জেঠিনের জন্য উপহার
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত।
যাইহোক ১৬ তারিখ অর্থাৎ এই ১৬ ই জানুয়ারি সকালবেলায় হঠাৎ বাবা জেঠিনের বাড়ি থেকে ফোন করে বলে যে ,জেঠিনের নাকি আজকে বার্থডে, আমি তো জানতাম না কারণ, আমার জন্মদিনের ডেট মনে ছিল না । শোনার সাথে সাথে আমি জেঠিনকে উইশ করলাম ,আর ভেবেও নিয়েছিলাম জেঠিনকে এবার একটু ভালো উপহার দেব।
কিছুদিন আগে জেঠিন আমার জন্য বানানো একটি সোনার আংটি দেখে ভীষণ পছন্দ করেছিল। বলছিল আংটিটা খুবই সুন্দর দেখতে হয়েছে। জেঠিনের মুখ দেখে বুঝে গিয়েছিলাম যে আংটিটা খুব পছন্দ হয়েছে জেঠিন এর। এবং সাথে সাথে আমি সেদিনই জেঠিনকে বলেছিলাম যে , আমি খুব তাড়াতাড়ি তোমার জন্য ওরকম একটা আংটি কিনে নেব।
জেঠিন হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল আর বলেছিল তুই যে এটা বলেছিস ,এটাই যথেষ্ট ।পাগলি এসব একদম করতে যাবি না। জেঠিনকে আমি মায়ের মতন ভালোবাসি ।বলতে গেলে আমার আর এক মা। ছোটবেলা থেকে ওনার কাছে মানুষ হয়েছি। আমার জেঠিন বলতে আমার বাবার বন্ধুর বউ। আমার বাবাও ওনাকে দিদি বলে ডাকে।
আমরা সকলেই জেঠু জেঠিনকে খুবই ভালোবাসি। তাই বেশি দেরি না করে আমি ভেবেছিলাম পিংকি দিদির জিনিস কিনতে যাওয়ার আগে ,জেঠিনের জন্য জিনিস কিনে নেব। আর তারপরে পিংকি দিদির সাথে পিঙ্কি দিদির এঙ্গেজমেন্টে এটেন্ড করে বাড়ি ফিরে আসব। তারপর সন্ধ্যার দিকে জেঠিকে গিফট টা দেব।
কেউ বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা তবে এই প্লাটফর্মে কাজ করে আমি আমার জন্য সোনার জিনিস তৈরি করেছি বেশ ।আমার মনে হয়েছে যে নিজের মানুষদের জন্য এটুকুনিও করা যেতেই পারে। এই প্লাটফর্মে কাজ করেই আমি আমার মা বাবার জন্য সোনার জিনিস তৈরি করে দিয়েছি। যাবতীয় তাদের যা গিফট করেছি এবং আমার কাছের মানুষদের আমি যা গিফট করে থাকি, সব এই প্লাটফর্মের ইনকাম থেকে।
এবার অনেকেই ভাবতেই পারেন এত বাড়াবাড়ি করছে কেন। আমার কাছে মনে হয় ,মা বাবা গুরুজনেরা আমাদের সাথে যে কদিন আছে ,তাদেরকে মাথায় তুলে রাখা উচিত।। তাদের ছায়াতলেই আমাদের বেড়ে ওঠা ,তাদের শিক্ষাতেই আমাদের কাজ করতে পারা। তাহলে কাজ করে যদি তাদের জন্য কিছু না কিনতে পারি, তাহলে আমার কাজ করাই বৃথা।
তাই সকাল বেলায় আমি সোজা গিয়ে আগে জেঠিনের জন্য কিনে ফেললাম একটি সোনার আংটি। আংটিটা আমার আংটির মতন না হলেও , অনেকটা একই রকম। আমারটাই মিনা করা , তবে জেঠিনের আংটিটায় মিনা করা পাইনি। আমি এখানে টাকার হিসাব বলছি না, তবে আংটিটা মোটামুটি পাঁচ গ্রাম সোনার। আর সেদিন পার গ্রাম সোনা ৭৩৫০টাকা ছিল।
আমি এত হুটোপাটার মধ্যে ছিলাম যে আমি কোনরকম ছবি তুলতে ভুলে গেছি। সোনার দোকানের ছবি তুলতেও আমার খেয়াল নেই। তবে কৃষ্ণনগরের একটি জুয়েলার্স আধুনিক জুয়েলার্স থেকে আমি এই আংটিটি কিনেছি। পরবর্তী ঘটনাগুলো আমি আপনাদের সাথে পরের দিন শেয়ার করব।
Curated by: @ahsansharif
বাহ যেটি কে খুব সুন্দর সারপ্রাইজ উপহার দিয়েছো। আসলে বড়োরা সবসময়ই ছোটদের সারপ্রাইজ দেয় ছোটদের কে আনন্দ দেওয়ার জন্য। কিন্তু ছোটদের কেউ ঠিক এই ভাবেই বড়দের মাঝে মাঝে সারপ্রাইজ দিয়ে চমকে দিতে হয়। তোমার যেদিনকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। তবে যেদিনের উপহারটা খুব সুন্দর হয়েছে।
আপনার জেঠিনের প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা সত্যিই অনুকরণীয়। জন্মদিনে তার জন্য সোনার আংটি উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্তটি আপনার উদার মন ও পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতার প্রতিফলন। নিজের পরিশ্রমের উপার্জন প্রিয়জনদের জন্য ব্যয় করতে পারা সত্যিই আনন্দের। পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।
বড়দের জন্য এমন সুন্দর সারপ্রাইজ উপহার দেওয়া সত্যিই বিরল, এবং এটি একটি সত্যিকারের ভালোবাসার প্রকাশ।
আপনার ভালোবাসা ও আন্তরিকতা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ী। জেঠিনের জন্য সোনার আংটি উপহার দেওয়ার ভাবনা এবং তার প্রতি আপনার শ্রদ্ধা দেখে সত্যিই ভালো লাগলো। এটা প্রমাণ করে যে, পরিবারের প্রতি আমাদের ভালোবাসা এবং যত্ন কখনোই মূল্যহীন হয় না। এত সুন্দর একটি বিষয়বস্তু নিয়ে, আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমাদের এখানে বলা হয়ে থাকে বড় আম্মু যারা কিনা আমাদের ছোটবেলা থেকে অনেক আদর করে মানুষ করে আসলে তাদেরকে আমরা যখন একটা বয়সের পরে এসে কোন উপহার দেই তখন তাদের কাছে সেটা অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার বড় আম্মুর জন্য গিফট কেনার মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।