হাজার হাজার প্রবাসী পরিশ্রম করে যাচ্ছে, নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।
যে যেখানে আছেন আপনারা সবাই ইনশাল্লাহ ভালো আছেন। এবং আপনাদের সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এবং ঈদ মোবারক।
ইনশাল্লাহ দেশ বিদেশ থেকে অনেক মানুষ বাড়ি ফিরছে এই পবিত্র ঈদ উপলক্ষে। কারণ সবাই চায় তার পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করবে। বাংলাদেশে এখন চলছে প্রতিটি বাড়ি ঈদের আনন্দ। রাত পার হলে ঈদ সবার মনে এখন বর্তমানে অন্যরকম একটি আনন্দ তৈরি হয়ে আছে। এবং আশা রাখি সবাই নিজের পরিবারের সাথে সুস্থ ভাবে ঈদ উদযাপন করবে।
কাজ করার সময় ছবিটি ধারণ করা হয়েছিল। |
---|
এই কোরবানি ঈদ একটি বছর পরে আবার আমরা ফিরে পেয়েছি। তার ভেতর থেকে অনেক মানুষ হারিয়ে গিয়েছে আমাদের জীবন থেকে। ইনশাল্লাহ আল্লাহর কাছে আমরা সবাই শুকরিয়া আদায় করব। এবং আমাদের জীবনের গুনা সবকিছু মাপ চাইবো। কারণ সামনের বছর হয়তোবা আমরা এই কুরবানী ঈদ অনেকে করতে পারব কি না আমরা সঠিক জানি না।
কোন একটি সময় সকালের সূর্যের ছবি ধারণ করেছিলাম। |
---|
যাই হোক ঈদের জন্য বাংলাদেশে বা বিভিন্ন দেশের মানুষেরা অনেক শপিং করছে। সেখান থেকে কিছু মানুষ চাকরিজীবী বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আবার অনেকেই করছে ভ্যান চালক বা বিভিন্ন যানবাহন চালক। যাইহোক সবাই তার পরিবারের জন্য টাকা উপার্জন করছে। ঈদের শপিং করে নিচ্ছে তার নিজেদের পরিবারের মানুষ। আসলে সেই মানুষটি ঈদের জন্য কোন শপিং করেছে কি না অনেক মানুষ কিন্তু খোঁজ খবর নেয় না।
অবশ্যই আমাদের প্রত্যেকের খোঁজ খবর নেওয়া উচিত। কারণ যে কোনো পরিবারের একটি মানুষ এই টাকা গুলো উপার্জন করছে। এবং সে গুলো তার নিজেদের পরিবারের মানুষ খরচ করছে। নিজে একটি ভালো শার্ট ভালো প্যান্ট না নিয়ে। নিজের পরিবারের মানুষের জন্য অনেক দামি দামি ভালো জামা প্যান্ট নিয়ে দিচ্ছে। একটি পরিবারের দায়িত্বশীল মানুষ। যাইহোক যেহেতু একটি বছর পরে পেলাম একটি বছরের দিন। জানি না সৃষ্টিকর্তা গতো কালকের দিনটি কি ভাবে কাটাতে দেবে। তবে আশা রাখি গতো কালকের দিনটি ভালো কাটবে।
যখন সবাই কাজ করছিল তখন কার একটি ছবি। |
---|
আসলে আমাদের এখানে আমরা প্রবাসী হয়ে আছে হাজারো মানুষ। তার ভেতর থেকে ১০০ জনের মধ্য ৯৫ জন মানুষ নিজের কথা না ভেবে নিজের পরিবারের কথা ভাবে। নিজে একটি ভালো জামা ভালো প্যান্ট না নিয়ে নিজের পরিবারের জন্য ভালো শার্ট ভালো প্যান্ট তৈরি করার টাকা দিচ্ছে। আমি নিজেও কিন্তু একটি সময় বাংলাদেশে অনেক আনন্দের সাথে ঈদ কাটিয়েছি।
যাইহোক যতোদিন যাচ্ছে জীবন থেকে ততো দিন বদলে যাচ্ছে। একটি সময় ছিলো ভালো একটি জামা ভালো একটি প্যান্ট না তৈরি করে দিতে পারলে। ঈদের দিন মন খারাপ করে বসে থাকতাম। কিন্তু এখন সেই ইচ্ছা গুলো নিজের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। গতকালকে বছরের একটি দিন এবং আব্বু ভাবি বলছে নিজের জন্য কিছু নিয়ে আসার জন্য। আসলে সেই ইচ্ছাটা আর এখন নেই এবং ইচ্ছা আছে কিন্তু উপায় নেই। যাইহোক মনে চাচ্ছে কিছু নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু আবার ভাবছি এখন আমি যদি নিয়ে আসি একটি দিন পরে আর পড়তে পারব না। আমার মতো হয়তো অনেক মানুষ এই কথা ভেবে তাদের নিজেদের জন্য কিছু নিয়ে আসে না।
কাজের জায়গা থেকে একটি ছবি ধারণ করা। |
---|
গতকালকে একটি বছরের দিন আসছে আমাদের জীবনে। কিন্তু আজকে কাজে যেতে হয়েছিল যেটা জীবনের সব চেয়ে একটি স্মৃতিময় দিন হয়ে আছে। স্মৃতিময় হয়ে আছে কারণ জীবনে প্রথম ঈদের আগের দিন আমি কোন কাজে গিয়েছি। বাড়ি থাকলে হয়তো বা আজকের দিনটা আমি আনন্দের সাথে কাটাতাম এবং মেহেদী নিয়ে আমার আন্টির কাছে চলে যেতাম হাতে দেওয়ার জন্য। হয়তো বা দেখানোর জন্য কোন মানুষ ছিলো না তবে নিজের মনে চাই বলে হাতে প্রতি বছর মেহেদি দিতাম।
কিন্তু এই দুইটি বছরে আমি চারটি ঈদ বিদেশে পালন করছি। এবং এই দুই বছরের মধ্য আমি হাতে এক দিনও মেহেদি দিতে পারিনি। যে ইচ্ছা গুলো সময়ের সাথে সাথে নিজের জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। এই দুইটি বছরের মধ্যে ঈদের দিন আমি নতুন একটি শার্ট প্যান্ট নিতে পারিনি। কারণ নিজের পরিবারের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের শখ গুলো জীবন থেকে হারিয়ে গিয়েছে। হয়তোবা অন্য সময় কোন একটি ভালো শার্ট ভালো পাঞ্জাবি বা ভালো গেঞ্জি নিয়েছি। কিন্তু বছরের নতুন দিন ঈদের দিন পালন করব বলে কখনো একটি শার্ট প্যান্ট নিতে পারলাম না এটাই বড় আফসোস।
আমরা যেখানে কাজ করি। |
---|
আজকে সকালে কাজে গিয়ে সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম অনেক মানুষ সেখানে কাজ করছে। আসলে এক দিন কাজ না করলে কোন মানুষের ক্ষতি হয় না। তবে মানুষ চিন্তা করে এই বিদেশে একটি দিন বসে থাকলে আমার সব দিক থেকে লস হয়ে যাবে। লস বলতে গতকালকে ঈদের দিন এবং একটি মানুষ এখানে যে টাকা বেতন পায় সেখান থেকে একটি মানুষের এক দিন কাজ করলে পাঁচ দিন চলতে পারে। এবং নিজের পরিবারে কিছু টাকা দিতে পারে যার জন্য মানুষ এখানে বসে থাকতে চায় না।
অনেক বিদেশী পরিবার আছে বাংলাদেশে নিজের মন খুলে শপিং করছে। কিন্তু একটি মানুষ ও খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। যে মানুষটির টাকায় আমি আজ শপিং করছি সেই মানুষটি কিছু নিয়েছে কি না। সেই মানুষটি ঈদের দিন কিছু ভালো জামা প্যান্ট পরবে কি না। আমি অনেক মানুষের দেখেছি এমন কারণ এসেছি তো দুইটি বছর এই বিদেশে। তাই কম বেশি দেখছি এবং নিজে কিছু শিখছি। বিদেশে যারা আছে তারা প্রতি দিন তার নিজের পরিবারের মানুষ কেমন আছে খোঁজ নিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে যারা আছে একজন প্রবাসী কি করছে বা কেমন ভাবে চলছে এটা কারো দেখার সময় নাই।
Device | Name |
---|---|
Android | VivY77 /v2169 vivo |
Camera | focal length:26mm(equivalent to 35mm focal length film) |
Location | Malaysia 🇱🇷🇱🇷🇱🇷 |
Short by | @bayezid123 |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মুবারক। ভাই আপনারা আমাদের দেশের সম্পদ। আপনারা রেমিটেন্স যোদ্ধা। আপনাদের জন্য আমরা সকলেই মন থেকে দোয়া করি। দেশে ছেড়ে বিদেশে গিয়ে আছেন, এই ঈদে পরিবার ছাড়া ঈদ করছেন সব মিলিয়ে আপনাদের সান্তনা দেয়ার মতন ভাষা হয়তো আমাদের জানা নেই।
তবে ভাই দোয়া থাকবে সবসময়। আপনারা যেখানেই থাকুন, যেভাবেই থাকুন নিরাপদে থাকুন। সকল কাজে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন সেই কামনা করছি। আশা রাখছি খুব শীঘরই আপনি দেশে ফিরতে পারবেন এবং সামনের ঈদ পরিবারের সাথে করতে পারবেন। ভালো থাকবেন ভাই।
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা রইল ঈদ মোবারক। ইনশাল্লাহ আপনি আমার জন্য দোয়া রেখেছেন আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি। এবং জানিনা সৃষ্টিকর্তা সেই সৌভাগ্য আমাকে দেবেন কি না। কিন্তু নিজের মনের ভেতরে অনেক ইচ্ছা আছে। এবং যদি সম্ভব হয় ২০২৬ সালে বাড়ি গিয়ে নিজের পরিবারের সাথে কোন না কোন ঈদ উদযাপন করব ইনশাল্লাহ। খুব সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
প্রবাসী ভাইয়েরা তাদের সকল সুখ বিসর্জন দিয়ে পরিবারের মুখে হাসি ফোটায়। তারা সেখানে কত কষ্টে জীবন যাপন করলেও দেশে তার পরিবার ঠিকমত ঈদের কেনাকাটা করেছে কি না সেদিকে অবশ্যই লক্ষ রাখে। আপনার মতন হাজার হাজার প্রবাসীদের মন থেকে শ্রদ্ধা জানাই। আপনারা নিজেদের পরিবার তথা দেশের জন্যও অনেক বড় সম্পদ। আপনাদের উপর ভিত্তি করেই আমাদের দেশের রেমিটেন্স শিল্প দাঁড়িয়ে আছে। পরিবারের সবার পাশাপাশি একটু নিজের জন্যও চিন্তা করেন ভাই। জীবন তো একটাই।
আরেকটা বিষয় আপনার পোস্টে 'গতকাল' কথাটা বারবার ব্যবহৃত হয়েছে। ওটা সম্ভবত 'আগামীকাল' হবে। একটু চেক করে নিবেন। ধন্যবাদ।
নিজের পরিবার কেমন আছে একজন প্রবাসী সব সময় ভেবে থাকে এবং ভবিষ্যতেও ভেবে যাবে নিজে যেমনই অবস্থায় থাকুক না কেন তার পরিবারকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাই একজন প্রবাসী। যাইহোক খুবই সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো এবং আপনি যেটি বলেছেন সেদিকে আমি অবশ্যই চেক করে নেবো ধন্যবাদ আপনাকে ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
সত্যি বলতে আপনার প্রতিটি পোস্টের টাইটেল অনেক বাস্তবসম্মত হয়ে থাকে। আমাদের আশেপাশে যারা প্রবাসে গিয়ে পরিশ্রম করে তাদের উপার্জনের টাকা তার পরিবারকে দিয়ে থাকে। দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে তার অর্জিত টাকার সিংহভাগ তার পরিবারের খুশির জন্যই ব্যয় করে থাকে। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে। ভালো থাকবেন।
বিশেষ করে ঈদের সময় আসলে একজন প্রবাসীর পরিবার অনেক গুলো মার্কেট করে থাকে। তাদের নিজেদের শখ আহ্লাদ পূরণ করে থাকে। কিন্তু এক বারও চিন্তা করে না ঈদের দিন ও হাজারো মানুষ পরিশ্রম করে যাচ্ছে নিজের পরিবারের জন্য। কাজ না করলে কোন মানুষের সমস্যা হয় না। কিন্তু বসে থাকলে চিন্তা করে বসে থাকলেই তাদের সব কিছু লস হয়ে যাবে। পরিবারে টাকা পাঠাতে সমস্যা হয়ে যাবে। যার জন্য তারা উপার্জিত করে যায় কিন্তু পরিবারের মানুষ এই গুলো যদি বুঝতো তাহলে হয়তো বা একজন প্রবাসীর মনের শান্তি লাগতো।
ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
একজন প্রবাসী পরিশ্রম করে যত টাকা পয়সা উপার্জন করে তার বেশিরভাগই তার পরিবারের মানুষের কাছেই পাঠিয়ে দেয়। নিজে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে পরিবারের মানুষের মুখে হাসি ফুটায় একজন প্রবাসি। তবে কষ্ট লাগে তখন যখন বাড়িতে সবাই আনন্দ করছে কিন্তু প্রবাসি সেদিনও কষ্ট করছে এবং পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারছে না। ভালো থাকবেন, ভাই।
কথায় আছে কষ্ট করলেই তো কেষ্ট মেটে পরিবারের সবাই তো একই রকম নয় কেউ কষ্ট করে কেউ আবার বসে খাবে এটাই তো পরিবারের নীতি তবে পরিবার সুখে রাখার জন্য একটু কষ্ট আমাদের সবারই করতে হয়। তবে প্রবাসীরা একটু ব্যতিক্রম নিজে কষ্ট করে তবে পরিবারের সেই ভালোবাসা আদর যত্ন মায়া মমতা থেকে দূরে থাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রবাসীদের দুঃখ আপনার নিজের মত করে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।
প্রবাসী হচ্ছে আমাদের দেশের একজন সহযোদ্ধা। দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য তারা প্রতিনিয়ত নিজেদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, যুদ্ধ করে যাচ্ছে। শুধুমাত্র নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য। বিদেশ থেকে যে মুদ্রা আমাদের দেশে আসে। সেটা দিয়ে কিন্তু আমাদের দেশের অনেকটা সমস্যার সমাধান করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রত্যেকটা পরিবারের।
প্রবাস আছে বলেই হয়তোবা মানুষ এত শান্তিতে এই দেশে বসবাস করতে পারছে। তা না হলে হয়তো বা দেশে কত ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতো। তা একটু কল্পনা করতে গেলে শরীর শিউরে ওঠে। আরো অনেক বেশি ভয় লাগে। ধন্যবাদ প্রবাস জীবনে পরিশ্রম নিয়ে এত সুন্দর একটা বিষয় আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।