Better Life with Steem||The Diary Game|| 8 June 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: একটি সুন্দর দিন অতিবাহিত করলাম।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করে বাড়িতে এসে হাত মুখ ধৌত করে ফ্রেশ হই। যাইহোক এরপর আমার ওয়াইফকে সকালের নাস্তা দিতে বলি।
তখন আমার ওয়াইফ সকালের নাস্তার পরিবর্তে আমাকে কিছু আপেল দিয়ে যায়। তখন আমি সেই আপেল গুলো খেয়েছিলাম। আপেল খেয়ে ১৫ মিনিট পর আবার সকালের নাস্তা সম্পূর্ণ করি। সকালের নাস্তা সম্পন্ন করে সরাসরি স্কুলে চলে যাই।
কারণ স্কুলে যেতেতু অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই নয়টার পরেই স্কুলের দিকে চলে যাই। স্কুলে চলে গিয়ে সরাসরি অফিস রুমে গিয়ে খাতা গুলো নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করি। পরীক্ষার হলে প্রবেশ করে ছাত্র-ছাত্রীদের কে খাতা দেওয়া হয়। তাদেরকে খাতা দিলে তারা তাদের নাম এবং রোল, শ্রেণী লিখতে থাকে।
আর যখন সকাল দশটা বাজলো। তখন ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রশ্ন দিয়ে দেয়া হয়। যখন আমরা ছাত্রছাত্রীকে খাতা দেই। তখন তারা লেখা শুরু করে। যাইহোক আজকের যে পরীক্ষা হয়েছিল।সেই পরীক্ষা টা ছিল সামাজিক বিজ্ঞান।
এই পরীক্ষাটা দশটা থেকে শুরু হয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত পরীক্ষাটা চলেছিল। যাইহোক যখন দুপুর একটা বাজলো। তখন ছাত্রছাত্রীরা খাতা জমা দিয়ে, তারা তাদের বাড়িতে চলে যায়। আর আমরা খাতাগুলো অফিসে জমা দিয়ে সকল শিক্ষকরা যার যার মত বাড়িতে চলে আসি।
আমি যখন বাড়ির দিকে আসতেছিলাম। তখন পাশের বাড়ির বাহির সাইটে একটা সুন্দর বাচ্চা গরু দেখিতে পেলাম। তখন দেরি না করে আমি সেই বাচ্চা গরুর একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো।
যাইহোক বাচ্চা গরুর ছবি তুলে সরাসরি বাড়ির দিকে চলে আসি। বাড়িতে এসে ফ্রেশ হলে মা আমাকে বলে আমার ভাতিজা নাকি দুপুরের জোহর নামাজের পর তাদের বাড়িতে মিলাত দিবে। এজন্য আমাকে আগে হতেই দাওয়াত করেছিল।
এরপর আমি যখন স্কুল থেকে বাড়িতে আসলাম। তখন মা আমাকে আবার ভাতিজার কথা বলল, তখন আমি সরাসরি দুইটার ভাতিজা বাড়িতে চলে গেলাম। ভাতিজার বাড়িতে চলে গিয়ে দেখতে পেলাম হুজুর মিলাদ শুরু করে দিয়েছে।
তখন আমিও সেই মিলাতে অংশগ্রহণ করেছিলাম।আর মিলাদ যখন শেষ হলো। তখন আমাদের সকলের জন্য খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তখন আমরা নির্দিষ্ট স্থানে বসে গিয়ে সেখানে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করি।
আর দুপুরের খাবার হিসেবে ছিল গরম গরম ভাতের সাথে গরুর মাংসের পিটুলি। আলহামদুলিল্লাহ দুপুরের খাবারটা অনেক ভালো ছিল।যাইহোক দুপুরের খাবার সম্পন্ন করে আমি সরাসরি বাড়িতে চলে যাই।
বাড়িতে চলে গিয়ে ঘড়িতে লক্ষ্য করলাম দেখতে পেলাম বিকাল তিনটা বেজেছে। তখন আমি বাড়িতে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম। বিশ্রাম নিয়ে এভাবে যখন বিকাল পাঁচটা বাজলো। তখন আমার ওয়াইফ একটা বোরকা কিনবে এই কথা আমাকে বলল,
তখন আমি এবং আমার ওয়াইফ বাজারে গিয়ে আমার ওয়াইফের জন্য একট বোরকা কিনেছিলাম। আর বোরকাটার দাম হিসেবে নিয়েছিল বারোশো টাকা। যাইহোক বারোশো টাকা দিয়ে বোরকাটা বাড়িতে নিয়ে এসে একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম।
যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। আর এভাবে যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো। তখন আমরা কিছু সময় রুমে বসে থেকে আলাপ গল্প করে সময় অতিবাহিত করি।
এভাবে ২ জনে বসে থেকে সময় অতিবাহিত করতে করতে যখন রাতটা আটটা বাজলো। তখন আমরা সকলে মিলে একসাথে রাতের খাবার সম্পন্ন করেছিলাম।আর রাতের খাবার সম্পূর্ণ করে যখন আমি ঘুমিয়ে পড়বো।
তখন এ সময় আমার এক গ্লাস দুধ এনে আমাকে দিয়ে যায়। তখন আমি সেই দুধ খেয়েছিলাম। দুধটাকে খেয়ে রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। যাইহোক এটাই ছিল আমার ঐইদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
আপেল খাওয়ার পর সকালের খাবার কেয়ে স্কুলে চলে গিয়েছিলেন। যেটা আপনার কর্মস্থল। স্কুলে ছাত্র ছাত্রীদের পরিক্ষা থাকলে শিক্ষকদের অনেক চাপের মধ্যে থাকতে হয় এটা আমরা জানি। গরুর ছোট বাচ্চাটা দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আজ স্ত্রীকে নিয়ে বাজার থেকে বোরকা কিনে এনেছিলেন। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম জানতে পেরে। ভালো থাকবেন।
সকালবেলা প্রতিদিনের মতন গোসল করে স্কুলে চলে যান। ফেরার পথে বাছুরের ছবি তুলেছেন। বাছুরটা দেখতে খুব সুন্দর। ভাতিজার বাসায় মিলাদের দাওয়াতে গিয়েছিলেন।কোন ভাষায় মিলাদ হলে আমরা আত্মীয়-স্বজনকে সবার আগে দাওয়াত করি। দুপুরে সেখানেই খেয়েছেন। তারপর স্ত্রীকে বোরকা কিনে দিয়েছেন। সুন্দরভাবে আপনার দিনটি অতিবাহিত হয়েছে। ধন্যবাদ আপনার দিনলিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।