𝔹𝕖𝕥𝕥𝕖𝕣 𝕃𝕚𝕗𝕖 𝕎𝕚𝕥𝕙 𝕊𝕥𝕖𝕖𝕞 || 𝕋𝕙𝕖 𝔻𝕚𝕒𝕣𝕪 𝕘𝕒𝕞𝕖 || 𝟙𝟘/𝟚/𝟚𝟘𝟚𝟜
হ্যালো বন্ধুরা!
আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আজ আমি আমার নতুন পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই। আশা করি, আমার পোস্টটি পড়ে আপনারা সকলেই খুব ভালো লাগবে।
সকাল শুরু
আজকের সকালটা শুরু হয় পাঁচটার সময়। আমি ঘুম থেকে ওঠার পর সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিই। মেয়ে সাড়ে পাঁচটার দিকে মাদ্রাসা চলে গেল। আমি এদিকে ওয়জু করে ফজরের নামাজ আদায় করি। নামাজ পড়ে বেশিক্ষণ বসে থাকিনি, এক গ্লাস পানি খেয়ে আবার শুয়ে পড়ি। এতো সকালে কিছুই খেতে ইচ্ছা করে না, তাই প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি খেয়ে শুয়ে থাকি।
সকালের নাস্তা আয়োজন
সকাল ছয়টায় শুয়ে থাকার পর ঘুমিয়ে পড়ি। আবার সকাল সাড়ে আটটার সময় ঘুম থেকে উঠি। উঠে সঙ্গে সঙ্গে কিচেনে চলে যাই। কিচেনে যাওয়ার আগে ভাবিকে বলি, "আমার রুটি বানানোর কাজে কিছুটা সাহায্য করবেন?" এদিকে আমি রুটি বানাচ্ছিলাম, তারপর ভাবি এসে আলু ভাজি করছে। আজকের সকালে নাস্তার জন্য আলু ভাজি আর রুটি করেছি।
আমার সকালে নাস্তা বানানো হলে, তারপর মেয়েকে আগে দিয়ে আসি ওর মাদ্রাসায়। এরপর মেয়ের মাদ্রাসা থেকে ফিরে ছেলেকে খেতে দিই এবং আমিও খেলাম। আমি সকালের নাস্তা খেতে খেতে সাহেবও ঘুম থেকে উঠে গেল। হাত-মুখ ধুয়ে এসে টেবিলে বসলো, তারপর তাকেও নাস্তা খেতে দিলাম। সাহেব সকালের নাস্তা খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাইরের দিকে চলে গেল।
দুপুরের রান্নার প্রস্তুতি
এরপর আমি চলে যাই দুপুরের রান্নার আয়োজনে। আজ দুপুরে কী রান্না করবো, তা সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। এদিকে ছেলে এসে বলে, "আম্মু, আমার ক্ষুধা লেগেছে, কিছু খেতে দাও।" তারপর আমি তাড়াতাড়ি একটা ডিম ভেজে খেতে দিলাম, এরপর আবার রান্নার কাজে মন দিলাম।
আজ দুপুরে রান্না করেছি কাতল মাছের মাথা দিয়ে লাউ শাক ও গরুর কলিজা। তবে আমি কখনো কাতল মাছের মাথা দিয়ে লাউ শাক খাইনি, আজ প্রথম খেলাম। রান্না চুলার ওপর থাকার সময় পেয়ে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিই। এদিকে তরকারি হয়ে গেল, তারপর তরকারি উঠিয়ে রেখে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে আমি গোসল করে আসি।
দুপুরের খাবার
গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ি, তারপর ছেলেকে দুপুরের খাবার খাওয়াতে বসি। ছেলেকে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর পর আমি খেয়ে নিই। দুপুরের খাবার খেয়ে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। ওরা দুই ভাইবোনে ঘুমিয়ে পড়ে, আমি আর ঘুমাইনি; শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করছিলাম। কিছুক্ষণ পরেই আসরের আজান দিল, নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ পড়ে আবার কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। সারাক্ষণ তো বাসার ভিতরই থাকতে হয়, তাই শুয়ে বসে সময়টা কেটে যায়। বিকেল হলে একটু নিচে নামবো, বাহিরে হাঁটতে যাব; কিন্তু তাও পারছি না। ঢাকায় আসার পর বড় একটা মুসিবতে পড়েছি। গ্রামের মেয়ে ঠান্ডা হাওয়া বাতাস সুগন্ধ নিয়ে চলে এসেছি, আর এখন শহরে এসে রান্নার মসলার গ্রানটাই সারাক্ষণ পাচ্ছি।
মা - ছেলের সন্ধ্যাটা যেভাবে কাটালো।
এরপর সন্ধ্যা হলো। মাগরিবের আজান দিল, ওজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠে দেখি ভাইয়া অফিস থেকে এসেছে। আর আসার সময় আমাদের জন্য সন্ধ্যার নাস্তা এনেছে পেটিস। তারপর মা ও ছেলে মিলে সন্ধ্যার নাস্তা করি। আর সাহেব সেই সকালবেলা নাস্তা খেয়ে বের হয়েছে, সন্ধ্যা হলো কিন্তু এখন পর্যন্ত আসার কোনো নাম-গন্ধ নেই। এরপর মা ও ছেলে নিলে সন্ধ্যা টা পার করি। ছেলে ফোন দেখে খাচ্ছে আর আমি পোস্ট লিখতে বসেছি।
যাইহোক, এরকম করে আমার আজকের দিনটা আমি পার করি। আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত করতে চাই। (আল্লাহ হাফেজ)
আপনার এই সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের শরীরকে সুস্থ্য রাখার জন্য সকালে ঘুম থেকে ওঠা প্রয়োজন।
গ্রামের মানুষের এটাই সমস্যা, কারণ জন্ম থেকেই গ্রামের খোলা পরিবেশ। হঠাৎ করে শহরে স্থানান্তর যেটা মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু কি আর করা, পরিবার ও জীবন জীবিকার তাগিদে এটা করতে হবে।
বর্তমান এই মোবাইল দেখে খাবার খাওয়ার অভ্যাস অধিকাংশ শিশুদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ একদিন দিনের কার্যক্রম আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।