Better Life With Steem || The Diary game || 8/9/2024

in Incredible India20 days ago
1000148442.jpg

হ্যালো সকল বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনারা যে যেই রকম দোয়া করেছেন সেই ভাবেই খুব ভালো আছি। বন্ধুরা আবারো আমি আপনাদের মাঝে ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আজকের সারাদিনের মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।।।


প্রতিদিনের মতোই আল্লাহর নামে শুকরিয়া আদায় করে ঘুম থেকে উঠে এবং ফজরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়েই সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরের দিকে চলে যাই। প্রতিদিনের সকালে ঘুম ভাঙলেই টেনশন পরে যায় আজকে সকালে কি নাস্তা করব কি বানাবো, এইসব বাড়তি টেনশন একদম ভালোই লাগে না

1000148414.jpg

ভাইয়াকে যদি সকালে কোন খাবার বক্সে করে না নিতো তাহলে এসব ভারী খাবার বানাতেই হতো না। হালকা চা বিস্কুট এবং মুড়ি মাখা দিয়ে সকালের নাস্তা পার করে নিতাম মাঝেমধ্যে অন্য কিছু খেতাম। তাই প্রতিদিন সকালে কোন না কোন খাবার বানাতেই হয়। তাই যা বানাই না কেন একটু বেশি করে বানাই তাকেও দিয়ে দি এবং আমরাও সকলে খাই। তাই আজকে মসলা দিয়ে ভাত ডিম রান্না করলাম। ভাইয়া খেয়ে গেল আজকে কোন খাবার নেইনি।আমি ঐসব খাইনি বিস্কিট খেয়েছিলাম

1000148421.jpg

সকালে খাওয়া দাওয়া করে আজকে দুপুরে রান্নাটা তাড়াতাড়ি বসিয়ে দিলাম। এদিকে চুলায় ভাতটা বসিয়ে দিয়ে তারপর ছেলেকে সকালে খাবার আস্তে ধীরে খাইয়ে দিলাম । ছেলের খাওয়া শেষ হওয়ার পর বাকি রান্নাবান্না করা শেষ করি । আজকে দুপুরে তাড়াতাড়ি রান্না করা শেষ হলো। রান্না শেষ হলে সমস্ত ঘর ঝাড়ু দিয়ে এবং মুছে ছেলেকে নিয়ে সাড়ে বারোটার ভিতরে গোসল করি আসি

1000148429.jpg

গোসল করে আসতে আসতে যোহরের আযান দিয়ে দেয় এরপর নামাজ পড়ি। নামাজ পরে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিয়ে এরপর আমরা মা মেয়ে খেয়ে নিলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা মা-মেয়ে এবং ছেলে শুয়ে পড়ি এবং তিনজনেই ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর ঘুম থেকে সাড়ে পাঁচটায় টায় উঠে আসরের নামাজ পড়ি আর মেয়েকে উঠিয়ে দি মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য।

কিছুক্ষণ বাদেই সন্ধ্যা হলো এবং মাগরিবের আজান দিল তারপর অজু করেন নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে ছেলেকে সন্ধ্যা বেলা কেক খাইয়ে দি ও কার্টুন দেখছে আর আমি ওকে খাইয়ে দি। ওর খাওয়া শেষ হলে এরপর আমি পোস্ট লিখতে বসি। পোস্ট লিখতে গিয়ে কিছুটা পোস্ট লিখেছি এরপরে আমার ছোট বোন ফোন দেয়। আর ফোন দিয়ে বলে মায়ের অসুস্থর কথা

1000148437.jpg

বোনের সাথে কথা বলে এবং ফোন কেটে সঙ্গে সঙ্গে মায়ের কাছে ফোন দি। ফোন দি মা ফোন রিসিভ করে ঠিক মতন কথা বলতে পারছে না খুব মাথাব্যথায় কাতরাচ্ছে চুল টানছে আর একা একা কান্না করছে। মার অসুস্থ কথা শুনে এবং তার সাথে কথা বললাম খুব কষ্ট লাগছে । মনে চাইছিল দুটি পাখা থাকলে এক্ষুনি উড়ে মায়ের কাছে যেতাম ।

মা এই কথাও বললে আমার তিনটা মেয়ে আজকে একটাও পাশে নেই, আর এমন এক সময় গেছে এই তিনটা মেয়ের কারণে মানুষ অনেক কথা বলছে। এতগুলো মেয়ে কিভাবে খাওয়াবে কিভাবে বিয়ে দেবে অথচ এই টেনশন গুলো আমার বাবা-মার ছিল না বিশেষ করে আমার আত্মীয়-স্বজনই বলতো। অথচ আজ দেখুন মা অসুস্থ তিন মেয়ের এক মেয়েও তার পাশে নেই, যার যার সংসার ছেলে মেয়ে নিয়ে ব্যস্ত।

মার এসব কথা শুনে খুব কষ্ট লাগছিল আজ আমরা কেউ পাশে নাই একা একা কান্না করছে আর চুল টানছে তারপর আব্বুকে ফোন দিল আর সেও তো বসে থাকে না সে একজন হুন্ডার ড্রাইভার নিজের গাড়ি চালায়। আব্বু মার ফোন পেয়ে ওষুধ আনলো এবং ঘরে এসে মায়ের মাথায় পানি দিয়ে দিল আর চুল টেনে দিল। তবে এসব কথা জানতে পেরেছি মার সাথে কথা বলে।

যাক মার সাথে কথা বলে বাকি পোস্ট লেখাটাও শেষ করি। আজকের পোস্টটা লিখতে মনেই খুব বাধা দিয়েছিল কারণ মার অসুস্থ কথা শুনে, মনের ভিতরে বারবার মায়ের কথাগুলো এবং অসুস্থ কথা মনে পড়ে। যাইহোক কোন রকম করে পোস্ট লেখা শেষ করে এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দেই। আজ সামনে আর লেখা আগাবো না আজকের মতন এখানেই লেখা শেষ করছি।।

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
Loading...
 20 days ago 

আমাদের এক একদিন এক এক রকম ভাবে অতিবাহিত হয়, প্রত্যেক বাড়ির মেয়েরা অনেক বেশি কষ্ট করে, মেয়েদের কার্যক্রম অনেক সময় একই রকম হয়, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম থেকে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

জীবন একটি অবিরাম শিক্ষার প্রক্রিয়া। আমরা প্রতি মুহূর্তে নতুন কিছু শিখি এবং বেড়ে উঠি। জীবনকে উপভোগ করার চেষ্টা করুন এবং প্রতিটি মুহূর্তকে গুরুত্ব দিন।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.16
JST 0.030
BTC 66181.33
ETH 2700.56
USDT 1.00
SBD 2.88