গতকালকে আনন্দ করে আমরা সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম তার কিছু মুহূর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা, আমার নতুন পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম।
আজকে ঈদের পরের দিন, কোরবানি ঈদের পরের দিন মানুষজন সবাই ব্যস্ত বেশি থাকে। কারণ ঈদের দিন মানুষ কোথাও ঘুরতে যেতে পারেনা। যার জন্য ঈদের পরের দিন মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত থাকে এটা আমি জানি। যাই হোক গতকালকে আমি বলেছিলাম। আপনাদের মাঝে আমি শেয়ার করব আমরা সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া করেছিলাম এবং কেমন আনন্দ করেছিলাম সেই বিষয়ে আলোচনা করব।
যাই হোক গতকালকে আমার আব্বুর শরীর খারাপের জন্য সেই বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে আমি লিখেছিলাম। এবং আনন্দের কথা খুব বেশি বলতে পারিনি তাই আজ লিখতে বসে গেলাম। আপনাদের মাঝে গতো কালকের আনন্দের মুহূর্ত গুলো তুলে ধরার জন্য। এবং আমার আব্বু আজকে অনেকটা ভালো হয়েছে সবাই আমার আব্বুর জন্য দোয়া রাখবেন।
আসলে আপনারা সবাই জানেন আমার বড় ভাই বাড়ি গিয়েছে। বড় ভাই বাড়ি গিয়ে বিয়ে করেছেন অনুষ্ঠান করে। আমাদের এই রুমের বড় ভাইয়েরা আমাকে খাওয়া-দাওয়ার কথা বলেছিল। আমি আগে একবার বড় ভাইয়ের বিয়ের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলাম যেটা আপনাদের মাঝে আমি তুলে ধরে ছিলাম। কিন্তু বড় ভাই বাড়ি যাওয়ার পরে আমি একটু টাকার সমস্যা ছিলাম। যার জন্য সেই মুহূর্তে তাদেরকে দাওয়াত করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
তাই ঈদের আগের দিন আমি সবাইকে আমাদের রুমে খাওয়া-দাওয়ার দাওয়াত দিয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এখন অনেকটা সুস্থ স্বাভাবিক ভাবে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এবং তারা আমার দাওয়াত কবুল করেছিল। মামুন ভাই আগে দিন বাহিরে যায় তাই মামুন ভাইকে বলেছিলাম বিরানির চাউল নিয়ে আসার কথা। এবং মামুন ভাইয়া চাউল নিয়ে আসে। এবং ঈদের আগের দিন আমরা মাংস নিয়েছিলাম আমাদের ক্যান্টিন থেকে।
যাই হোক সবাইকে তো দাওয়াত দিয়ে রেখে দিয়েছি। কিন্তু ঈদের দিন নামাজ শেষ করে এসে। আমাদের রুমে আমরা যারা এক সাথে থাকি তারা অন্য কাজ করে। তার ভেতর থেকে দুইজন ছোট ভাই এসেছে একদম নতুন এই প্রবাসে। তারা ঈদের আগের দিন মাংস নিতে পারেনি। কারণ তারা যে সময় এসেছিল সেই সময় গিয়ে দেখতে পায় ক্যামনে মাংস সব শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা ঈদের দিন সেমাই রান্না করিনি কারণ মাংস নিতে না পারার কারণে তাদের মন খারাপ ছিলো।
যাই হোক দুপুরে আমরা সেমাই রান্না করেছিলাম তখন আমি রুমে গিয়েছিলাম একটি দরকারে। তখন সেই সময় সেই দুইটি ভাই ভাত খাচ্ছিল। এবং আমি খেয়াল করে দেখলাম মাংস নেই তাদের পাতিলে। আমি তখন তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেছিলাম মাংস রান্না করা হয়নি। তারা তখন আমার বলল আসলে। আমরা যখন ক্যান্টিনে গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখতে পেলাম মাংস সব শেষ হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানতে পেরে আসলে আমার কাছে অনেক খারাপ লাগে।
তখন তাদের কে আমি বলেছিলাম আসো আমাদের সাথে সেমাই খাবে। বলার সাথে সাথে সেই দুইটি ভাই আমাদের এখানে সেমাই খাওয়ার জন্য আসে। এবং তাদের কে আমি এবং আমার মামুন ভাই বলে দিয়ে ছিলাম তোমাদের রাতে দাওয়াত থাকলো আমাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করবে। আসলে বাংলাদেশ থেকে নতুন এসেছে একটু মন খারাপ আছে কারণ এই প্রথম তারা নিজের পরিবার ছাড়া ঈদ উদযাপন করছে।
বাড়ি থাকলে নিজের মা রান্না করে সন্তানদের খাওয়া দাওয়া ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু এই প্রবাসে আমাদের নিজেদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। আমি দুইটি বছর এই প্রবাসে এসে চারটি ঈদ পালন করছি। তাই আমার অনেক টা খারাপ লাগে এখনো। এবং তারা তো নতুন এসেছে তাহলে তাদের কেমন লাগছে সেটা আমি অনুভব করতে পারি।
যাইহোক তারা বলল আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই ভাইয়া আমরা খাওয়া-দাওয়া করব আপনাদের সাথে। তাদের মুখে আমি অন্যরকম একটি হাসি দেখতে পেলাম। যেটা দেখে আসলে নিজের কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। এবং রাতে আটটার সময় আমি সবাইকে ডাকাডাকি করতে চলে আসলাম। এবং দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে আমরা দুই ভাই রান্নার কাজ শেষ করে নিয়েছিলাম। গরুর মাংস এবং বিরানি রান্না করেছিলাম আমরা।
খাওয়া দাওয়া করতে করতে অনেক হাসি রহস্যের কথা আমরা সেখানে বলছিলাম। এবং আমাদের এখানে সবচেয়ে যে বড় ভাই আছে।সে সবাইকে খাওয়া-দাওয়ার জন্য বেড়ে দিচ্ছিল। বড় ভাই বাড়ি যাওয়ার আগের দিন আমি খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেছিলাম। এবং এই ঈদ উপলক্ষে এবং বড় ভাই বিয়ে করার উপলক্ষে এক সাথে আয়োজন করে সবাইকে খেতে দিয়েছিলাম।
আসলে হয়তোবা কিছু টাকা আমাদের খরচ হয় কিন্তু এই খরচের মধ্য থাকে অন্যরকম একটি ভালোবাসা। এই খরচের মধ্যে থাকে অন্যরকম একটি আনন্দ। সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া করলে কেমন ভালো লাগে সেটা আপনাদের আমি বলে বুঝাতে পারবো না। আর এই বিদেশে সবাই এক সাথে হলে এবং এক সাথে হয়ে খাওয়া দাওয়া করলে তার মজাটা থাকে অন্যরকম।
যাই হোক বন্ধুরা এই ছিলো আমাদের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন গতকালকে ঈদের দিন। আমরা খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম সেই বিষয়ে আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। আশা করব আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
Device | Name |
---|---|
Android | VivY77 /v2169 vivo |
Camera | focal length:26mm(equivalent to 35mm focal length film) |
Location | Malaysia 🇱🇷🇱🇷🇱🇷 |
Short by | @bayezid123 |
প্রবাস জীবনে রুমমেটদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে। আত্মীয় না হলেও দিন শেষে তাদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক হয়। আপনি খুব ভালো করেছেন ঈদের আগের দিম তাদের সবাইকে নিয়ে খাওয়া দাওয়া করে। যে নতুন ২ জন এসেছে তারা তো এখনো সব কিছু মানিয়ে নিতে পারেনি হয়তো। কিন্তু আপনার এই আপ্যায়ন তাদের মনেও আত্মবিশ্বাস যোগাবে যে পরিবার ছেড়ে এসেছি কিন্তু এখানেও বড় ভাইরা আছেন সাহায্য করার মতন। ভালো লাগলো আপনার সুন্দর মুহুর্ত সম্পর্কে জানতে পেরে। ভালো থাকবেন।
শুরুতেই আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য। আসলে আমাদের এখানে যে ক্যান্টেন আছে সেখানে ঈদের আগের দিন মাংস নিয়ে এসেছিল। যার জন্য তারা নতুন এসেছে এবং কাজের মধ্য থেকে মাংস নিতে দেরি হয়ে যাওয়াতে মাংস পায় না। এটা জানতে পেরে আমার কাছে অনেকটা খারাপ লেগেছিল। এবং পাশাপাশি আমিও নতুন যখন এসেছিলাম আমার অনেক খারাপ লাগতো।
যাই হোক ঈদের আগের দিন না ভাইয়া আমরা সবাই খাওয়া দাওয়া করেছিলাম ঈদের দিন। এবং এখানে আমাদের আত্মীয়-স্বজন বলতে আমরা যারা এক সাথে কাজ করি তারাই। এবং তাদের সাথে যখন ভালো সময় কাটাতে পারে তখন আমি আনন্দিত হতে পারি বেশি।
বিদেশের মাটিতে এই একটি আনন্দ রয়েছে সেটা হল সবাই একসাথে বসে আনন্দ করে খাওয়া-দাওয়া করা। হয়তোবা আমরা দেশে থাকলে পরিবারের সাথে একসাথে বসে খাওয়া দাওয়া করতাম তবে মালয়েশিয়ায় এরাই এখন আমাদের পরিবার। খুব সুন্দর একটি দিন অতিবাহিত করেছেন আমাদের সাথে খাওয়া-দাওয়া করছেন বিরানি রান্না করতে অনেক পারদর্শী আপনারা সেটা বোঝাই যাচ্ছে।
ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
আমি নিজে বিরানি রান্না করতে পারি না বিরানি রান্না করেছিল মামনি ভাই এবং মামুন ভাই বিরানি খুবই সুন্দর ভাবে রান্না করতে পারে যেটা আমি দেখেছি কারণ এর আগেও অনেক বার সে রান্না করে আমাদের কে খেতে দিয়েছে। এটা ঠিক এই বিদেশী আমরা যখন এক সাথে অনেক মানুষ খাওয়া-দাওয়া করি তখন তার আনন্দ অন্যরকম থাকে। যে আনন্দ মাঝে মধ্যে আপনাদের সাথেও আমি করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
যদি আবার কোন সময় আপনাদের ওখানে যাই তাহলে অবশ্যই মামুন ভাইয়ের হাতের বিরানি খেয়ে আসবো। ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার কমেন্টে পড়ে খুব সুন্দর একটি রিপ্লে করার জন্য।
প্রবাস জীবনে সবাই মিলে এভাবে আনন্দ মুহূর্ত আপনার মাঝে মাঝেই করে থাকেন। আসলে কিছু টাকা খরচ হয় কিন্তু সবার ভালোবাসা পাওয়া যায়।বেশ ভালোভাবে আপনারা রান্না করেছেন মুরগি দিয়ে আবার রোস্ট তৈরি করেছেন। যেটা আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম। পরিবার কাছে নেই কিন্তু এই বন্ধু গুলোই আপনাদের পরিবার। তাদেরকে নিয়ে আপনাদের কাছে চলতে হবে। ধন্যবাদ সবার সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।