বাহিরের জীবন অনেক ব্যস্ততার মধ্যে চলতে হয়।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,, আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই,, আমি খুব বেশি ভালো নেই কারণ মনটাই ভালো নাই,, আজ তিন দিন ধরে বসের দোকানে আছি,, আজ এক সপ্তাহের মধ্যেও দুই বার জায়গা পরিবর্তন করেছি,, সারাদিন গাড়ির মধ্য এবং কাজের জন্য সময়ের খুবই অভাব,, কারণ বাসের দোকানে থাকলে নিজের চলাফেরার জন্য অনেক কষ্ট হয়ে যায়।
যেখানে মোবাইল বের করা তো দূরের কথা এক মিনিট বসে থাকা যায় না,, সেখানে শুধু কাজ আর কাজ এটাই বড় কথা,, আজকে বসের দোকান থেকে ভাইদের এখানে এসেছি,, বাসের দোকানে থেকেও একদিন লেখা শেয়ার করতে পেরে ছিলাম,, কিন্তু কালকে এতটাই বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ি যে লেখার কোন সুযোগ হয়নি আর।
তার পাশাপাশি কালকে রাতটা ছিলো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ রাত,, হয়তোবা এই রাতটা আমার জীবনে প্রত্যেকটি দিন মনে থাকবে,, অনেক কষ্ট হয়েছে কালকে রাতে থাকতে তবুও কিছু করার ছিলো না,, বন্ধ ঘরে সন্ধ্যার সময় ঢুকে আর সকালের সময় বের হতে হয়,, কারন সেটা বসের দোকান তো ছিলো কিন্তু অন্য জায়গায় ছিলো।
আসলে আমরা দুই দিন আগে বসের দোকানে গিয়েছি সেখানে আমাদের দুইটি লোক আছে,, তারা এখন সব সময় বসের দোকানে কাজ করছে,, কিন্তু কাজের একটু চাপ থাকার জন্য আমাদের আরো দুটি মানুষ কে নিয়ে যায়,, তার মধ্য আমিও এক জন ছিলাম এবং সাথে ছিলো আরো একটি ভাই।
সেখানে গিয়ে আমরা চারটি এসি ফিট করে কাজের সময় শেষ করে বসের দোকানে চলে যায়,, এখন যেহেতু রোজার মাস চলছে তাই রান্না করার দিক থেকে কোন ইচ্ছা ছিলো না,, হোটেল থেকে আমাদের জন্য মাংস নিয়ে এসেছিলাম রাতে খাওয়ার জন্য।
তার পরের দিন সকালে আমাদের বস এসে আমাদের জিনিস গুলো গুছিয়ে নিতে বলেছিল,, আমরা মনে করেছিলাম আমাদের হয়তো বা ভাইদের এখানে নিয়ে আসবে,, কিন্তু গাড়ির মধ্যে উঠে জানতে পারি যে অন্য জায়গায় কাজে নিয়ে যাবে,, এবং বলেছিল দুপুর 2 টা থেকে তিনটা পর্যন্ত কাজ করে আমাদের সেখান থেকে নিয়ে আসবে।
কিন্তু দুইটার সময় বস চলে যাওয়ার সময় বলে যাই সেখানে আমাদের থাকতে হবে,, কারণ সেখানে আমাদের কিছু কাজ বাকি আছে,, সেই জায়গায় আমরা দুইজন ছাড়া আর কোনো মানুষ থাকে না,, কিন্তু কিছু করার ছিলো না আমাদের সেখানে থাকতেই হবে।
যাই হোক আমরা কাজ শেষ করে দোকানের মধ্য গিয়ে সব তালা দিয়ে নিজেদের ফ্রেশ হওয়ার জন্য চলে গেলাম,, সেখানে ওয়াশরুম আছে এবং বিকাল পাঁচটার সময় কিছু খাদ্য নিয়ে এসেছিলাম নিজেদের কাছে।
রাতে খাদ্য গুলো আমরা খেয়ে ছিলাম সারারাত চোখে ঘুম ছিলো না,, তার পাশা পাশি সারা দিনটা অনেক পরিশ্রমের মধ্য কেটেছে আমার,, মালয়েশিয়াতে আসার পরে পরিশ্রম তো অনেক করেছি,, তবে আমার এই দিনের পরিশ্রমটা একটু বেশিই যেনো গায়ে লেগে যায়।
রাত আটটার সময় চোখে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে,, ফোনটি পাশে রেখে ছিলাম এবং কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছি নিজেও বলতে পারি না,, এক বারে সকাল সাতটার সময় সাথে যে ভাইটি ছিলো সে ডেকে তোলে,, তখন ওঠে আবার ফ্রেস হয়ে চলে গেলাম কাজের জায়গায়।
আজ তিন দিন ধরে অনেক পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি এখনো চোখে ঘুম লেগে আছে,, আপনাদের মাঝে আজকের এই লেখাটি শেষ করে এখন আবার ঘুমাতে যাবো,, যাই হোক আসলে আমার এই কার্যক্রম গুলো শেয়ার করার কারণ,, কমিউনিটিতে সময় না দেওয়ার কিছু কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাই।
চেষ্টা করব কাল থেকে ভালো ভাবে আবারো আপনাদের মাঝে সময় দেওয়ার জন্য,, কারণ বাহিরের জীবন কিছুটা সময় আছে কিছুটা নাই,, তবে কিছু করার নাই সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যারা প্রবাসী জীবনে রয়েছে তাদের জীবনটা অনেক বেশি কষ্টের তারপরেও দেশ থেকে অনেকেই বলে ওখানে তো শুধু খাওয়ার ঘুমাও আমাদের জন্য টাকা পাঠাতে বললেই যত সমস্যা এটা তারা কেউ বুঝতে চায় না তারা কতটা পরিশ্রম করে তারপর আমাদের জন্য টাকা পাঠায়।
প্রবাস জীবনে যাওয়ার পর থেকে আপনার জীবনটা অনেক বেশি কষ্টের হয়ে পড়েছে প্রতিনিয়ত পরিশ্রম করে কাজ করছেন কিন্তু গতকালকের দিনটা আপনার জন্য অনেক বেশি পরিশ্রমের ছিল সেই সাথে রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারেননি এটা আরো অনেক খারাপ লাগার একটা বিষয় আসলে রাতে ঘুমাতে না পারলে কি কি সমস্যা হয় এই কয়েকদিনে বেশ ভালোভাবে আমি সেটা বুঝতে পারছি তারপরেও চেষ্টা করবেন ভালো থাকার সবাইকে নিয়ে ভালো রাখার ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
কথায় আছে যে যখন যে পরিস্থিতিতে পড়ে সেই পরিস্থিতির বিষয়টি সেই বুঝতে পারে,, আসলে আমরা বাহিরে আছি কিন্তু,, বাংলাদেশের মানুষ অনেক ভালো চিন্তা নিয়ে ঘুমাতে পারে,, কিন্তু যারা বাহিরে থাকে তারা কখনো সেই চিন্তা গুলো মাথায় নিয়ে আসতে পারেনা,, একটি সময় হয়তোবা আমিও মনের মধ্যে অনেক চিন্তা নিয়ে আসতাম,, কিন্তু এখন সব গুলো বুঝতে পারি ,, যাইহোক আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে আমি আনন্দিত ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
ভাইরে আপনার প্রবাসে আছেন আপনারা কতটা কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছেন সেটা কি সেটা হলেও উপলব্ধি করতে পারে। জীবনটা এতটা সহজ না তারা তাদের নিজের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা চিন্তা করতে হয় ঠিক তেমনি বাড়িতে যারা আছে তাদেরকে কিভাবে সঠিকভাবে পালন করতে হবে সে বিষয়গুলো তারা চিন্তা করে। প্রবাসীদের মাঝে মাঝে এমন কিছু কষ্ট হয়ে থাকে যেটা তারা সবার সামনে প্রকাশ করতে পারে না ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না খেতে পারে না কি আর বলবো।
আমরা জানি মানুষ বেশি পরিশ্রম করলে রাতে ঘুম ভালো হয় কিন্তু গতকাল রাতে আপনার এর বিপরীত ঘটেছে।। যেমন পরিশ্রম করেছেন সেভাবে রাতে ঘুম হয়নি আসলে একজন মানুষ সঠিকভাবে না ঘুমাতে পারলে এমনি অসুস্থ হয়ে পড়ে।। দোয়া করি আপনার জীবন যেন আনন্দময় হয়ে ওঠে সব সমস্যা যেন সমাধান হয়।
আসলে ভাই জায়গাটি এমনও জায়গায় ছিলো যে সেখানে ভালো ভাবে ঘুম পড়ার মতো অবস্থায় ছিলাম না,, সেই জায়গায় শুধু আমরা দুইজন মানুষ ছিলাম এবং বাহিরে একজনের দোকানের মধ্য থাকা সত্যি মনের মধ্যে একটি ভয় নিয়ে আসা,, কখন কি হয়ে যায় এই চিন্তা তার পাশাপাশি পরিশ্রম করে নিজের শরীরটা খুব বেশি ভালো লাগছিল না তাই ঘুম হয়নি। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য দেখতে পেয়ে শুভকামনা রইল আপনার জন্য।