Better Life with Steem||The Diary Game|| 25 May 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বন্ধুরা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমিও আল্লাহতালার অশেষ রহমতে ভালো আছি। যাইহোক প্রচন্ড ঝড়ের কারণে তিনদিন যাবৎ আমাদের এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। এজন্য তিনদিন মোবাইল বন্ধ ছিল।এজন্য তিনদিন আমি পোস্ট করতে পারিনি।
যে ঘূর্ণিঝড়টি হয়েছে সেই ঘূর্ণিঝড় টির নাম হল রিমেলের। এই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের প্রায় অধিকাংশ জায়গায় আঘাত এনেছে। বিশেষ করে এই ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রামে বেশি ক্ষতি করেছে। যাইহোক আল্লাহতালার ইচ্ছাতে সব হয়। আল্লাহ তায়ালার আমাদেরকে এই কঠিন মুসিবত থেকে যেন হেফাজত করে,
এটাই আল্লাহর কাছে চাইতে হবে।আল্লাহতালা যেন সকলকে হেফাজত করেন এবং এই ঘূর্ণিঝড়ে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদেরকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দিন। যাইহোক এখন আমার লেখা শুরু করা যাক।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে ফ্রেশ হয়ে রুমে এসে আমার ওয়াইফ কে সকালের নাস্তা দিতে বলি। তখন আমার ওয়াইফ সকালের নাস্তা দিয়ে যায়। সকালের নাস্তা দিলে আমি সকালের নাস্তা সম্পন্ন করি।আর আজকের সকালের নাস্তা হিসেবে ছিল গরম গরম ভাতের সাথে ডিম ভাজি এবং পল্লাভাজি।
যাইহোক সকালের নাস্তা সম্পন্ন করে, পূর্বের মতো স্কুলে চলে যায়। স্কুলে গিয়ে অফিস কক্ষে বসে থেকে আমি এবং সকল শিক্ষকেরা মিলে কিছু সময় আলাপ-আলোচনা করি।একপর্যায়ে যখন দশটা বাজলো। তখন আমাদের দপ্তর সাহেব ক্লাসের ঘন্টার বেল দিলে,
আমরা সকলে ক্লাসে গিয়ে ক্লাস নিয়েছিলাম। এভাবে আমাদের ক্লাসটা সকাল দশটা হতে দুপুর দুইটা পর্যন্ত একটানা ৮ টা ক্লাস নিয়ে স্কুল ছুটি দেওয়া হয়। যাইহোক স্কুল ছুটি দিলে ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে চলে যায়।
আমিও বাড়িতে চলে আসি। যাইহোক বাড়িতে চলে এসে কিছু সময় বিশ্রাম নিই এবং বিশ্রাম নিয়ে কিছুক্ষণ পরে আমার বউকে দুপুরের খাবার দিতে বলি। তখন আমাকে দুপুরের খাবার দেয়। আমি তখন দুপুরের খাবার সম্পন্ন করি।
দুপুরের খাবার সম্পন্ন করে কিছু সময় রুমে বসে থাকি। বসে থাকার এক পর্যায়ে আমার মামাতো ভাই আমাদের বাড়িতে আসলো। বাড়িতে এসে আমাকে বলল আমার নাকি নাটুয়ারপাড়া বাজারে যেতে হবে। তাই সে আমাকে সাথে নিয়ে নাটুয়ারপাড়া বাজারে গিয়েছিল।
নাটুয়ারপাড়া বাজারে আমরা একটা অটো গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে চললাম।গাড়িতে বসা অবস্থায় আমি একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম। এটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। ছবিতে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন। আমি একটা অটোগাড়ি করে সেই নাটুয়ারপাড়া বাজারে যাচ্ছি।
নাটুয়ারপাড়া বাজারে অটো গাড়ি করে যেতে ১০ মিনিট লেগেছিল। ১০ মিনিট পর নাটুয়ারপাড়া বাজারে নামলাম।নাটুয়ারপাড়া বাজারে নামলে নাটুয়ারপাড়া বাজারে রাস্তার পাশে দেখতে পেলাম, যাত্রীদের জন্য একটা ঘর তৈরি করছে। কারণ দেখা যায় বৃষ্টি হলে, যাত্রীদের সমস্যা হয়ে যায়।
এজন্য যাত্রীদের জন্য একটা ঘর তৈরি করছে।ঘর যে তৈরি করছে,সেই জায়গায় দেখতে পেলাম রাস্তার পাশ দিয়ে ইটের খোয়া ভেঙ্গে রেখেছে। তখন আমি একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবি তুলে নাটুয়ারপাড়া বাজারে গিয়ে আমি এবং ছোট ভাই আমাদের কাজটা সম্পন্ন করি।
কাজটা সম্পন্ন করে কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে দুজনে ঘোরাঘুরি করি। দুজনে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যা ছয়টার আগেই বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফিরে এসে ফ্রেশ হই। ফ্রেশ হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ঢাকা হতে আপু ফোন করেছিল।
ফোন করে আমার মার সাথে এবং বাবার সাথে কথা বলেছিল।আমি এবং আমার ওয়াইফ ও কিছু সময় আপুর সাথে কথা বলি। কথা বলার সময় দেখতে পেলাম আপু একটা পোষা বিড়াল আছে সেই বিড়ালটা ভিডিও কলে আমাদেরকে দেখাচ্ছে।
এ সময় আমি সেই বিড়ালের স্ক্রিনশটের ছবি তুলে রাখি। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। বিড়াল টা দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। কারণ বিড়ালটা দেখতে খুবই সুন্দর। বিড়ালটা আপু খুব আদর করে এবং আদর যত্ন করে প্রতিদিন দুইটি মাছের চাকা, দুধ ভাত খাওয়ায়।
আপু বিড়ালটাকে খুব আদর যত্ন করে, বিড়ালটাও খুব ভালো আচরণ করে আপুদের সাথে কোন দুষ্টামি করে না। এমনকি কোন প্রকার ক্ষতিও করে না। তাই আপু বিড়ালটিকে খুব ভালোবাসে। যাইহোক এভাবে প্রায় ভিডিও কলে ৪০ মিনিটের মত কথাবার্তা হয়।
কথাবার্তা শেষ হলে আমরা রাত আটটার দিকে সকলে মিলে রাতের খাবার সম্পন্ন করি। রাতের খাবার সম্পূর্ণ করে কিছু সময় অনলাইনে সময় দিয়ে, রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমে পড়ি। আর এটাই ছিল আমার ঐইদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
যে ঘূর্ণিঝড় আমরা পার করেছি সেটা অনেক ভয়ঙ্কর ছিল। তবে চট্টগ্রাম এলাকার দিকে অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা হয়তোবা খুব কম দেখতে পেয়েছি। আপনি বাড়ি ফিরে এসেছেন আপনার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম। কেননা আপনার মা এবং আপনার ওয়াইফ এর কথা আপনি আপনার পোস্টে তুলে ধরেছেন।
বিড়াল খুবই শান্ত প্রিয় একটা প্রাণী, আর এই বিড়াল পালন করতে বর্তমান সময়ে সকালেই পচ্ছন্দ করে। আপনার আপুর বিড়ালটা খুব সুন্দর। আর আপনি যেহেতু এতদিন ওখানে ছিলেন। তাই আপনার সাথেও তো আর বেশ ভালো ভাব হয়ে গেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারনে আমাদের এখানেও কারেন্ট ছিলো না তবে এখন সব ঠিকঠাক রয়েছে। আপনার এখানেও ঝড় হয়েছ জেনে খারাপ লাগলো। ঘড়টা অধিকাংশ জায়গাতেই আঘাত এনেছে এবং সব জায়গাতে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আপনার আপুর বিড়ালটি বেশ আদুরে সেটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আমারও বিড়াল আছে এবং তাকেও আদর করতে হয়। ভালো লাগলো আপনার কার্যক্রম পড়ে। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন
কয়েকদিন আগে যে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক জেলায় সব থেকে বেশি আঘাত হেনেছে। যাক, তারপরও আমরা সুস্থ আছি এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
ঘুম থেকে উঠে সকালের খাবার খেয়ে স্কুলে গিয়েছেন। স্কুলের সব ক্লাস শেষ করে আবারো বাসায় এসে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। দুপুরের পর আপনার মামাতো ভাই আপনাকে নিয়ে নাটুয়ারপাড়া বাজারে গিয়েছে।
সারাদিনের মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে সেই অনুযায়ী মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন
এই ঝড়ের পর থেকে প্রতিটি এলাকায় বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের সমস্যা হয়েছে আর এর ফলে অনেকেই অফলাইনে ছিল।। প্রতিদিনের মতো আজকে স্কুলে গিয়েছিলাম এছাড়াও মামাতো ভাইয়ের সাথে বাজারে গিয়েছেন।। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন।।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।ভালো থাকবেন