কিছু কিছু সময় আনন্দের মাঝে দুঃখের সময় চলে আসে।
হ্যালো বন্ধুরা আশা করি যে যেখানে আছেন সবাই নিজের পরিবারের সাথে আজকের দিন খুব সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। এবং সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং ঈদ মোবারক।
এই বিদেশের মাটিতে আছি বাংলাদেশে কিছু ঘটনা ঘটে গেলে নিজের মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। এবং বিশেষ করে একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না। নিজের পরিবারের সাথে কখনো খারাপ কিছু হলে নিজেকে ঠিক রাখা অনেক কঠিন হয়ে যায়। জীবন থেকে যতো দিন যাচ্ছে ততো আনন্দের দিন গুলো যেনো হারিয়ে যাচ্ছে।
যাইহোক আজকে ছিলো একটি বছরের দিন যে দিনটি আমরা একটি বছর পরে পেয়েছি। তবে আজকের এই আনন্দের দিনে আমার সাথে এমন কিছু ঘটনা ঘটলো যে ঘটনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। সকাল থেকে শুরু না করলে বিষয়টি ভালো ভাবে বোঝাতে পারবো না।
আজকে একটি বছরের দিন ছিলো এবং ঈদের দিন মানে আমাদের আনন্দের একটি দিন। তবে প্রবাসীদের জন্য এই আনন্দের দিন ভালো ভাবে হয়ে ওঠে না। কারণ যদি নিজের পরিবারের সাথে আজকে থাকতে পারতাম তাহলে আনন্দটি একটু বেশি অনুভব করতে পারতাম। যেটা হয়তোবা আমি আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। কতোটা আমার ভালো লাগতো আজকে এই দিনে যদি নিজের পরিবারের সাথে আমি থাকতে পারতাম।
এবং যারা দূর-দূরান্ত থেকে নিজের পরিবারের কাছে গিয়ে আজকের দিনটি কাটিয়েছে তারা এই দিনটি অনুভব করতে পারছে। আজকে সারা দিনটি সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বছরের একটি দিন নামাজ আদায় করতে যাবো। কিন্তু সকাল বেলা গোসলের ওখানে গিয়ে দেখতে পেলাম পানির সমস্যা। যেটা দেখে নিজের মনটা অনেকটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মাঝেমধ্যে এমন সমস্যা হয়ে থাকে কিন্তু আজকের দিনে সমস্যাটি যেনো মেনে নিতে পারছিলাম না।
যাই হোক অন্য একটি জায়গায় ব্যবস্থা করে গোসল করে চলে গেলাম নামাজ আদায় করার জন্য। নামাজ আদায় করে কিছুটা মন ভালো হয়ে গিয়েছিল এবং যখন রুমে এসেছিলাম তখন মনটা আবার খারাপ হয়ে যায়। কারণ তখন তো আমি একা ছিলাম যার জন্য মনটা অনেকটা খারাপ ছিলো আজকের দিন। এবং নিজের পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তারা মাংস কাটাকাটি নিয়ে ব্যস্ত আছে।
যেহেতু বড় ভাই অনেক বছর পরে বাড়ি গিয়েছে এবং ঈদ উপভোগ করছে তাকে বেশি ডিস্টার্ব করলাম না। আব্বু মাংস কাটছে যার জন্য বেশি সময় কথা বলতে পারিনি। এবং আজকের দিনে আমাদের রুমে যে সকল মানুষ আছে তাদেরকে দাওয়াত দিয়েছিলাম। তাদের একটি খাওয়া দাওয়ার আয়োজন আমরা বিকাল বেলা করেছিলাম। যাইহোক আজকের সেই বিষয়ে আলোচনা আমি করতে পারছি না বলে দুঃখিত। ইনশাল্লাহ গতকালকের পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন কিসের জন্য এবং সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া করে কেমন আনন্দ করেছিলাম।
সন্ধ্যার একটু আগে আমার ভাবি আমার কাছে ফোন দিয়েছিল। কারণ সারাদিন আজকে ব্যস্ত থাকার জন্য ভাবি আমার সাথে কথা বলতে পারিনি। সন্ধ্যাবেলা একটু ফ্রি হয়ে সে আমার কাছে ফোন দিয়েছিল। এবং তার সাথে কিছু সময় কথা বলে হাসি মজা করছিলাম আমি এবং আমার ভাবি। তার কিছু সময়ের মধ্যে আব্বু বাজার থেকে চলে আসে বাড়ি। আমি আব্বুর কাছে ফোন দিতে বলেছিলাম কথা বলার জন্য। কিন্তু আব্বু বলল তার শরীরটা একটু খারাপ যাচ্ছে।
আব্বু গোসল করতে গিয়েছিল এবং আমি ভাবির সাথে কথা বলছিলাম। কথা বলতে বলতে আব্বু গোসল করে এসে অবস্থা অনেকটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। নিজের চোখে আব্বুর এমন দৃশ্য দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। সাথে সাথে ভাবির ফোন কেটে দিয়ে বড় ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়ে বাজার থেকে ডাক্তার নিয়ে যেতে বললাম। ভাই বলল আচ্ছা ঠিক আছে এক্ষুনি বাড়ি যাচ্ছি এবং আবার আমি ভাবির কাছে ফোন দিলাম। ফোন দিয়ে আব্বুর এমন অবস্থা দেখে নিজের চোখে পানি চলে আসে।
আবার কিছু সময়ের মধ্য বড় ভাইয়ের কাছে আমি ফোন দিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম। প্রয়োজন হলে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসার কথা। সে তখন বলল ডাক্তার নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আবার নাকি আব্বু মানা করেছিল। শুনে অনেক রাগ হলো এবং বড় ভাইয়ের সাথে বকাবকি করছিলাম। বড় ভাই বাড়ি গিয়ে আব্বুকে নিয়ে চলে যাই ডাক্তারের কাছে। এবং হসপিটালে নিয়ে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আব্বু বলল বাজারে ডাক্তার দেখানোর কথা। যাইহোক বাজারে ডাক্তার দেখিয়ে চারটে ইনজেকশন দিতে হয়। ডাক্তার বলল গ্যাসের সমস্যা কিছু সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
তার মধ্য আমার তো অবস্থা অনেকটা খারাপ হয়ে যায়। যেহেতু এখান থেকে বেশ কিছু দিন আগে মাকে হারিয়েছি এখন আব্বুর এমন সমস্যা। আসলে আমি অনেকটা ভয় পেয়েছিলাম এবং নিজেকে কি বলে সান্ত্বনা দেবো খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তার কিছু সময়ের মধ্যে বড় ভাই আবার ফোন দিয়ে বলল এখন আব্বু অনেকটা সুস্থ আছে। শুনে আমি অনেকটা খুশি হলাম এবং নিজে নিজেকে সান্ত্বনা দিতে শুরু করলাম। তার কিছু সময় পর আব্বুর সাথে কথা বলে মনটা একটু ভালো করলাম। এখন আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে।
যাইহোক বন্ধুরা আমার আব্বুর জন্য দোয়া রাখবেন এটাই বলব আর কিছু বলার নাই আমার। এখানে সবাই আপনারা সুন্দর ভাবে থাকুন এবং নিজের পরিবারকে হাসিখুশি রাখুন।
Device | Name |
---|---|
Android | VivY77 /v2169 vivo |
Camera | focal length:26mm(equivalent to 35mm focal length film) |
Location | Malaysia 🇱🇷🇱🇷🇱🇷 |
Short by | @bayezid123 |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঈদ মোবারক ভাই। প্রবাস জীবনে আত্মীয়-স্বজনদের থেকে দূরে ঈদ করা কষ্টকর বিষয়। ঈদ মানে যে আনন্দ সেই আনন্দটা যদি পরিবারের সাথে উদযাপন না করতে পারি তাহলে এটি পূর্ণতা পায় না। সকাল বেলাতেই বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন। গোস্ল করার সময় পানি ছিলো না। যাহোক সবকিছু তাও কোনভাবে ম্যানেজ হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু হঠাৎই আপনার আব্বা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সকল বিষয়ে অবহেলা করা একদমই উচিত নয়। আপনি দূর থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। মুরব্বিরা অনেক সময় ডাক্তারের কাছে যেতে চান না। কিন্তু একজন সচেতন মানুষ হিসেবে কোন ধরনের সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। পরবর্তীতে আপনার আব্বা সুস্থ বোধ করেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো।
আসলে গতো দুইদিন ধরে এমনি মনটা খুব বেশি ভালো ছিলো না। তবে ভেবেছিলাম গতো কালকের দিন টা অনেক ভালো ভাবে কেটে যাবে। কিন্তু সকালবেলা গোসল করতে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে যায়। তবুও গোসল শেষ করে নামাজ আদায় করতে পেরেছিলাম আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি।
এবং হঠাৎ করে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ে যার জন্য আমি অনেক ভয় পেয়ে যায়। মানসিক চিন্তা ভাবনা নিয়ে থাকাটা অনেক কঠিন এক ব্যাপার। যেটা আমি গতকালকে আরো বেশি অনুভব করতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ বাবা এখন সুস্থ আছে এটা আমার কাছে অনেক আনন্দের একটি বিষয়। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। এবং আপনাকে ও ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
ভাই একটা নিজস্ব কথা বলি, আপনারা পরিবারের জন্য এত কষ্ট করেন তবুও পরিবারকে এজটু সময় দিতে পারেন না, এমন ঈদের সময়ও পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারেন না এটা সত্যি কষ্টদায়ক। প্রবাস জীবন যে কতটা মারাত্মক সেটা আপনাদের দেখে বোঝা যায়।
তবে একসাথে যারা আছেন তাদের সাথেই সুন্দর সময় কাটানোর চেষ্টা করেছেন। আপনাকে ঈদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই। ভালো থাকবেন।
আসলে একজন প্রবাসী এই দিন গুলোতে বেশি কষ্ট অনুভব করতে পারে। কারণ এই বছরের একটি দিন সবাই একসাথে অনেক আনন্দ করে। সেই আনন্দর ভাগ যদি আমরা একটু পেতাম তাহলে অনেক ভালো লাগতো আমাদের। খারাপ লাগে এখন আমি বুঝতে পারি কারণ দেখতে দেখতে দুইটি বছর এই প্রবাসে পার করে ফেলেছি।
যাইহোক আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা রইল খুবই সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। ভালো এবং সুস্থ থাকবে।
যদিও আমি বাবা মায়ের সাথে থাকি তবে আমার এক মামাও মালয়েশিয়ায় থাকে। অনেক বছর হয়ে গিয়েছে দেশে আসে না। বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠানে পরিবারের সাথে সময় কাটাতে না পারা যে কতটা কষ্টের সেটা একজন প্রবাসীর থেকে ভালো কেউ হয়ত জানে না। যেমনটা ঈদের সময় বাড়ির মানুষের থেকে অনেক দুরে থাকতে হচ্ছে আপনাকে। নিজের খেয়াল রাখুন।
আপনাকে প্রথমেই জানাই ঈদের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আসলে যারা বাইরে কাজ করে ।তারা কোন উৎসব গুলো অনুষ্ঠানের দিনে বাড়িতে না আসতে পারলে সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায়। আসলে এইসব দিনগুলো পরিবারের সাথে কাটালে সত্যি খুব ভালো লাগে। আপনার বাবা হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ।উনার সুস্থতা কামনা করি ।আপনার সারাদিনের কাজকর্ম শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা রইল। আসলে বছরের একটি দিন নিজের পরিবারের সাথে প্রত্যেকটা মানুষ থাকতে চাই। আমাদেরও মনে চাই আমাদের বাবা-মায়ের সাথে এক সাথে সময় কাটাবো। মানুষ যতই কষ্ট হয় থাকুক না কেন তার নিজস্ব পরিবারের সাথে সবাই সময় কাটাতে চাই। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
বিদেশে থাকাকালীন সময়ে এই ধরনের ঘটনা মনকে আরও বেশি কষ্ট দেয়। নিজে এগিয়ে এসে এই রকম পরিস্থিতিতে কিছু করতে না পারলে বড্ড অসহায় লাগে। আপনার অনুভূতিও ঠিক তাই ছিল। সারাদিন অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে হয়তো খাওয়া দাওয়া করেননি তিনি, তার উপর অসম্ভব গরমের কারনেই শরীর খারাপ হয়েছিল বোধহয়। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তিনি এখন ভালো আছেন। দুঃশ্চিন্তা করবেন না, ঈশ্বর আপনার প্রতি এতটা নির্দয় হবেন না। এইতো মা কে হারালেন, বাবাকে নিশ্চয়ই সুস্থ রাখবেন তিনি। সত্যিই আনন্দের দিনগুলো এমনভাবে নিরানন্দের হয়ে যায় যে, সেটাকে ভাষায় প্রকাশ করা কখনো কখনো কঠিন হয়ে যায়। সাবধানে থাকবেন এটুকুই বলবো।
আসলে যখন আমি আমার ভাবির সাথে কথা বলছিলাম এবং আব্বুর এমন অবস্থা দেখি আমি নিজে অনেক ভয় পেয়ে যায়। জানিনা সৃষ্টিকর্তা আমার সাথে কেন এমন করছে। বেশ কিছুদিন আগে আমার আম্মা কে হারিয়েছি যেটা আপনারা সবাই জানেন। এবং এই মুহূর্তে আব্বুকে যদি কিছু হয়ে যেতো তাহলে নিজেকে কন্ট্রোল করা অনেক কঠিন এক ব্যাপার হয়ে যেতো আমার জন্য। যাই হোক তিনি ঈদের দিন মাংস কাটাকাটি নিয়ে হয়তোবা একটু বেশি পরিশ্রম করেছে যার জন্য শরীর খারাপ করেছে মনে হয় আমিও সঠিক জানিনা।
আমার আব্বুর সুস্থতা কামনা করার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ দিদি আপনার জন্য শুভকামনা রইল ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
পরিবার থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে ঈদ উদযাপন করা কতটা কষ্টের সেটা যারা প্রবাসী, তারাই একমাত্র উপলব্ধি করতে পারে। হাজার আনন্দের মাঝেও এই কষ্টটা বুকের এক কোণে কেন যেন বারবার আঘাত করতে থাকে।
শত কষ্ট দুঃখ ভুলেও আমাদের আনন্দটাই উপভোগ করতে হবে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নিজের ফিলিংস গুলো আমাদের মাঝে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপনা করার জন্য।