Better Life with Steem||The Diary Game|| 16 June 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: ঈদের আগের দিনটি যেভাবে অতিবাহিত করলাম।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে না উঠে, একটু দেরিতে ঘুম থেকে জেগে উঠি। কারণ আজকে যেহেতু স্কুল ছিল না। তাই আজকে ঘুম থেকে দেরিতে জেগে উঠি। যাইহোক ঘুম থেকে জেগে উঠে ফ্রেশ হয়েছিলাম।
ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ পরে আমার ওয়াইফকে সকালের নাস্তা দিতে বললে, সে আজকে সকালের খাবার হিসেবে একটু ব্যতিক্রমী কিছু তৈরি করেছিল অর্থাৎ আজকে সকালের নাস্তা হিসেবে খিচুড়ি রান্না করেছিল। তাই আমি যখন সকালের নাস্তা খেতে চাই।
তখন সকালের নাস্তা হিসেবে আমাকে খিচুড়ি দিয়েছিল। যাইহোক যখন আমাকে সকালের নাস্তা হিসেবে খিচুড়ি দিল, তখন আমি সেই খিচুড়ি খেয়েছিলাম। খিচুড়ি খেয়ে আধা ঘন্টা পর নানি বাড়ি হতে আমার মামাতো ভাই কিছু আম দিয়ে গিয়েছিল।
তখন আমার ওয়াইফ সেই আমগুলো থেকে কিছু আম কেটে বাটিতে করে আমার সামনে দিল।
তখন আমি এবং আমার ওয়াইফ সেই আমগুলো খেয়েছিলাম। আমগুলো খেয়ে যেহেতু আজকে স্কুল নেই। তাই মা আমাকে বলল আমাদের নাকি কোরবানির জন্য গরু ক্রয় করা হয়েছে।
সেই গরুটাকে গিয়ে দেখে আসতে বলল, তখন আমি দেরি না করে যে বাড়িতে কোরবানির গরুটা রাখা হয়েছিল। সেখানে চলে গিয়েছিলাম। আর সেখানে চলে গিয়ে দেখতে পেলাম, আমার মামা কোরবানির গরুটাকে খাওয়াচ্ছে, এ সময় আমি সেখানে গিয়ে একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম।
যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবিতে যে গরুটি দেখতে পারছেন, এই গরুটি হচ্ছে আমাদের কুরবানীর গরু। এই গরুটা শনিবার হাট হতে কেনা হয়েছে।আর এই গরুটাকে ৮৪ হাজার টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে। যাইহোক আমি এই কোরবানির গরুটাকে দেখতে আসছিলাম।
এখানে এসে গরুটাকে কি কি খাওয়ানো হচ্ছে সেগুলোরও খোঁজ নিয়েছিলাম। যাইহোক এখানে প্রায় এক ঘন্টা যাবত সময় অতিবাহিত করে, আমি আবার আমাদের বাড়িতে চলে যাই। বাড়িতে চলে গিয়ে আমার পরিবারের সকলকে গরুটার ছবি দেখাইলাম।
তখন গরুটার ছবি দেখে বলল, ৮৪ হাজার টাকা দিয়ে গরু কেনা হয়েছে, তুলনামূলক যথেষ্ট ভালো হয়েছে। যাইহোক অনেক কথাবার্তা বলে, আমি দুপুরে গোসল সম্পন্ন করি। দুপুরে গোসল সম্পূর্ণ করে কিছুক্ষণ পরে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করি। দুপুরের খাবার সম্পন্ন করে কিছুক্ষণ সময় বসে থেকে বিশ্রাম নিই।
আর এভাবে প্রায় বিকাল চারটা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলাম।যখন বিকাল চারটা বাজলো, তখন আমার ওয়াইফ বলল যে, আমাকে গুলের মোড় বাজারে যেতে হবে। কারন আমার ওয়াইফের নাকি বোরকাটা একটু চাপাতে হবে। তাই আমি সেই বোরকাটা নিয়ে গুলমোর বাজারে টেইলার্সের দোকানে গিয়েছিলাম।
সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম অনেক ভিড়। তাই আমি আমার ওয়াইফের বোরকাটা দর্জির ঘরে রেখে আসলাম। আর তাকে বললাম বোরকাটা কখন দিতে পারবে। তখন সে বলল রাত আটটার পরে এসে বোরকাটা নিয়ে যাবেন। তখন আমি বললাম, ঠিক আছে আপনি বোরকাটা কাজটা সম্পন্ন করে রেখে দিয়েন।
আমি রাত আটটার সময় এসে নিয়ে যাব।যাইহোক কিছু সময় কথা বলে দর্জির ঘরে একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম।যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক কিছু সময় পর দর্জির ঘরে থেকে বিদায় নিয়ে, আমি সরাসরি আমাদের বাড়িতে চলে আসলাম।
বাড়িতে চলে এসে দেখতে পেলাম আমার ওয়াইফ নুডুলস রান্না করেছিল। সেই নুডুলস রান্না করে আমার ওয়াইফ খাচ্ছিল এবং আমার জন্য কিছু নুডুল রেখে দিয়েছিল। আমি যখন বাড়িতে আসলাম, তখন আমার ওয়াইফ আমাকে নুডুলস খেতে বলল।
তখন আমি নুডুলস খাওয়ার আগে একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক নুডুলস খাওয়ার পর আমার ওয়াইফ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিল। বোরকা কোথায়? তখন আমি বললাম দর্জিওয়ালা আটটার দিকে বোরকাটা ঠিক করার পর দিবে।
তখন আমার ওয়াইফ বলল ঠিক আছে, তাহলে আটটার পরে গিয়ে আমার বোরকাটা নিয়ে আসবে। তখন আমি বললাম ঠিক আছে নিয়ে আসবোনি।যাইহোক বাড়িতে থেকে যখন রাত আটটা বাজলো।
তখন গুলেরমোড় বাজারে গিয়ে আমার ওয়াইফের বোরকাটা নিয়ে আসলাম। আর বোরকাটা নিয়ে এসে কিছুক্ষণ পরেই পরিবারের সাথে রাতের খাবার সম্পন্ন করি।
রাতের খাবার সম্পূর্ণ করে, কিছু সময় অনলাইনে সময় দিয়ে রাতের নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। যাইহোক এটাই ছিল আমার ঈদের আগের দিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
এত দিন স্কুলে পরিক্ষা ছিলো তাই অনেক চাপের মধ্যে ছিলো তবে এখন একটু বিশ্রাম নেওয়ার পালা। বাহ বউয়ের হাতের মজার মজার খাবার খাচ্ছেন প্রতিদিন। আজ সকালেও খিচুড়ি দিয়ে সকালের খাবার খেয়েছিলেন। স্ত্রীর প্রয়োজনীয় কাজগুলোও করে দিয়েছিলেন। নুডুলস! দেখলেই লোভ লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আপনি এত চাপে থাকার পরও জেনে আজকে আপনি আমাদের মাঝে এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। এবং আপনার আমের ফটোগ্রাফিলে অনেক সুন্দর ছিল।
আপনি সকালে নাস্তা হিসেবে খিচুরি খেয়েছিলেন।এরপর আপনাকে আম খেতে দেওয়া হয়েছিলো।আপনি আপনার ওয়াইফের বোরখা চাপানোর জন্য টেইলারসে গিয়েছিলেন।এরপর কুরবানির গরু দেখার জন্য গেছিলেন।আপনার জন্য নুডলস রান্না করে দিয়েছিলো।সারাদিন খুব ব্যাস্ততম একটা দিন অতিবাহিত করেছেন।ধন্যবাদ
ঈদের আগের মুহূর্তগুলো যেহেতু মানুষ অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে। তাই স্কুল মাদ্রাসা সবকিছুই বন্ধ করে দেয়া হয়। আপনার যেহেতু স্কুল বন্ধ তাই আপনি বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই কাটিয়েছেন। একদমই ঠিক বলেছেন ৮৪ হাজার টাকা দিয়ে এত ভালো মানের গরু পাওয়াটা অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার ওয়াইফ নুডুলস রান্না করেছে দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।