কাজের মধ্য কিছুটা সুন্দর মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আপনাদের মাঝে কিছু আনন্দের বিষয় তুলে ধরার জন্য চলে এসেছি। আশা করব আপনাদের কাছে আমার আজকে পোস্ট ভালো লাগবে। আসলে গতকালকে আমি কাজের সময় রেস্ট টাইমে ক্যান্টিনে এসেছিলাম এবং আমার সাথে এসেছিল আমাদের সুপারভাইজার এবং একটি বড় ভাই তাদের সাথে সুন্দর কিছু সময় কাটানোর মুহূর্ত তুলে ধরবো আজ আমি।
প্রতিদিন আমরা কাজে যায় এবং কাজে যাওয়ার পরে আমাদের দুই বার করে রেস্ট টাইম করতে হয়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমরা রেস্ট টাইম করি না। কারণ যখন অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকে তখন রেস্ট করা হয় না। যাই হোক গতকালকে আমরা কাজ শেষ করে চলে আসি ক্যান্টিনে। এবং আমাদের যে কাজের দায়িত্বে আছে মানে সুপারভাইজার আছে। তার সাথে আমার সম্পর্ক অনেক ভালো তার পাশাপাশি যে বড় ভাই আছে তার সাথেও সম্পর্ক অনেকটা ভালো।
ক্যান্টিনে আসার পরে আমাকে বলল ঠান্ডা নেওয়ার কথা। আসলে রোদের মধ্যে কাজ করে ঠান্ডা খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই আমার বলল ঠান্ডা নেওয়ার কথা আমি তিনটে ঠান্ডা নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের যে সুপারভাইজার সে মোবাইল সম্পর্কে খুব ভালো বোঝে না। কিন্তু কেউ একজন তাকে টিক টক তৈরি করা শিখিয়েছিল। সে সারাদিন যখন সময় পাই টিক টক ভিডিও বানাই। তাই নিয়ে সর্বপ্রথম শুরু করলাম আমরা মজার কথা।
আমাদের সুপার ভাইজারের তিনটে মেয়ে বড় মেয়েটি বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তখন আমরা তাকে বলছিলাম তোমার নাতি তোমার ভিডিও দেখছে । তুমি কি আরও একটি বিয়ে করতে চাও। এমন ভাবে তার সাথে আমরা আরো অনেক কথা সেখানে বলেছিলাম। এক কথা বলতে গেলে কষ্টের মাঝে কিছুটা আনন্দের মুহূর্ত ছিলো আমাদের জন্য।
মাঝে মাঝে এমন আনন্দ করতে খুবই ভালো লাগে। কথা বলতে বলতে হঠাৎ করে দেখলাম যে বড় ভাই আছে তার বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছে। সে কথা বলছিল এবং পাশে বসে আমরা কথা বলছিলাম। তখন হঠাৎ করে আমাদের সুপারভাইজার মোবাইলটি নিয়ে এসে আমাকে বলল ফেসবুক কি ভাবে চালাতে হয়। আমি তখন তার মোবাইল দেখে বলছিলাম তোমার ফোনে ফেসবুক নামানো আছে তাহলে তুমি চালাও না কেনো। সে তখন বলছিল আমি খুব ভালো বুঝিনা ফেসবুকে কি ভাবে ছবি ছাড়তে হয় আমাকে একটু শিখিয়ে দাও।
তখন আমরা বলছিলাম তুমি তাহলে টিক টক ভিডিও আর তৈরি করবে না। তখন সে বলল না আমি আজ টিক টক তৈরি করব না এখন থেকে আমি ফেসবুকে ছবি ছাড়বো। আমরা তখন সবাই হেসে বলছিলাম তুমি tiktok ভিডিও তৈরি না করে থাকতে পারবে। আসলে সে দিনে ২০ থেকে ৩০ টা ভিডিও ছাড়ে টিকটকে।
এবং যখনই ভিডিও ছাড়ে আমাদের ফোনে নোটিফিকেশন আসলে আমরা তাকে দেখে আরো অনেক মজার কথা বলি এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দের বিষয় থাকে আমাদের জন্য সারা দিনে নিজের মন খারাপ থাকলে তার ভিডিও দেখলে আমাদের অনেক ভালো লাগে। এবং তাকে নিয়ে যে আমরা কিছু সময় হাসি আনন্দ করতে পারি তাতে আমাদের মন অনেকটা ভালো হয়ে যায়।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে কাজের ভিতর যদি একটু আনন্দ না থাকে তাহলে সে কাজে কখনো মন বসে না, আপনি আপনার কাজের ভিতরে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত বিষয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ,ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আপনি।
কাজের মধ্যে যদি আনন্দ না থাকে তাহলে সেই কাজ করে মজা পাওয়া যায় না। এবং কাজের মধ্যে কিছু বিনোদনের অবশ্যই প্রয়োজন আছে। যা আমরা মাঝেমধ্যে করে থাকি তাইতো আমাদের মন ভালো থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে খুবই সুন্দর মন্তব্য উপহার দেওয়ার জন্য।
যেকোনো জায়গায় সারাদিন কাজের মধ্যে কয়েকবার রেস্ট টাইম দেওয়া হয় তেমন আপনাদেরও।। আর হ্যাঁ করানোর মধ্যে কাজ করার পর ঠান্ডা খেতে কার না ভালো লাগে।। অতিরিক্ত গরমের মধ্যে ঠান্ডা খেলে শরীর একদম ঠান্ডা হয়ে যায় তখন অনেক ভালো লাগে।। কাজের মধ্যে থাকা কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।।
জি ভাই যে কোন জায়গায় যে কোন কাজের রেস্ট টাইম দেওয়া হয় আমাদেরও দিয়ে থাকে। এটা একদম সত্য কথা বলেছেন গরমের মধ্যেও ঠান্ডা খেতে অনেক ভালো লাগে কিন্তু অতিরিক্ত ঠান্ডা খেলে নিজের শরীর আবার খারাপ করে। সুন্দর মন্তব্য তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
যেকোনো জিনিসেরই অতিরিক্ত খেলে শরীরের জন্য অনেক বেশি ক্ষতি করে থাকে তাই অতিরিক্ত কোন কিছুই খাওয়া ভালো না।। আর রেস্ট সময় কাটাতে প্রতিটি মানুষের অনেক ভালো লাগে।।
ভাই আপনারা যেভাবে বিল্ডিং এর উপরে এবং রোদের মাঝে কাজ করেন সেখানে কাজের মধ্যে বিরতি না নিলে একটানা কাজ করা কখনো সম্ভব নয়।
তবে হ্যাঁ! কাজের মধ্যে যদি আনন্দ না থাকে তাহলে কাজ করে শান্তি পাওয়া যায় না। বিশেষ করে প্রবাস জীবনে।
আপনারা সবাই কাজ শেষ করে ক্যান্টিনে গিয়ে ঠান্ডা খেয়েছেন।
সুন্দর একটি মুহূর্ত নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
টিক্টকে যারা ভিডিও বানায় তারা আসলে একটা নেশার মত আশক্ত হয়, এতে অবশ্য তারা অনেকেই ভালো রোজগাড় করে, বাড়তি টাকা উপার্জন করলে আমার কাছে দোষের কিছু মনে হয় না। ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে। পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম