Better Life with Steem||The Diary Game|| 11 May 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: দিনটি ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটেছিল।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে ফ্রেশ হই। ফ্রেশ হয়ে আজকে যেহেতু কনভোকেশন। তাই দেরি না করে রাতেই সকালের খাবার নিয়ে গিয়ে ভার্সিটি হলে রেখে দেই।
সকালে সেই খাবার খেয়েছিলাম। যাইহোক সকালের খাবার সম্পন্ন করে, আকাশে দেখতে পেলাম অঝরে বৃষ্টি নামছে। তাই আমাদের যেখানে কনভোকেশন হবে সেখানে উপস্থিত হতে হবে বেলা ১১ ঘটিকার সময়। তাই আমাদেরকে ভার্সিটি থেকে সকালে বের হওয়ার কথা ছিল।
সকাল আটটার সময় যাবো কিন্তু বৃষ্টি থাকার কারণে আমরা নয়টার দিকে বের হয়েছিলাম। যাইহোক আমরা চার বন্ধু ফোনে যোগাযোগ করে সাভারে বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। সেই বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে চার বন্ধু এক জায়গায় হয়েছিলাম।
যাইহোক চার বন্ধু এক জায়গায় হয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম। কুড়িল বিশ্বরোড কিভাবে যাওয়া যায়। যাইহোক আমাদের কনভোকেশন যেখানে হবে সেই স্থানটা কুড়িল বিশ্বরোড থেকে ৩০ মিনিট যেতে লাগে। যাইহোক সেই স্থানটার নাম হল কুড়িল বিশ্বরোডের পাশে পূর্বাঞ্চল নামে পরিচিত।
যাইহোক সেখানে আমাদের কনভোকেশন স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। যাইহোক সেই স্থানে আমরা বাস দিয়ে যাব নাকি প্রাইভেট কার দিয়ে যাব। সেই সিদ্ধান্ত চার বন্ধু নিয়েছিলাম। যাইহোক চার বন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রাইভেট কার দিয়ে যাব এই সিদ্ধান্ত ফাইনাল হল ।
যাইহোক পরিশেষে একটা প্রাইভেট কার ১৪০০ টাকা দিয়ে ভাড়া করা হয়েছিল। যাইহোক জনপ্রতি ভাড়া পড়েছিল ৩৫০ টাকা। যাইহোক প্রাইভেট কার ভাড়া করে আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছার জন্য চললাম।
প্রাইভেট কারে উঠে প্রাইভেট কারে চলন্ত অবস্থায় আমি এবং আমার বন্ধুর ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাই হোক দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর আমরা প্রাইভেট কারে করে আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছেছিলাম।
যাইহোক গন্তব্যস্থলে পৌঁছে সেখানে গিয়ে একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক গন্তব্যস্থলে আমরা যখন পৌছলাম। তখন ঘড়িতে দেখলাম এগারোটা দশ বেড়েছে।
যাইহোক তখন ভলেন্টিয়ার গণ আমাদেরকে বলল, তাড়াতাড়ি ভিতরে প্রবেশ করুন। কারণ কনভোকেশন শুরু হয়েছে এগারোটা থেকে। আর দশ মিনিট পরেই গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন আমরা দেরি না করে ভিতরে প্রবেশ করলাম ।
ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম সকলেই এসেছে প্রায়। যাইহোক তখন আমরা ভিতরে গিয়ে সিট গ্রহণ করলাম। সিট গ্রহণ করে আমরা চ্যান্সেলর হতে শুরু শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষা মন্ত্রী বক্তব্য দিলে সেই বক্তব্যগুলো আমরা শুনেছিলাম।
যাইহোক বক্তব্য শোনার পাশাপাশি আমরা বন্ধুরা কিছু ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। আসলে কনভোকেশন মানে সমাবর্তন অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ডিগ্রি অর্জন শেষে প্রত্যেক ইউনিভার্সিটিতে এই সমাবর্তন হয়ে থাকে,
অর্থাৎ এই সমাবর্তনের মাধ্যমে দেখা যায় একই ডিপার্টমেন্টের সফল ছাত্র-ছাত্রী সাথে দেখা হয়। সকল ছাত্রছাত্রীর মনে আশা থাকে সে কষ্ট করে ডিগ্রী অর্জন করেছে অর্থাৎ সে একজন গ্রাজুয়েট। তাই দেখা যায় সে চারটি বছর কষ্ট করে গ্রাজুয়েট সম্পূর্ণ করেছে।
আর সে সমাবর্তনের মাধ্যমে প্রধান সার্টিফিকেট পাবে। তাই সকল ছাত্রছাত্রীরা অনেক খুশি।এই সমাবর্তন এর জন্য। কারণ এই সমাবর্তনের মাধ্যমে যে সকল ছাত্রছাত্রীরা গ্রাজুয়েট সম্পূর্ণ করেছে। তারা প্রধান সার্টিফিকেট পাবে।
তাই তারা খুশি মনে মাথায় মুকুট পরিধান করে এবং কালো পোশাক পরে।তাই আজকে সকলে অনেক আনন্দিত। যাইহোক আজকের দিনটি আমাদের স্মরণীয় হয়ে থাকবে অর্থাৎ আজকের দিনটি কখনোই ভোলার নয়।
যাইহোক আমাদের ইউনিভার্সিটি চ্যান্সেলর বক্তব্য শেষে শিক্ষা মন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে দুপুর টাইম এর আগে বক্তব্য শেষ করে দেয়।বক্তব্য শেষ করে দিয়ে দুপুর একটার পরে আমাদের লাঞ্চের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল,
অর্থাৎ আমাদের লাঞ্চে খাবার দিবে তাই আগেই টোকেন দিয়েছিল অর্থাৎ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটা করে টোকেন দেওয়া হয়েছিল । সেই টোকেন হিসাবে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়েছিল।
যাইহোক আমি সেই টোকেন টা নিয়ে দুপুরের খাবার সংগ্রহ করেছিলাম। দুপুরের খাবার সংগ্রহ করে চার বন্ধু একসাথে এক জায়গায় বসে দুপুরের খাবার সম্পন্ন করি।আর দুপুরের খাবার হিসেবে ছিল কাচ্চি বিরানী, টক, দই, একটা করে ফ্রেশ পানির বোতল এবং একটা করে প্রাণ আপের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
যাইহোক আলহামদুলিল্লাহ দুপুরে খাবারটা অনেক ভালো ছিল। যাইহোক দুপুরের খাবার সম্পূর্ণ করে আবার দুপুর ২ টার পরে কনভোকেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে প্রায় চারটা পর্যন্ত কনভোকেশন অনুষ্ঠিত হয়।
যাইহোক চারটা পর কনভোকেশন শেষ হলে আমরা সকলে মিলে কিছু ছবি তুলি।ছবি তুলে আমরা সকলে বাস ভাড়া করে আমার বন্ধুর বাসায় চলে আসি। বন্ধুর বাসায় চলে এসে ফ্রেশ হয়েছিলাম। ফ্রেশ হয়ে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়েছিলাম।
আর আজকে আপুর বাসায় না গিয়ে বন্ধুর বাসায় রাতে ছিলাম। যাইহোক আজকে বন্ধুর বাসায় রাতে ছিলাম। বন্ধুর ওখানে অনেক মজা হয়েছিল। কারণ দেখা যায় যখন দুই বন্ধু এক জায়গায় হওয়া যায়। তখন অনেক মজা হয়। যাইহোক বহুদিন পরে দুই বন্ধু এক জায়গায় হয়েছি।
তাই আজকে অনেক মজা করেছিলাম। যা কখনো ভোলার নয়। যাইহোক দুই বন্ধু মিলে অনেক আলাপ গল্প করে রাত ১১ টার দিকে রাতের খাবার খেয়েছিলাম।
রাতের খাবার খেয়ে আরো কিছু সময় আলাপ গল্প করে, রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়ি। যাইহোক এটাই ছিল আমার ঐদিনের সারাদিনের সকল কার্যক্রম। আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
আপনি আপনার সমাবর্তনের পুরো দিনের কার্যাবলী আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। যে কোন শিক্ষার্থীর জন্য এটি একটি বিশেষ আনন্দের দিন। ৪ থেকে ৫ বছর পড়াশোনার পরে যখন একজন শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েট হয় তখন তাদের জন্যই এ বিশেষ অনুষ্ঠানটির আয়োজন হয়।
আপনাকে উক্ত অনুষ্ঠানের দিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। তবে আপনার লেখাতে অধিক সংখ্যক বার 'যাই হোক' শব্দটি ব্যবহার হয়েছে। এটি আপনার লেখা সৌন্দর্যকে অনেকাংশের ম্লাণ করে দিয়েছে। নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে আপনি সচেতন হবেন।
আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাল থাকবেন।
TEAM 3
Congratulations! This comment has been upvoted through Curation Team#3. We support quality posts, good comments anywhere and any tags.আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে সেই অনুযায়ী মন্তব্য প্রকাশ করার জন্য এবং সেই সাথে যাইহোক কথা যখন বিরক্তের কারন পরবর্তী মাথায় রাখবো শব্দ টা কমিয়ে দেওয়ার জন্য।
সকাল থেকে কনভোকেশন যাওয়া পর্যন্ত বেশ জার্নির মাঝেই ছিলেন। দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর পড়াশোনা করার পর এই গ্রাজুয়েট শেষ হলে একজন শিক্ষার্থীর কাছে সেই দিনটি বেশি আনন্দের হয়।
আপনাদের ওখানে দেখি বেশ খাওয়া-দাওয়া প্রয়োজন হয়েছে। তবে টোকন সিস্টেমে খাওয়ার আয়োজন করেছিল।
সুন্দর একটি দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়ে মূল্য বান মন্তব্য করার জন্য।