Better Life With Steem || The Diary game || 7/9/2024
হ্যালো সকল বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভালো আছেন। আর আমার কথা যদি বলি, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনারা যে যেই রকম দোয়া করেছেন সেই ভাবেই খুব ভালো আছি। আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন যে আজকেও আমি আপনাদের মাঝে ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন বেশি আর কথা না বারিয়ে আজকের সারাদিনের মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।।।
কাল রাতে ঘুমিয়েছি তিনটারও কিছুক্ষণ পর দেরিতে ঘুমানোর কারন হল সাহেবের জন্য, সাহেবের কয়েকদিন ধরে সর্দি জ্বর ও খুব মাথা ব্যাথা করছে। তাই কিছুটা খেজমত করতে করতে রাত তিনটা বেজে গেল।
রাত তিনটার পর ঘুমাবার পরও সকাল ছয়টার সময় উঠতে হয়েছে। চোখে প্রচুর ঘুম ছিলো তাই ঘুম ঘুম চোখ নিয়ে হাতমুখ ধুয়ে এসে রান্না ঘরে গেলাম। রান্না ঘরে গিয়ে তাড়াতাড়ি করে সবার জন্য নুডুলস রান্না করলাম।রান্নাবান্না শেষ করে ভাইয়াকে দিয়ে দিলাম এবং মেয়ের জন্য মাদ্রাসা নিয়ে গেলাম।
মেয়েকে মাদ্রাসা খাবার দিয়ে আসার পর দেখি ছেলে উঠে গেল কিছুক্ষণ বাদে সাহেব উঠল, এরপর সাহেবকে সকালে নাস্তা খেতে দিলাম আর ছেলেকে খাইয়ে দিলাম। ওদের খাওয়া হয়ে গেলে কিছুক্ষণ বাদে আমি রান্না করতে যাই দুপুরের জন্য রান্না করতে আর সাহেব এদিকে খাওয়া দাওয়া করে গোসল করে বেরিয়ে পড়ল।
ভাবতে ছিলাম কি রান্না করবো সাহেবও বেরিয়ে গেল। এরপর তাকে ফোন দিলাম বাজারের জন্য তারপর সে বলে এখন আসতে পারবো না যা আছে রান্না করে নাও, দুপুরবেলা আসলে নিয়ে আসব যা লাগে। তারপর আমি ডাল, আর ভর্তা, রান্না করলাম।
আজকে রান্নাটা তাড়াতাড়ি হল তারপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। এদিকে মেয়ে ও মাদ্রাসা থেকে এসে যায় এসে গোসল করে। মেয়েকে দুপুরের খাবার খেতে দিলাম আর ছেলেকেও খাইয়ে দিলাম। ওদের দুইভাই বোনের খাওয়া শেষ হলে এরপর আমি খেয়ে নিলাম। খেতে খেতে সাহেব এসে গেল তারপর তাকেও খেতে দিলাম।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি এবং সেই ঘুম থেকে ৫:৩০ টা বাজে উঠে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠে বিকালে নাস্তার জন্য চিড়ার মোয়া খেলাম। এমনিতে আমি মোয়া পছন্দ করি না,কিন্তু আমার কাছে এই চিড়ার মোয়াটা খেতে অনেক ভালোই লেগেছে। তাই বসে থাকলেই মোয়ার কথা মনে পড়ে তাই কুরকুর করে খাই আর ছেলে ও বেশ এই মোয়া গুলো অনেক পছন্দ করে।
এরপর কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আজান দিল। উঠে নামাজ পড়লাম তখনো ছেলে ঘুমিয়ে ছিল। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ পর ছেলেকে আস্তে আস্তে করে উঠালাম, তারপর ওকে কিছু খেতে দিয়ে আমি একটু আমার কাজের লেগে পড়ি। আর কাজটা হলো তাদের দুই ভাইয়ের জামা কাপড় ধোয়া। ইদানিং ধরে রাত্রে বেলায় তাদের জামা কাপড় ধোয়া হয়।
দুপুর বেলায় রান্নাবান্না এবং বাসার কার শেষ করে ছেলেকে গোসল করাই আমি গোসল করি তারপর অনেক পরিশ্রম লাগে এই করনে ওই সব বাড়তি কাজ করতে আর ইচ্ছা করে না আর শরীরে তো মানাতে হবে। তাই এ কাপড় চোপড় দেওয়ার কাজটা এখন রাত্রে বেলায় করি। এরপর কাপড়চোপড় গুলো ধুয়ে এসে কিছুক্ষণ শুয়ে বিশ্রাম নি।আর এদিকে ছেলে খাচ্ছে আর ফোনে কাটুন দেখছে,
ছেলে কার্টুন দেখছিল আমি শুয়ে ওর সঙ্গে কিছুক্ষণ দেখলাম আসলে কার্টুন দেখতে খুব ভালই লাগে। কিছুক্ষণ ছেলের সাথে কার্টুন দেখে এরপর আমি আমার পোস্ট লিখতে শুরু করি। আর হ্যাঁ, এই যে একটা ছবি আঁকা দেখতে পারছেন এটা আমার মেয়ে আকছে। ও রাত্রেবেলা দশটার সময় আছে এবং এসে কি করবে এসব কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে। আর নিশ্চয়ই ছবির আঁকা মানুষ গুলো দেখে বুঝতে পারছেন কাকে কাকে নিয়ে এঁকেছে।
আপনারা শুনলে অবাক হয়ে যাবেন এই ছবির রং কি দিয়ে বানিয়েছে। কালো রংটা হল ওর চোখের আইলানার আর সাদা রংটা হলো টুথপেস্ট। তারপর বলে আম্মু আমি জল রং কিনবো ছবি আঁকার জন্য, এরপর ওর বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে এ বাসার ম্যানেজারের মেয়ের কাছে জল রং আনতে দিল। তবে এখনো রং হাতে এসে পৌঁছায়নি রবিবার এনে দিবে।
যাইহোক এরপর আস্তে আস্তে করে পোস্ট লেখাটা শেষ করি। এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দি তারপর আমরাও মা মেয়ে রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে বসে থেকে ফোন ব্যবহার করি। আর অপেক্ষায় থাকি তারা দুইভাই কোন সময় আসবে তারপর তাদের খাওয়া-দাওয়া করিয়ে শুয়ে পরব। বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের ডাইরি গেম সবাইকে থ্যাংক ইউ।।
সাহেবের খেদমত করা খুব ভালো কাজ, আপনার সাহেবের জন্য অতি দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি, আশা করি আপনার সেভাবে অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
রাতে ঘুমাতে দেরি হলে সকালে উঠতে ইচ্ছে করে না তারপরও পরিস্থিতির জন্য আমাদেরকে উঠতে হয়।। সকালে উঠে নাস্তা তৈরি করেছেন এবং ছেলেমেয়েদের খেয়াল করেছে।। আবার সংসারের বেশ কাজও করেছেন সব মিলিয়ে ভালোভাবেই দিনটা অতিবাহিত করেছেন।।
আপনার সেবামূলক মনোভাব এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসা দেখে মনে হচ্ছে, আপনার দিনগুলি সত্যিই সুন্দর এবং আনন্দময়। এমনভাবে দিন কাটিয়ে আপনিও যেন কিছুটা শান্তি এবং সন্তুষ্টি পান, সেটাই আশা করি। আমারও বেসিরভাগ সময় রাতের বেলায় কাপড় ধোয়া হয়। দিনের বেলা যে গরম পড়ে তাতে এই গরমে কাপড় ধুতে বেশ আলসেমি লাগে।