মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টের মধ্যে থেকে কিছু ফটোগ্রাফি ।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টের মধ্যে থেকে কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করা। আমি অবশ্যই মালয়েশিয়া এসেছি দুই বছর কিন্তু এয়ারপোর্টে এই প্রথম গিয়েছি। মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট আমি ভেতর থেকে দেখেছিলাম এর আগে এক বার। কিন্তু নিচে আসতে পারিনি আমি ছিলাম উপর তলায়।
অনেকেই হয়তো বা জানেন আমি মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট থেকে মালয়েশিয়ায় আসি নাই। আমি মূলত এসেছিলাম ইন্দোনেশিয়া দিয়ে। এক কথা বলতে গেলে অবৈধ ভাবে নদী পথে এসেছিলাম। যাইহোক মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টে এই প্রথম গিয়ে সত্যি ভালো লেগেছিল। কিন্তু অনেকটা খারাপ লেগেছিল মামুন ভাইকে যখন সেখানে রেখে চলে এসেছিলাম। আসলে মূলত আমি এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম মামুন ভাইকে রাখতে।
যাহোক তাহলে দেরি না করে মূল কথায় ফিরে যাই। আসলে মামুন ভাই যখন রুম থেকে যাবে তার আগের দিন আমাকে বলেছিল এয়ারপোর্টে যাওয়ার কথা। হয়তোবা তার ভালো লাগছিল না এবং পাসপোর্ট থাকার মধ্য বর্তমানে আমাদের মধ্যে এখন আমার আছে। আমার সাথে আরো দুইটি ভাই আছে তাদের কারোর পাসপোর্ট নাই। যেহেতু তারা তার সাথে যেতে পারবে না এবং তারা না যাইতে চাইলেও কোন সমস্যা নেই।
এবং মামুন ভাই জানে তাদের বললে হয়তো বা তারা মনে মনে রাগ করতে পারে কিন্তু আমার বললে রাগ করবো না। কারন সে তো আমার ভাই যাই হোক বললাম সমস্যা নেই তোকে রেখে আবার চলে আসব। আমরা এখান থেকে একটি মালয়েশিয়ার মানুষের গাড়ি ঠিক করেছিলাম। কারণ যেহেতু রাতে যেতে হবে সেখানে গিয়ে গ্রাফ নিয়ে ঝামেলা করব না বলে আমরা রিযাব গাড়ি ঠিক করে যাই।
গাড়ির সেই মানুষটি আমাকে বলেছিল এক ঘণ্টার মধ্যেও চলে আসতে। আমি এয়ারপোর্টের মধ্য এই সরাসরি প্রথম যাচ্ছি। অবশ্যই মামুন ভাই এর আগে অনেক বার গিয়েছে অন্য মানুষ কে রাখতে আবার নিজে আগে এক বার বাড়ি গিয়েছিল সব কিছু সে জানে। যাই হোক সেখানে গিয়ে আমার বলল তুই এখানে দাঁড়া আমি আমার জিনিস গুলো সিরিয়াল দিয়ে আসি। আমি তখন সেখানে বসে কয়েকটি ছবিও ধারণ করি।
এবং সেখানে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছে সবাই তাদের জিনিস গুলো প্লেনে দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। যাই হোক সেখানে গিয়ে জানতে পারি মামুন ভাইয়ের জিনিস কিছুটা বেশি হয়ে গিয়েছে। যেটা তার নেওয়ার কথা ছিলো তার চেয়ে অধিক বেশি জিনিস সে নিয়ে ফেলেছে। তাকে ১ কেজি জিনিস বেশি হওয়ার জন্য ৩০ রিঙ্গিত করে জরিমানা দিতে হয়েছিল।
সেখানে রেস্টুরেন্ট বা অনেক কিছুর আয়োজন আছে।চারি দিকে শুধু লাইট আর লাইট এবং সেখানে বিভিন্ন দেশের মানুষ উপস্থিত আছে। ইন্দোনেশিয়া চিনা বাংলাদেশী ইন্ডিয়া আরো অনেক দেশের মানুষ তার মধ্যে আছে। বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট এর মধ্যেও সাধারণ মানুষ যেতে পারে না। এবং যদিও আগে যেতে পারতো কিছু টাকা দিয়ে। কিন্তু এখানে এই নিয়মটা নাই এখানে যে কোন মানুষ এয়ারপোর্ট এর মধ্যে যেতে পারবে। কিন্তু ইমিগ্রেশনের আগে পর্যন্ত তারপরে আর কেউ যেতে পারবে না।
তার মধ্য অনেক সিকিউরিটি আছে মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট এর মধ্যেও অনেক নিয়ম কড়া। এবং আরো একটি জায়গায় মামুন ভাইয়ের জিনিস দেওয়ার জন্য সেখানে গেলাম। আমরা মনে করেছিলাম এই জিনিস গুলো হয়তোবা দিতে খুব বেশি সমস্যা হবে না। কিন্তু পরবর্তীতে জানতে পারি সেখানেও অনেক টাকা জরিমানা লাগে।
যাই হোক আমার ১ ঘন্টা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমার গাড়ির ড্রাইভার ফোন দিয়েছিল। তাই আমি মামুন ভাইয়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। কিন্তু সত্য কথা বলতে তাকে ছেড়ে আসতে অনেক খারাপ লাগছিল। একজন মানুষ যদি বাংলাদেশে যায় এবং অন্যজন তাকে ছাড়তে যায় তখন তার অনেক বেশি খারাপ লাগে। হয়তোবা যে মানুষটি বাংলাদেশে যাচ্ছে তার অনেক আনন্দ হচ্ছে। কিন্তু যে মানুষটি তার রেখে আসতে গিয়েছে তার সব চেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে।
এইটা আমি সেই দিন অনুভব করতে পেরেছিলাম যখন তাকে রেখে আমি চলে আসছিলাম। যাইহোক বন্ধুরা এখানে মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট এর মধ্যে বিভিন্ন স্থানের ছবি আছে যতটুকু আমি দেখেছিলাম তার। যাহোক বন্ধুরা আমি আশা করব এই ফটোগ্রাফি এবং মামুন ভাইয়ের রেখে আসার মুহূর্তটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমি কখনো এয়ারপোর্টের ভিতরে ঢুকে দেখিনি ।সর্বদায় বাইরে থেকে দেখেছি। আপনি আপনার বন্ধুকে ছাড়তে এসে এয়ারপোর্টের সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে শেয়ার করেছেন। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে এয়ারপোর্টের অনেক ছবি দেখতে পেলাম। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন।
আমি দোয়া রাখি আপনি খুবই দ্রুত এয়ারপোর্ট এর মধ্যে গিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে সময় কাটাবেন এবং বাহিরে থেকে দেখেছেন ভেতরে গিয়ে দেখলে যে কোন এয়ারপোর্ট অনেক সুন্দর লাগবে। আমিও একটি সময় বাহিরে থেকে এয়ারপোর্ট অনেক দেখেছি তবে পরিস্থিতির কারণে অনেক বার বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট এর মধ্য গিয়েছি এবং বাহিরে আসার সময় ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট দেখেছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য পড়ে।
প্রথমবার এয়ারপোর্টে যেয়ে নিশ্চয়ই আপনার অনেক ভালো লেগেছে।। আর আপনি মালয়েশিয়াতে অন্যভাবে গিয়েছেন তাই এরপর দেখা হয়নি।। আপনি বেশ দক্ষতার সাথে এয়ারপোর্টের সকল ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগছে।।
অবশ্যই ভাই আসলে এই দ্বিতীয় বার মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট এর মধ্য আমি গিয়েছি তবে প্রথম বার সরাসরি গিয়েছি যখন এসেছিলাম তখন মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট হয়ে ইন্দোনেশিয়া এয়ারপোর্টে গিয়েছিলাম। তবে মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট এর মধ্যে থেকে আমি বাহিরে আসতে পারিনি। যাই হোক অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্টের অভিজ্ঞতা আর সেই মুহূর্তগুলো খুবই আবেগময় ছিল। ছবিগুলো দারুণ এবং আপনার লেখার মাধ্যমে সেই অভিজ্ঞতাগুলোও জীবন্ত হয়ে উঠেছে। মামুন ভাইকে বিদায় জানানো সত্যিই হৃদয় ছোঁয়া, কারণ প্রিয় মানুষকে বিদায় দেওয়া সবসময় কঠিন। আশা করি তিনি ভালোভাবে বাংলাদেশে পৌঁছাবেন এবং আপনার এই স্মৃতিগুলো অনেকদিন মনে থাকবে। শুভকামনা রইল।
জি আপু বর্তমান সময়ে আমাদের স্মৃতি ধরে রাখার মধ্য আছে শুধু ছবি গুলো আমরা এখন খুব সহজে অনেক পুরাতন স্মৃতি গুলো নিজেদের কাছে রাখতে পারি নিজেদের মোবাইলে ছবি ধারণ করে। এবং তার রেখে আসার অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে তবে মালয়েশিয়া এয়ারপোর্ট এর মধ্যে গিয়ে আমি সত্যি কিছুটা আনন্দ অনুভব করতে পেরেছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
আমি আপনার প্রশ্নের টাইটেল পড়ে প্রথমে ভাবছিলাম আপনি কি দেশে ফিরছেন। কিন্তু পোস্টটা সম্পূর্ণ করে বুঝতে পারলাম আপনি আপনার বন্ধুকে মালয়েশিয়া এয়ারপোর্টে বিদায় জানাতে এসেছিলেন,,
এর আগেও কয়েকটা পোস্টে দেখেছি আপনার বন্ধু কেনাকাটা করছে দেশে ফেরার উদ্দেশ্যে আর আজ তাকে বিদায় জানিয়েছেন আপনি সত্যি এই মুহূর্তটা সবচেয়ে বেশি কষ্টদায়ক, হয়তো আপনার এই কষ্টটা বুঝবোনা তবে আপনার জায়গায় নিজেকে দাঁড় করালে হয়তো কিছুটা অনুভব করতে পারবো।তবে ভেঙ্গে পড়বেন না ইনশাআল্লাহ একদিন আপনিও দেশের মাটিতে পা ফেলতে পারবেন।।
ভালো লাগলো পোস্টে পড়ে।
যদিও এই ভাবে এক দিন জানতে পারবেন আমিও বাংলাদেশে যাচ্ছি যদি আল্লাহতালা আমাকে বাঁচিয়ে রাখেন। যদি জীবনে বেঁচে থাকি ইনশাল্লাহ বাংলাদেশে একদিন যাবো কারণ সারা জীবন তো আর এই বাহিরে থাকবো না। আসলে মামুন ভাই বাড়ি যাচ্ছে তাই তাকে বিদায় জানাতে গিয়েছিলাম সত্যি আসার সময় অনেক খারাপ লেগেছিল আমার। এক মুহূর্তের জন্য শুধু ভেবেছিলাম যদি আমিও বাড়ি যেতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো হতো। এবং সেটাই সব চেয়ে বড় খারাপ লাগার মুহূর্ত ছিলো আমার কাছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
যদিও আপনি এই নদীপথে মালয়েশিয়াতে গিয়েছেন কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেছে যার কারণে আপনি সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারেন আজকে যখন মামুন ভাই দেশে ফিরে আসছে তখন আপনি তার সাথে এয়ারপোর্টের মধ্যে কিছুটা সময় কাটিয়েছেন।
প্রতিটা দেশের মতো যদি আমাদের দেশেও প্রতিটা বিষয়ের উপর একটু নজরদারি দেয়া হতো তাহলে আমাদের দেশ আরো বেশি উন্নত হতো মামুন ভাই দেশে আসার কারণে হয়তোবা তার একটু মন খারাপ তাই আপনাকে নিয়ে এসেছে আপনারা দুই ভাই মিলে মালেশিয়া এয়ারপোর্টে অনেক বেশি আনন্দ করেছেন যেটা আপনার ফটোগ্রাফি এবং আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম ধন্যবাদ চমৎকার ফটোগ্রাফি এবং বড় ভাইকে বিদায় জানানোর মুহূর্ত আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলে সরকারি ভাবে আসার জন্য অনেক ভাবে চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কপালে ছিলো না বলে হলো না তাই বাধ্য হয়ে নদীপথে এসেছিলাম। যাইহোক আসলে সে বাড়ি যাবে এবং এখানে আমরা তিন জন ছিলাম আমি খুব বেশি ভাষা না জানলেও বাহিরে যাওয়ার মতো এখন কিছুটা ভাসা জানি তার পাশাপাশি পাসপোর্ট হাতে আছে বলে সে আমাকে বলেছে। এবং বাড়ি যাওয়ার আনন্দ তার অনেক বেশি ছিলো কারণ অনেক বছর পর নিজের পরিবার কাছে পাবে। যাই হোক মালয়েশিয়ার এয়ারপোর্ট এর মধ্য গিয়ে সত্যি আমি অনেক খুশি হয়েছিলাম তবে আসার সময় অল্প একটু মন খারাপ হয়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
@baizid123 ভালই হয়েছে আপনার পাসপোর্ট হয়ে গেছে। কোনো দেশে কাজের সূত্রে থাকতে হলে মাথা উঁচু করে থাকায় ভালো।
লুকোচুরির খেলায় একটা অজানা ভয় সবসময় তারা করে বেড়ায়।
আপনার ভাই কি দেশে গিয়ে ভিড়ে হারিয়ে গেছেন?
না, মানে আজকাল তার উপস্থিত নেই বললেই চলে, আগে তবুও discord এ দেখা মিলতো।
অনেক বছর পর পরিবার পেয়ে নিশ্চই আনন্দ করতে ব্যস্ত। যদিও সেটাই করা উচিৎ আমি মজা করে বললাম।
আমি যতটুকু তার বিষয়ে জেনেছি সে এখন বাইক নিয়ে এবং নিজের পরিবার নিয়ে অনেক ব্যস্তর মধ্যে আছে। যদি তার কাছে এখন ফোন দেওয়া হয় সে ফোন রিসিভ করে এবং বলে ফ্রি হয়ে কথা হবে। অবশ্যই অনেক দিন পরে নিজের বাচ্চাদের এবং পরিবার কাছে পেয়েছে সময় দিচ্ছে তাদের সাথে।
এবং এটা ঠিক কথাই বলেছেন লুকোচুরি করে কখনো একটি দেশে ভালো ভাবে থাকা যায় না এখন যেহেতু পাসপোর্ট হয়ে গিয়েছে অনেক ভালো আছি। অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।