জীবনসঙ্গী। 👩❤️👨
নমস্কার বন্ধুরা! আশা করি সবাই ঈশ্বরের কৃপায় ভালো আছেন। বিগত কিছি আগে দিন আমি আমার পোস্টে আমার অসুস্থতার কথা জানিয়েছিলাম। অসুস্থতার কারণে আমার পোস্ট লেখা সম্ভব হচ্ছে না। একটু সুস্থ হবার পর আজকে আবারও আপনাদের মাঝে আমি এক ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি।আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। চলুন আর বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক.......
প্রত্যেকটা মেয়েরই মনে একটাই স্বপ্ন থাকে যে তার স্বামী তাকে তার বাবার মতো করে ভালোবাসবে।অর্থাৎ তার বাবা তাকে যেমন করে আগলে রাখে তার সব দিকে খেয়াল রাখবে। তার মুখ ফুটে কিছু বলার আগেই তার বাবা যেমন তার সব চাহিদা পূরণ করে,ঠিক তেমনি সে চায় তার স্বামীও যেন তার খেয়াল রাখে। তার না বলা কথাগুলো সব বুঝতে পারে। কিন্তু তোমার চাই তার বাবা যেমন করে তার মাকে ভালোবাসে ঠিক তেমন করেই যেন তার স্বামী তাকে ভালোবাসে।
সে চায় এমন একটা মানুষ তার জীবনে আসুক যে সবার উপরে তাকে রাখবে। তার কথার মূল্য দিবে। সবথেকে বেশি যে চাওয়াটা তমার আছে সেটা হলো সম্মান। সে ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছে তার বাবা তার মাকে সম্মান করে। সংসারের যেকোনো ব্যাপারে একা একা কখনোই সিদ্ধান্ত নেয় না। তমার বাবা তমার মার কাছে না শুনে কিছুই করেনা। পাড়া-প্রতিবেশীর নানান লোক নানান কথা বলে কিন্তু তমার বাবা কখনোই সেগুলো তোয়াক্কা করে না। তার কাছে তার অর্ধাঙ্গিনীর ভালো থাকার উপরে আর কিছুই না।
তমা তার বাবাকে একদিন প্রশ্ন করেছিল সে কেন সর্বদা তার মকে এতো মর্যাদা দেয়?এত গুরুত্ব কেন দেয় তার মাকে? উত্তর তার বাবা তমাকে বলেছিল, "তোর মা আমার হাত ধরে তার বাইশ বছরের চেনা গন্ডি পেরিয়ে, শুধুমাত্র আমাকে বিশ্বাস করে, আমার উপর আস্থা রেখে আমার সাথে চলে এসেছিল "। তমার বাবা বিশ্বাস করে যে সব মেয়েদের এটা অধিকার যে,তারা যেভাবে তার বাবার বাড়িতে রাজকন্যার মত থাকে ঠিক তেমনি তার স্বামীর সংসারে এসেও যেন রাজকন্যার মতো থাকতে পারে।
তমার বাবা মনে করে সব স্বামীর উচিত তার জীবন সঙ্গীকে রাণী না, বরং রাজরানী এর মত করে আগলে রাখা উচিত। কারণ রানীদের কখনো কখনো রাজার জন্য কিংবা রাজ্যের জন্য আফসোস করতে হয় কিন্তু রাজরানীকে কখনোই কোন কিছুর সাথে আফসোস করতে হয় না। এজন্য তমার বাবা সর্বদা চেষ্টা করে তার মাকে রাজধানীর মত করে আগলে রাখতে। অনেক পরিবারে এমনটাও থাকে যে বাবারা তার মেয়েকে অসম্ভব ভালোবাসে। তমার বাবাও তমাকে অনেক ভালোবাসে।
অনেক বাবারা আছে তাদের কন্যার জন্য তার স্ত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কিন্তু তোমার বাবা এই ব্যাপারটার ঘোর বিরোধিতা করে। আবার এমনটাও নয় যে তার মাকে তার নিজের জন্য প্রতিবাদ করতে দেয় না। সে সর্বদা চায় তমা এবং তার মা সর্বদা যেন নিজেদের জন্য নিজেরা প্রতিবাদ করে। নিজেদের সুরক্ষা নিজেরা সুনিশ্চিত করে।
তার বাবা যখনই দেখে তারা কোন খারাপ পরিস্থিতিতে পড়েছে তখন সে দুপা পিছিয়ে দাঁড়িয়ে দেখে তারা কিভাবে পরিস্থিতিটা সামাল দিচ্ছে। যদি কখনো দেখে যে তারা পারছে না তখন সে সবার সামনে দাঁড়িয়ে তাদের আগলে রাখে। তাইতো তমায চায় তার স্বামী যেন তাকে তার বাবা যেমন তার মাকে ভালোবাসে ঠিক তেমন করে ভালোবাসে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টটি সত্যি অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনি যে অনুভূতির কথা শেয়ার করেছেন, তা সত্যিই অনেক মেয়ের মনের কথা। বাবা-মায়ের মধ্যে যে ভালোবাসা এবং সম্মান থাকে, তা প্রত্যেক মেয়ের জীবনে তার স্বামী থেকেও চাওয়া একদম স্বাভাবিক।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন, একটি মেয়ের চাওয়া যে তার স্বামী তাকে তেমনই শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেবে, যেমন তার বাবা দেয়, তা খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আপনার লেখা সত্যিই মনের গভীরে পৌঁছে গেছে। ধন্যবাদ এই গভীর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য। আসলেই আপনি ঠিক কথা বলেছেন, একটি মেয়ে তার বিয়ের পর তার স্বামীর কাছ থেকে বেশি কিছু চায়না। শুধু এইটুকুই চাই যে তার স্বামী যেন তাকে সম্মান করে এবং তার বাবার মতো করে ভালোবাসে। আমি মনে করি প্রতিটা মেয়েরই এটা কাম্য। তারা চায় তাদের স্বামী যেন তাদের কখনো অসম্মান না করে, শ্রদ্ধা করে।