। এদিকে সকাল থেকে ভোগ রান্না করতে করতে, আলুর দম শেষ যখন রান্না চলছে, তখন ঠাকুর মশাই ঢুকেছেন। আমি তাড়াতাড়ি আলুর দম কাকিমার হাতে ছেড়ে দিয়ে। রেডি হতে চলে গেলাম।
কারণ আমার ভীষণ ইচ্ছা ছিল জন্মাষ্টমীর দিন যেহেতু সব করতে গিয়ে সাজুগুজু করতে পারিনি, তাই গণেশ পুজোর দিনকে সুন্দর করে সাজুগুজু করব। তাই পছন্দের হলুদ রঙের একটি শাড়ি পরলাম। শাড়ি পড়তে আমাকে কাকীমা খুব হেল্প করলো। আমি কখনো এইভাবে শাড়ি পড়িনি। আমি দেখেছি এইভাবে অনেকজনকেই শাড়ি পড়তে। শাড়ি পরার ধরন তো বিভিন্ন রকম রয়েছে। তবে সবকিছুর মধ্যে আমার আঁচল ছেড়ে শাড়ি পরতে আর এভাবে শাড়ি পড়তে বেশি ভালো লাগে।
প্রথমবার জীবনে এরকম ভাবে শাড়ি পড়ে নিজের দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। আয়নার দিকে কতবার যে ঘুরঘুর করেছি তার নেই ঠিক। আমিও সাজুগুজু করে পূজার ওখানে গিয়ে বসলাম। আমি জানি গণেশ ঠাকুরও আমাকে দেখে একটু হলেও ইমপ্রেস হয়েছেন। হাহাহা।
যাই হোক গণু বাবুর স্নান শুরু হল। থালা ভর্তি করে কত ধরনের জিনিসপত্র সাজানো হলো ওনাকে স্নান করানোর জন্য। ঘি ,মধু ,দুধ ,দই ,গোলাপ জল, গঙ্গাজল , অগ্রুর ,আরো কত নাম না জানা জিনিস। আমার বাবা এবং আমাদের বাড়ির ব্রাহ্মণ মিলে এক এক করে সেই জিনিসগুলো দিয়ে গণেশ ঠাকুরের মূর্তিকে স্নান করাতে শুরু করল। এই সময় এত সুন্দর লাগছিল বলে বোঝাবার নাই।
স্নান হয়ে যাওয়ার পর আবার সুন্দরভাবে সাজিয়ে আসনে বসিয়ে দেওয়া হলো মূর্তিটি। ঠাকুরকে এত সুন্দর দেখতে লাগছিল। বাবা শখ করে সোনার টিপ কিনে নিয়ে এসেছিল। সেটাও পরিয়ে দেওয়া হলো। তারপর ব্রাহ্মণ পূজা শুরু করল। আমাদের এই ব্রাহ্মণ ভীষণ ভালো পাঠ করেন। মন্ত্র শুনে আমার গায়ে কাটা দিচ্ছিল। যখন প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য মন্ত্র উচ্চারণ করছিলেন, তখন আমাদের ব্রাহ্মণ বলেছিলেন অন্যদিকে মুখ করে থাকতে।
আমি জানিনা ওই সময় আমাদের সকলেরই কেমন গায়ে কাটা দিয়ে উঠেছে।
আসলেই আমারে চারিদিকে একটা পজিটিভ শক্তি বিরাজ করে ,সেটাকে যদি আমরা ফিল করতে চাই অবশ্যই ফিল করতে পারি।
তারপরে আমরা অঞ্জলিও দিলাম। সুন্দর করে আরতি হলো। এর সাথে বেশ ভালো করে হোম হল। হোমের সময় আগুন টা কত উঁচুতে উঠেছিল। সারা ঘর সুগন্ধতে ভরে গিয়েছিল। খুব ভালোভাবে মনে শান্তি করে পুজো দিতে পেরেছি।
সবটুকু কাজ নিজের হাতে করতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। ইচ্ছা আছে প্রত্যেক বছর ঠিক এইভাবে পুজো করার। জানিনা ভগবান কি করবেন। তবে বাড়িতে পূজো অর্চনা করা ভালো। গনেশ পুজোর আজকেই শেষ পোস্ট ছিল। শেয়ার করতে পেরে খুব ভালো লাগলো। সকলে ভালো থাকবেন ।সুস্থ থাকবেন।
TEAM 4
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator06. Good post here should be..