Better Life with Steem||The Diary Game|| 10 June 2024||
Edited By Canva |
---|
প্রিয় বন্ধুরা,
আমার নিজের লেখা ব্লগে আপনাদের সকলকে স্বাগতম।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। হ্যালো বন্ধুরা আপনারা সকলে কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছি।আজকেও আমি আপনাদের সাথে একটি ডায়েরি গেম শেয়ার করব। তা হলো: একটি সুন্দর দিন ছিলো।
প্রতিদিনের মতো সকাল সকাল ঘুম থেকে জেগে উঠি। ঘুম থেকে জেগে উঠে কিছু সময় সকাল বেলা প্রকৃতির মাঝে ঘোরাফেরা করে বাড়িতে এসে দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হই।
ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ পরে আমার ওয়াইফকে সকালের নাস্তা দিতে বললাম, তখন আমার ওয়াইফ সকালের নাস্তা দিলে আমি সকালের নাস্তা সম্পন্ন করি। আর আজকের সকালের নাস্তা হিসেবে ছিল গরম গরম ভাতের সাথে সবজির তরকারি এবং সাথে ছিল মুরগির মাংস।
আলহামদুলিল্লাহ আজকের সকালের খাবারটা অনেক ভাল ছিল। যাইহোক সকালের খাবার সম্পূর্ণ করে, সরাসরি স্কুলে চলে গিয়েছিলাম। স্কুলে চলে গিয়ে কিছু সময় অফিস রুমে বসে থেকে যেহেতু পরীক্ষা শুরু হয়েছে।তাই যখন সকাল দশটা বাজলো।
তখন প্রশ্নগুলো নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করেছিলাম। পরীক্ষা হলে প্রবেশ করে যখন দশটা বাজলো। তখন সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রশ্ন দিয়ে দিলাম। যাইহোক তাদেরকে প্রশ্ন দিলে তারা প্রশ্নগুলো পেয়ে লেখা শুরু করে দিয়েছিলাম।
যাইহোক প্রশ্নগুলো দিয়ে আমি কিছুক্ষণ পরে ছাত্র-ছাত্রীদের খাতায় স্বাক্ষর করা শুরু করে দিলাম। এভাবে প্রায় আধা ঘন্টা যাবত খাতায় স্বাক্ষর করেছিলাম। স্বাক্ষর করা শেষে কিছু সময় পরীক্ষা হলে বসেছিলাম। এভাবে প্রায় আমাদের পরীক্ষাটা ১ টা পর্যন্ত চলেছিল।
যখন দুপুর ১ টা বাজলো তখন পরীক্ষা শেষ করে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষ করে দিলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের খাতা জমা দেয়। সকল ছাত্রছাত্রীরা খাতা জমা দিলে আমরা খাতাগুলো নিয়ে অফিস রুমে জমা দিয়েছিলাম। অফিসে খাতাগুলো জমা দিয়ে কিছুক্ষণ পরে, সকল শিক্ষকেরা যার যার মত বাড়িতে চলে আসি।
বাড়িতে চলে আসার সময় আমার ওয়াইফের জন্য একটা বিস্কুটের প্যাকেট এনেছিলাম।বিস্কুটের প্যাকেট আমার ওয়াইফের হাতে দিলাম।তখন আমার ওয়াইফ খুশিমনে সেটা নিল। যাইহোক আমি যখন বাড়িতে প্রবেশ করলাম। তখন বাড়ির ভিতর প্রবেশ করেই দেখতে পেলাম। বাবা বাজার হতে কিছু ইলিশ মাছ এনেছিল।
সেই ইলিশ মাছগুলো বাটির ভিতরে রেখে সেগুলো কাটতে নিয়েছিল। তখন আমি একটা ছবি তুলে রেখেছিলাম। যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। যাইহোক ছবি তুলে কিছু সময় রুমে বসে থেকে একটু পরে নিজেকে ফ্রেশ হয়ে নিলাম।ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ পর আমার ওয়াইফ কে দুপুরের খাবার দিতে বললাম।
তখন আমার ওয়াইফ আমাকে দুপুরে খাবার দিলে, আমি তখন দুপুরের খাবার সম্পূর্ণ করেছিলাম। দুপুরের খাবার সম্পন্ন করে দুপুর ২টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিলাম। বাড়িতে থেকে যখন বিকাল চারটা ৩০ মিনিট বাজলো,
তখন আমার বড় ভাই আবু সাঈদ আমাদের বাড়িতে আসলো। তখন আমি বড় ভাইয়ের সাথে কিছু সময় আলাপ গল্প করি। আলাপ গল্প করার এক পর্যায়ে আমার বড় ভাইকে কাঁঠাল খেতে বললাম, তখন বড় ভাই বলল ঠিক আছে কাঁঠাল যদি ভালো জাতের হয়।
তাহলে খাওয়া যেতে পারে। তখন আমরা বললাম কাঠালের কোয়াগুলো অনেক ভালো। তখন বড় ভাইয়া বলল ঠিক আছে তাহলে দাও। তখন আমার ওয়াইফ কাঁঠালের কোয়া এনে বড় ভাইয়ের সামনে দিলে, আমি এবং বড় ভাই মিলে দুজনে সেই কাঁঠালের কোয়াগুলো খেয়েছিলাম।
যাইহোক কাঁঠালের কোয়াগুলো খেয়ে,আরো কিছু সময় দুই ভাই মিলে আলাপ গল্প করি। আলাপ গল্প করে বিকালবেলা কিছু সময়ের জন্য প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করার জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। বাইরে গিয়ে কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করি।
প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করে অনেক ভালো লেগেছিল। তাই আরো কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করেছিলাম।ঘোরাঘুরি করার এক পর্যায়ে রাস্তার পাশে দেখতে পেলাম দুইটা ছাগলের বাচ্চা ঘোরাঘুরি করে খেলাচ্ছে। তখন দেরি না করে আমি একটা ছবিও তুলে রেখেছিলাম।
যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হলো। ছবি তুলে আরো কিছু সময় প্রকৃতির মাঝে ঘোরাঘুরি করে যখন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো, তখন আমি সরাসরি বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে চলে এসে ফ্রেশ হই।ফ্রেশ হয়ে আরো কিছু সময় আমার রুমে বসে থাকি।
রুমে বসে থাকার এক পর্যায়ে মা আমাদেরকে রাতের খাবার খেতে বলল, তখন আমি আমার পরিবারের সাথে সবাই মিলে একসাথে রাতের খাবার সম্পন্ন করেছিলাম।
রাতের খাবার সম্পূর্ণ করে কিছু সময় অনলাইনে সময় দিয়ে, রাতের নির্দিষ্ট সময় ঘুমিয়ে পড়ি। যাইহোক এটাই ছিল আমার ঐইদিনের সকল কার্যক্রম।আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।
বন্ধুরা আজকে আর লিখব না। আজকের মতো এখানেই শেষ করছি । আপনাদের মাঝে আজকে যে কথাগুলো শেয়ার করলাম। আশা করি আপনাদের অবশ্যই ভাল লাগছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করবেন । ভালো থাকবেন সকলে ।আল্লাহ হাফেজ।
Device | Name |
---|---|
Android | Realme C15 |
Camera | 8MP camera |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @hafizur46n |
Many many thank you for your support ❤️❤️❤️
আপনার সারাদিনে কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার ছবিতে ইলিশ মাছ গুলো দেখে খুব সুন্দর লাগছে। আমাদের এখানে ইলিশ মাছ পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু সেগুলো খুব একটা ভালো না। কাঁঠাল গুলো দেখে তো মনে হচ্ছে খুব ভালো খেতে। আসলে আমিও কাঁঠাল খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আর আপনার ছবিতে ছাগল বাচ্চা গুলো দেখে মনে হচ্ছে ওদের একটু কোলে নিয়।কারণ এরকম ছোট ছোট ছাগলের বাচ্চা দেখতে আমার খুব ভালো লাগে।
আজ আপনি পরীক্ষায় গার্ডে ছিলেন। বাসায় আসার পর দেখলেন বাবা বাজার থেকে ইলিশ মাছ নিয়ে এসেছে। ইলিশ মাছ গুলো দেখতে আসলেই ভালো। মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে । এরপর বড় ভাইয়ের সাথে কাঁঠাল খেয়েছেন। যদিও কাঁঠাল আমার খুব পছন্দের ফল নয়। তবে মাঝে মাঝে খাওয়া হয়। বিকেলবেলা প্রকৃতির মাঝে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। আমি এরকম ছোট ছোট ছাগলের বাচ্চা দেখলে কোলে তুলে নেই। আমার পশু পাখি খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সারাদিনের কার্যক্রম জন্য আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
প্রতিদিনের ব্যস্ত সময়ের ফাঁকেও স্ত্রীর জন্য এক প্যাকেট বিস্কুট টেনেছেন। আদতে ব্যাপারটি খুব সাধারণ মনে হল আমার কাছে খুব অসাধারণ লেগেছে। এভাবে সঙ্গীকে ছোট ছোট বিষয়ে খুশি করে দেওয়াটা সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য খুবই জরুরী।
ছবিতে দেওয়া ইলিশ মাছগুলো দেখতে ভালই মনে হচ্ছে। এবারে ইলিশ মাছের দাম একেবারেই কমেনি। এখনো তা সর্বসাধারণের নাগালের বাহিরে।
সারাদিনের কার্যলিপি আপনি খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো
পড়ে।
ইলিশ আমার সব থেকে প্রিয়। ইলিশ মাছ দেখলে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। আমার মামা বাড়ি নদী এলাকায় আর ওখানে সবাই ইলিশ মাছ ধরে নদীতে। আমার মামাও ধরতে যেত। আর যখন ভালো পরিমানে ইলিশ জালে পড়ত তখন আমি মামা বাড়িতে যেতাম আর নদী থেকে ধরা টাটকা ইলিশ খাওয়ার মজাই অন্য রকম। ভালো থাকবেন।
আসলে মুরগীর মাংস আমারো অনেক পছন্দের খাবার।আপনি সকালের নাস্তা হিসেবে ভাত খেয়ে স্কুলে গেছিলেন এবং বাচ্চাদের পরিক্ষা নিয়েছেন।এরপর বাসায় ফেরার পথে ওয়াইফের জন্য বিস্কুটের প্যাকেট কিনেছেন।এই ছোট ছোট বিষয় গুলোতে আকাশ পরিমাণ ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়।তাই বিষয়টি ভালো লাগলো।ছাগলের বাচ্ছা দুইটি আসলেই অনেক সুন্দর ছিলো।ধন্যবাদ আপনার দিনলিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য