শরীর অসুস্থ থাকলে কোনো কিছু ভালো লাগে না।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমি খুব বেশি ভালো নেই যেটা আমি আমার আগের পোস্টেও বলেছিলাম। যাই হোক আজ কিছু লিখতে ভালো লাগছিল না। তবুও ভাবলাম আজ সুস্থ ও অসুস্থ থাকা নিয়ে লেখা যাক। কারণ আজ আমি অনেক অসুস্থ আছি ।তাই এটাকেই আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
সুস্থ থাকা ও অসুস্থ থাকা এটা সৃষ্টিকর্তার একটি নেয়ামত। মানুষ কখনো অসুস্থ হবে বা কখন সুস্থ থাকবে কেউ বলতে পারে না। বাংলাদেশে অনেকেই অসুস্থ হয়েছে । যেটা আমি পোস্ট পড়ে বুঝতে পেরেছি অনেক মানুষের। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশে অনেক মানুষের সর্দি জ্বর কাশি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কিন্তু এক ঋতুর দেশ এখানে আবহাওয়া সব সময় পরিবর্তন হয়। কারণ এখানে প্রতি দিন বৃষ্টি হয় যার জন্য ঠান্ডা আবহাওয়া চলে আসে। এবং প্রতি দিন অনেক রোদ্দুর দেখা যায়। তখন রোদে গিয়ে দাঁড়ানো অনেক কষ্ট হয়ে যায়।
আমি সর্ব প্রথম যখন মালয়েশিয়ায় এসেছিলাম তখন জ্বর এসেছিল একটানা ২০,২৫ দিন ছিলো। সেটা সেরে যাওয়ার পরে অনেক দিন ভালো ছিলাম। কিন্তু আজ ২-৩ দিন ধরে ঠান্ডা অনুভব অনেক বুঝতে পেরেছি। আজকে তো প্রচন্ড সকালে জ্বর এসে যায়। যার জন্য আজকে আমি কাজেও যেতে পারিনি। এখনো যে আপনাদের মাঝে পোস্ট লিখছি গায়ে কিন্তু জ্বর আছে। আজকে সারাটা দিন আমি রুমে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়েছি।
বাংলাদেশ থেকে কিছু ঔষধ আমার কাছে ছিলো যে ঔষধ গুলো আমি সেবন করছি। অবশ্যই ঠান্ডা জ্বর বা হালকা ব্যাথা অনুভব হলে। সবাই বাংলাদেশ থেকে আনা ঔষধ গুলো খেয়ে থাকে। আমার কাছেও বাংলাদেশের ঔষধ আছে তাই আমি সেটাই খাচ্ছি। যদি এটা খেয়ে না সেরে যায় তাহলে ক্লিনিকে যেতে হবে আমার। কারণ আমার যখন জ্বর আসে অতীত দূরত্ব সারে না সেটা। মাথাটা এতোটা যন্ত্রণা করছে যে আমি বলে বোঝাতে পারবো না।
যাই হোক সৃষ্টিকর্তার কাছে আমরা প্রার্থনা করি তিনি আমাদের যে ভাবে নিয়ে যাচ্ছে ভালো নিয়ে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে অসুস্থ হলে আমরা অনেক খারাপ অনুভূতি নিয়ে আসি। বিশেষ করে বাহিরে যখন মানুষ অসুস্থ হয়। তখন এই অসুস্থ শরীর নিয়ে চলাফেরা করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। কারণ আমাদের পাশে দেখাশোনা করার মতো কোন মানুষ থাকে না। যেটা বাংলাদেশে থাকলে নিজের পরিবারের মানুষ করে। সেই যত্নটা এখানে কেউ করে না।
বাহিরে আছি এখন কিছুটা বুঝতে পারি। সকালে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিল ওঠে গোসল করে কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিতে। সারাদিন কি করছি বা ঔষধ খেয়েছি এই কথাটি সোনার মানুষ পায় নাই। নিজের শরীর ভালো রাখার জন্য নিজের দায়িত্ব নিয়ে ঔষধ খেতে হবে। নিজে সুস্থ হতে হলে নিজে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। বাড়ি থাকলে নিজের বাবা বা নিজের মা খাওয়া দাওয়া করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। বা দিনে অনেক বার বলে থাকে ঔষধ খেয়ে নেওয়ার কথা। কিন্তু এই বাহিরে সেই মানুষটাই আমরা খুঁজে পায় না।
সারাদিন রুমের মধ্যে ঘুমিয়ে আছি। যখন সবাই দুপুরে খাওয়া দাওয়া করতে আসে। তখন উঠে তাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিয়েছি। তারা ডিউটিতে চলে যাওয়ার পরে আবার ঘুমিয়ে পড়েছি। ডিউটি শেষ করে তারা যখন রুমে আসে। তাদের সাথে আবার রান্নার কাজে কিছুটা সহযোগিতা করেছি। এখানে কেউ দেখতে আসবে না আমি অসুস্থ আছি কি সুস্থ আছি । এভাবে পার করতে হচ্ছে আমাদের বাইরের জীবন এবং করতে হবে।
মাঝে মাঝে অনেক বিরক্তি হয়ে পড়ি কেনো যে এসেছিলাম এই বাহিরে। মাঝে মাঝে ছোট ছোট আনন্দ গুলো মনে আনন্দ নিয়ে আসে তখন ভালো ও লাগে। তাই বলছি বাংলাদেশে থাকলেও নিজের পরিবারের মানুষ আছে কাছে। অসুস্থ হলেও নিজের পরিবারের মানুষ কাছে পাচ্ছেন। এটা সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা রাখুন আপনি যেখানে আছেন ভালোই আছেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া সুস্থ থাকা অসুস্থ থাকা সব কিছু সৃষ্টিকর্তার হাতে।কিছুদিন আগে আমিও অসুস্থ ছিলাম হালকা ঠান্ডা জ্বর হয়েছিল কিন্তু সেটা ভালো হতে না হতেই আবারো ঠান্ডা লেগেছে প্রচন্ড শরীর খারাপ লাগতেছে।
যাই হোক আপনি মালয়েশিয়া আছেন। আমরা তবুও পরিবারের সাথে আছি।দেশে থাকার এটাই সুবিধা,, কেউ না কেউ বলবে যে ওষুধ খাও। মন খারাপ করিয়েন না নিজের প্রতি যত্ন নেন। ওষুধ খান ইনশাল্লাহ তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন।
একবার ঠান্ডা জ্বর হয়ে যাওয়ার পরে আবারো ঘুরে ফিরে ঠান্ডা জ্বর আসলে লক্ষণ টি খারাপ আপনি ভালো একটি ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করুন। এবং আল্লাহ তালার কাছে প্রার্থনা করি আপনি যেনো খুবই দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। আসলে বাহিরে কেউ সেই ভাবে খেয়াল করে না এখানে নিজেদের শরীরের প্রতি নিজেদের যত্ন নিতে হয় যাই হোক সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মাঝে মাঝে অসুস্থ আমাদেরকে এমনভাবে ঘিরে ধরে কিছু করতে মনে চাইলেও এটা করতে পারি না আর আপনি একদম ঠিক বলছেন অসুস্থ শরীর নিয়ে আসলেই কোন কাজেই মন বসে না। আপনার জন্য দোয়া রইল আপনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আবারও স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারেন।