সর্ষে দিয়ে গলদা চিংড়ি
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি ভালো আছেন সকলে। আর প্রত্যেকেই নিজেদের দিনটি অনেক ভালো ভাবে কাটিয়েছেন।
বেশ কিছুদিন হলো আমি আপনাদের সাথে রান্নার কোনো রেসিপি শেয়ার করিনি। গতকালের পোস্ট পড়ে আশাকরি আন্দাজ করতে পেরেছেন আমি একটু অন্য পরিস্থিতিতে রয়েছি।
তবুও কিছুটা সময় বের করে আজকে একটি রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এলাম। গলদা চিংড়ি মাছের এই রেসিপিটি অনেক কম উপকরণ দিয়ে অনেক কম সময়ের মধ্যে করে ফেলা যায়।
তবে স্বাদ কিন্তু অসাধারণ হয়। চিংড়ি মাছ ভালোবাসে না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, বিশেষত বাচ্চারা।কারন এই মাছের কাঁটা থাকে না,তাই ওরা নিশ্চিন্তে খেয়ে থাকে। তবে হ্যাঁ এলার্জির কারনে অনেকেরই এই মাছ খাওয়া বারন থাকে।
গতকাল আমার বাবা বাজার থেকে এনেছিলো, মা সেগুলো খোসা ছাড়িয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে ফ্রীজে রেখে দিয়েছিলো, আজ আমি সেটাই রান্না করেছি, আর সেই রেসিপিটিই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
|
---|
আসুন রান্নাটি করতে কি কি উপকরণ আমি ব্যবহার করেছি প্রথমে আপনাদের সেটা জানাই। খুবই সামান্য উপকরণ দিয়েই আমি রান্নাটি করেছি:-
১. গলদা চিংড়ি মাছ- ৪ টি।
২. কালো সর্ষে- ২ চা চামচ।
৩. গোটা কাঁচা জিরে- ১ চা চামচ।
৪. কাঁচা লঙ্কা- ৪ টি।
৫. সর্ষের তেল- ৪-৫ চা চামচ।
৬. কালোজিরা- ½ চা চামচ (ফোরনের জন্য)।
৭. লবন- পরিমাণ মতো।
৮. হলুদ- ½ চা চামচ।
|
---|
আসুন এইবার আমি আপনাদের জানাই সর্ষে দিয়ে গলদা চিংড়ি মাছ রান্না করার পদ্ধতি।
প্রথম ধাপ:-
- প্রথমে আমি চিংড়ি মাছ গুলোর ফ্রীজ থেকে বের করে নিলাম। বরফ গলে গেলে আরেকবার ভালো করে ধুয়ে নিয়ে আমি পরিমাণ মতো লবন ও হলুদ দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য মেখে রাখলাম।
- অন্যদিকে আমি কালো সর্ষে, গোটা জিরা ও কাঁচা লঙ্কা একসাথে বেটে নিলাম। এবং বেটে নেওয়া মশলার সাথে আমি পরিমাণ মতো হলুদ মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে রাখলাম।
দ্বিতীয় ধাপ:-
এরপরে আমি গ্যাস জ্বালিয়ে, কড়াই বসিয়ে, তাতে সর্ষের তেল গরম করে নিলাম। এরপর আমি চিংড়ি মাছ গুলো হালকা ভেজে নিলাম।
আপনারা আমার পোস্টে আগেও পড়েছেন,আমার ছেলে মাছ ভাজা না করলে খেতে চায় না তাই আমি বেশিরভাগ মাছ হালকা ভেজে রান্না করি।তবে আপনারা চাইলে চিংড়ি মাছ গুলো না ভেজে কাঁচাও রান্না করতে পারবেন।
- মাছ ভাজা হয়ে গেলে ঐ তেলের মধ্যে আমি কালোজিরা ফোরন দিয়ে দিলাম।
- তারপর তৈরি করে নেওয়া মশলাটা ঐ তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম। মশলাটা একটু ভালো ভাবে কষিয়ে নিয়ে আমি পরিমাণ মতো উষ্ণ গরম জল দিয়ে দিলাম।
- কিছুক্ষণ বাদে ঝোলটা ফুটে উঠলে আমি ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ ঐ ঝোলে দিয়ে দিলাম।
- একটু বাদে ঝোলটা কিছুটা কমে এলে গ্যাস বন্ধ করে মাছের উপর দিয়ে কিছুটা সর্ষের তেল (কাঁচা) ছড়িয়ে দিয়ে একটু ঢাকা দিয়ে রাখলাম।
একটু বাদে ঢাকনা সরিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করবেন এই গলদা চিংড়ির রেসিপিটি।
রান্নার উপর থেকে কাঁচা সর্ষের তেলের ঝাঁঝ এই রেসিপির স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই এটি কিন্তু অবশ্যই দিতে হবে। আশাকরি এইভাবে রান্না করলে সকলেরই খেতে ভালো লাগবে।
সকলে ভালো থাকবেন। আর আমার রেসিপি কেমন লাগলো, জানাতে ভুলবেন না। শুভ রাত্রি।
সর্ষে দিয়ে গলদা চিংড়ি রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। রেসিপির কালারটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং টেষ্টি হয়েছে। সত্যি কথা বলতে গলদা চিংড়িটা একটু বেশি পরিমাণ স্বাদ মনে হয় আমার কাছে। আপনার রেসিপি টি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। এই ধরনের রেসিপি আপনার কাছ থেকে আরো আশা করছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার এলার্জির নেই তবুও আমি চিংড়ি মাছ খুব একটা খাই না, তবে গলদা চিংড়ি হলে বেপারটা অন্য রকম। আমি মোটামুটি গলদা চিংড়ি খেতে পছন্দ করি৷ এভাবে কখনো সরষে দিয়ে গলদা চিংড়ি খাই নি, আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে ট্রাই করতে হবে৷ দারুণ ছিলো আপনার রেসিপিটি এবং রেসিপির পুরো উপস্থাপনা৷ ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এইভাবে একবার খেয়ে দেখবেন আশাকরি আপনার ভালোই লাগবে। ভালো থাকবেন।
@baishakhi88 আপনার রান্নাটা আসাধারন হয়েছে।
ছবি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন।
সরষে দিয়ে গলদা চিংড়ি আমি কখনো খাইনি, সরষের সাথে ইলিশ মাছের রেসিপি আমি বহুবার ট্রাই করেছি। তবে আপনার এই রেসিপিটা একটু অদ্ভুত লাগলো আমি অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবো। রান্নার পর রেসিপির কালার টা বেশ চমৎকার লাগছে, খেতে নিশ্চয়ই সুস্বাদু হয়েছে? এই কমিউনিটির প্রতিটি রেসিপি পোস্ট এককথায় অসাধারণ, সাজানো-গুছানো এবং সবমিলিয়ে অসাধারণ।
আমার এলার্জি আছে তাও আমি চিংড়ি মাছ অনেক পছন্দ করি, গলদা চিংড়ি আমার আরো বেশি পছন্দ, আমি সবসময় আপনার রান্না পোস্টগুলো অনেক মনোযোগ সহকারে পড়ি, আপনার দেওয়া উপকরণ গুলো দিয়ে আমায় একদিন বাসায় রান্না করার ট্রাই করবো, রান্নাটা দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।
যাইহোক ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আমাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর রান্না উপস্থাপন করুন, আপনার পোস্টগুলো পড়তে আমার দারুন লাগে।