Better Life with Steem||The Diary Game|| 20 May 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: আজকের দিনটি ভ্রমণের মধ্যে দিয়ে কেটে গেল।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে ফ্রেশ হই।ফ্রেশ হয়ে খুবই তাড়াতাড়ি আমার আপুকে সকালের নাস্তা দিতে বলি। কারণ আজকে যেহেতু ঢাকা হতে বাড়িতে যাব।
এজন্য আপুকে খুব তাড়াতাড়ি সকালের খাবার দিতে বলি। কারণ সকালের খাবার খেয়ে সরাসরি বাসস্ট্যান্ডে চলে যাব। এজন্য আপুকে তাড়াতাড়ি খাবার দিতে বললে আমাকে খাবার দেয়। তখন আমি সকালের খাবার সম্পন্ন করি।
আর আজকের সকালের খাবার হিসেবে ছিল। গরম গরম ভাতের সাথে বড় মাছের তরকারি। আলহামদুলিল্লাহ আজকের সকালের খাবারটা ভালোই ছিল। যাইহোক সকালের খাবার খেয়ে দেরি না করে সরাসরি আমার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
যাইহোক আপুর বাসা থেকে বাসস্ট্যান্ডে একটা অটো ভাড়া করে বাসস্ট্যান্ডে গেলাম। বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে অটোওয়ালাকে ১০ টাকা ভাড়া দিলে, অটোওয়ালা চলে যায়। আর আমি দাঁড়িয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করি।যাইহোক বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখতে পেলাম অনেকে টিকিট কেটেছে।
কিন্তু আমি টিকিট কাটেনি। কারণ আগে টিকিট কাটলে ৩৫০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। তাই আমি আগেই টিকিট কাটেনি। টিকিট না কেটে কিছু সময় বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকি।আর যথাসময়ে বাস আসলে যারা টিকিট কেটেছিল তারা সরাসরি বাসে উঠে যায়।
বাসে উঠে গেলে তাও দেখা গেল বাসটিতে অনেক সিট ফাঁকা রয়েছে। তাই আমি বললাম আমিও যেতে পারি ২৫০ টাকা ভাড়া দিব। তখন বাসে সুপারভাইজার বলল, ঠিক আছে তাহলে উঠে পড়েন। তখন আমি বাসে উঠে নির্দিষ্ট জায়গায় বসে গেলাম।
যাইহোক যখন উঠলাম তখন ঘড়িতে খেয়াল করলাম দেখতে পেলাম সকাল সাড়ে আটটা বাজে।যাইহোক বাসে ওঠার ২০ মিনিট পর বাসটি ছেড়ে দিলো। তখন আমরা বাসে করে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে চলিলাম।
যাইহোক এভাবে প দীর্ঘ তিন ঘন্টা পর গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছিলাম অর্থাৎ আমরা যে স্থানে এসে পৌঁছিলাম সেই স্থানটার নাম হলো কাজিপুর মেঘাই। যাইহোক যখন আমরা কাজিপুর এসে পৌঁছলাম।
তখন ঘড়িতে দেখলাম দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে গেছে। তাই দেরি না করে সরাসরি মেঘাই নৌকা ঘাটে চলে গেলাম। কারণ আমাদের বাড়িতে যেতে হলে আবার নৌকা পার হতে হয়। আর নৌকা পার হতে হলে আগে হতেই টিকিট কাটতে হয়।
তাই দেরি না করে একটা টিকিট কেটে নিলাম।আর টিকিটটার মূল্য ৫০ টাকা নিয়েছিল। টিকিটটা কেটে যাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করেছে সেই স্থানে কিছুক্ষণ বসে রেস্ট নিলাম।কারণ নৌকা তে যখন ৩৫ জন যাত্রী হবে তখন নৌকা ছেড়ে দিবে।
কিন্তু দেখা গেল ৩৫ জন যাত্রী হয়নি। এজন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করা লাগলো। যাইহোক কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। অপেক্ষা করার পর যখন ৩৫ জন যাত্রী হলো,তখন নৌকা ছেড়ে দিল। নৌকাতে প্রায় এক ঘণ্টার মতো লেগেছিল নাটুয়াপাড়া আসতে।
একঘন্টা পর আমাদের নাটুয়ারপাড়া ঘাটে আসলো। নৌকা যখন নাটোয়ারপাড়া ঘাটে এসে পৌঁছালো। তখন আমি নৌকা থেকে নেমে একটা অটো গাড়ি করে আমার বাড়িতে আসলাম। বাড়িতে এসে দেখতে পেলাম গেট লক করা।
তখন আমার ওয়াইফ কে গেট খুলে দিতে বললাম। তখন আমার ওয়াইফ গেট খুলে দিল। দীর্ঘ দশ দিন পর বাড়িতে আসলাম। তাই বাড়িতে এসে আমার ফ্যামিলির সাথে কিছু সময় অতিবাহিত করি। সময় অতিবাহিত করার আগেই আমার ওয়াইফ কে ব্যাগের ভিতর হতে বের করে লিচু এবং কিছু তেতুলের চাটনি দিই।
আমার বউ সে টক জাতীয় জিনিস পছন্দ করে। এজন্য আমার ভাইয়া ঢাকা হতে তার জন্য বড়ই চাটনি এবং তেতুলের চাটনি কিনে দিয়েছিল। সেগুলো এনেছিলাম। সেগুলো এনে আমার ওয়াইফকে দিয়েছিলাম। আমার ওয়াইফ তো অনেক খুশি হয়েছিল।
এভাবে কিছু সময় অতিবাহিত করে বিকাল বেলা আমার মামাতো ভাই অর্থাৎ এমদাদুল হক সেই ছোট ভাই আমি ঢাকা হতে আসবো এই কথা জেনে সে আমার খোঁজ নেওয়ার জন্য আমাদের বাড়িতে আসলো।বাড়িতে আসলে তার হাতে দেখতে পেলাম একটি চানাচুরের প্যাকেট এবং দুইটি রোবো।
যাইহোক দুটি রোবো থেকে একটি আমার ওয়াইফকে দিল এবং একটি ছোট ভাই খাইলো। এভাবে আমি এবং আমার ওয়াইফ এবং ছোট ভাই বাড়িতে বসে কিছু সময় আলাপ গল্প করে সময় অতিবাহিত করি। এক পর্যায়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে।
আমাদের ঘরের একটা লাইট নাকি নষ্ট হয়ে গেছে। তাই একটা লাইট আনতে হবে। এজন্য ছোট ভাই এমদাদুল এবং আমি চলে গেলাম বাজারে। বাজারে গিয়ে একটা লাইট এনেছিলাম। যাইহোক লাইটটার মূল্য হিসেবে নিয়েছিল ১৫০ টাকা।
লাইটের প্যাকেটে এক বছরের ওয়ারেন্টি লেখা ছিল। লাইট টি এনে আমার ছোট ভাই সেটা লাগিয়ে দিল। লাইটটা লাগিয়ে অন করে দিলে লাইটটা জ্বলে উঠে। যাইহোক এরপর আমরা সকলে মিলে পরিবারের সাথে রাতের খাবার সম্পন্ন করি।
রাতের খাবার সম্পূর্ণ করে কিছু সময় অনলাইনে সময় দিয়ে, রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়ি। যাইহোক এটাই ছিল আমার ঐইদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
বেশ অনেকদিন ঢাকায় কাটানের পর আজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। এজন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি সকালের খাওয়া শেষ করে বাসস্ট্যান্ডে চলে আসলেন।
বাহ! আপনি তো বেশ সচেতন ব্যক্তি। টিকিট কাটা নিয়ে আপনি বেশ বুদ্ধি খাটিয়েছিলেন। বেশি দাম দিয়ে টিকিট না কেটেও নিজের গন্তব্যে চলে আসলেন। লিচু আমার খুব প্রিয় তাই দেখে লোভ লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কার্যক্রম তুলে ধরার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য। ভালো থাকবেন ভাই
ভাবি বলে কথা নয়, সব মেয়েরাই একটু টক বেশি পছন্দ করে তেতুল এমন একটি শব্দ যার নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনার পরবর্তী দিনলিপি পরার অপেক্ষায় রইলাম ভালো থাকবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে এত সুন্দর করে মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য।ভালো থাকবেন
নদী ঘাট এর নামটা খুব সুন্দর মেঘাই ঘাট নদী বন্দর। এই বছর আমার এখনো পর্যন্ত লিচু খাওয়া হয়নি। এখানে লিচুর খুব দাম চলছে আজকাল। আমাকেও একটা নতুন এলইডি লাইট কিনতে হয়েছে গত সপ্তাহে। ধন্যবাদ সারাদিনের কার্যাবলী শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে সেই অনুযায়ী মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মতোই সকালের খাবার খেয়েছেন। আপনার ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে বাসস্ট্যান্ডে গিয়েছেন।
বাহ! আপনি তো খুব ভালো করেছেন
এরকমটা আমিও মাঝে মাঝে করি,
টিকিট না কেটে পরে অল্প টাকাই বাসে উঠা যায়।
আপনাদের বাড়িতে গেলে নৌকা দিয়ে নদী পার হতে হয়।
সারাদিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।