নতুন জায়গায় এসে নিজেদের রান্না ঘরের কাজের সময়।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। তবে এখনো ব্যস্ততা কাটিয়ে উঠতে পারি নাই। আজ ২ দিন হলো আমার ভাইদের এখানে আমি এসেছি। তবে এখানে এসে নতুন জায়গা নতুন পরিবেশ সবকিছু মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগছে।
যাইহোক বন্ধুরা এখানে এসে থাকার জায়গা রান্নার জায়গা সব কিছু ঠিক করতে হচ্ছে। তার পাশা পাশি নিজের ডিউটি ঠিক ভাবে করতে হচ্ছে। যার জন্য এক কথা বলতে গেলে আমি কিছুটা ব্যস্তর মধ্য আছি। আসলে আমাদের এই কাজে কিছুটা সময় আমরা ফ্রি থাকি। আবার কিছুটা সময় অনেক চাপ হয়ে যায় আমাদের। এটাই হয়তো বা বিদেশ বাড়ি। প্রথম প্রথম যখন এসেছিলাম তখন এতটা চাপ ছিলো না।
যাহোক বাসের দোকান থেকে ভাইয়ের এখানে এসে সবকিছু নতুন করে আমাদের সাজিয়ে নিতে হচ্ছে। এবং সবচেয়ে খারাপ লাগে নিজেদের জিনিস গুলো নিয়ে এসে আবার অন্য জায়গায় সাজাতে। কারণ সে গুলো করতে অনেক সময় লাগে এবং অনেকটা ধৈর্য্যর প্রয়োজন হয়। আমরা এখানে এসে থাকার জায়গা পেয়েছি একটি ছোট রুম।
এবং ভাইয়েরা রান্না করত ছোট্ট একটি জায়গার মধ্য কিন্তু আমরা তিন জন আসার জন্য এখন তাদেরও একটু সমস্যা হয়ে যায়। কারণে এক সাথে 6-7 জন মানুষ খেতে হলে আসলে অনেকটা সমস্যা হয়ে যায়। আমাদের হাড়ি পাতিল গুলো আসলে অনেকটা ছোট। এক সাথে অনেক মানুষ খাওয়া দাওয়া করা যায় না।
যেহেতু আমরা মোট ৬-৭ জন হয়ে গিয়েছি তাই আমাদের তিন জন চার জন করে আলাদা হয়ে যেতে হয়েছে। দুইটা চুলা ধরবে তেমন জায়গা ঠিক করে আমাদের রান্না ঘর তৈরি করতে হবে। তাই আমরা কাজের জায়গা থেকে বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে এসে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
কারণ একটি জায়গায় থাকতে হলে সব কিছু ঠিক করতে হবে আমাদের আগে। থাকা-খাওয়া যদি ঠিক না থাকে তাহলে কখনো একটি জায়গায় শান্তিতে থাকা যায় না। তাই আমরা গতকাল সব ভাই এক হয়ে আমাদের রান্নাঘর ঠিক করার জন্য প্রস্তুত নিয়ে ছিলাম। এবং আমাদের প্রজেক্ট থেকে গিয়ে কিছু কাঠ এবং টিন নিয়ে এসেছি।
কিছুটা সময় আমি সেখানে বসে কাজ করছিলাম এবং উপরে আমার আবু রায়হান ভাই গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে সে কিছুটা টিনে তারের কাটা মেরে চলে আসেন। এবং আমরা যখন রান্নাঘর তৈরি করছিলাম তখন সেখানে অনেক মানুষ আসে। আসলে বাংলাদেশে থাকতে কিন্তু আমরা কখনো এসব কাজ করিনি।
তবে এখন পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমাদের এই কাজ গুলো করতে হচ্ছে। তবে সত্য কথা বলতে কাজ গুলো করে কিছুটা অভিজ্ঞতা নিজের মধ্যে এসেছে। কারণ এখন এই কাজ গুলো আমাদের করতে হয় মাঝে মধ্যে। এবং থাকা খাওয়ার জায়গা গুলো নিজেদের ঠিক করে নিতে হয় প্রত্যেকটি প্রজেক্টে গিয়ে।
আবার হয়তোবা এখান থেকে যদি অন্য কোন প্রজেক্টে চলে যায় তাহলে সেখানে গিয়েও এই কাজ গুলো আমাদের করতে হবে। কারণ এখানে কোন কিছু তৈরি থাকে না নিজেদের জিনিস নিজেদের তৈরি করে নিতে হয়। যাইহোক ইনশাল্লাহ আমি এবার থেকে কিছুটা ফ্রি হয়ে যাবো। এবং আগের মতো আপনাদের মাঝে সুন্দর ভাবে সময় দিতে পারবো। সবাই ভালো থাকবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার অভিজ্ঞতার প্রতিটি কথা পড়ে বুঝতে পারলাম যে বিদেশের জীবনের সংগ্রাম এবং বাস্তবতা কতটা ভিন্ন হতে পারে। নতুন জায়গায় মানিয়ে নেওয়া এবং নিজের থাকার ও রান্নার জায়গা সাজানো নিঃসন্দেহে সময়সাপেক্ষ এবং পরিশ্রমসাধ্য কাজ। তবে এই অভিজ্ঞতাগুলো আপনাকে ভবিষ্যতে আরও দক্ষ ও আত্মনির্ভরশীল করে তুলবে।
আপনার মতো ধৈর্যশীল ও পরিশ্রমী মানুষদের জন্য এসব কাজ কোনো বাধা নয়, বরং এগুলো জীবনের নতুন দিক শেখার সুযোগ। আশা করছি, দ্রুতই আপনি এবং আপনার ভাইয়েরা সবকিছু ঠিকঠাক করে সুন্দরভাবে মানিয়ে নিতে পারবেন। আল্লাহ্ আপনার জন্য কাজের চাপ কমিয়ে দিন এবং সহজতর করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
নতুন জায়গায় এসেছেন সেক্ষেত্রে তো রান্নার কাজের জন্য রান্নার ঘর ঠিক করে নিতেই হবে ৷ কারণ রান্নার জন্য যদি অসুবিধা হয় তাহলে রান্নার কাজে মন বসে না ৷
যাই হোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ৷ ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ৷
নতুন জায়গায় গেলে আসলে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তবে আপনারা সেই সমস্যাগুলোকে একটু হলেও সমাধান করতে পেরেছেন প্রবাস জীবনটাই এমন সারাদিন কষ্ট করে এসে আবার রান্নাবান্না করে খাওয়া দাওয়া করা সবকিছু মিলিয়ে আপনাদের জীবনটা অনেক কষ্টের মধ্যে পার করতে হয় কিন্তু তারপরেও আলহামদুলিল্লাহ আপনারা আপনাদের রান্না ঘর খুব সুন্দর ভাবে পরিপাটি করে তৈরি করেছেন যেটা দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগছে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় মানুষগুলোর সাথে কর্মব্যস্ততার মাঝে কাটানো সময়গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।