Better Life With Steem || The Diary game || 6/1/2025
হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। প্রতিদিন এর মত দেরি না করে আবারো আপনাদের মাঝে চলে এসেছি আজকে ডাইরি গেম নিয়ে।
প্রতিদিনের চেয়ে আজকে সকালে একটু ঘুম থেকে তাড়াতাড়ি উঠি, তবে ফজরের নামাজ আদায় করতে পারিনি। ঘুম ভেঙেছে সকাল সাতটার সময়। চোখের ঘুম ভাঙ্গার পর তারপর আর বিছানায় শুয়ে থাকেনি, সোজা হাতমুখ ধুয়ে রান্না ঘরে চলে গেলাম।
রান্নাঘরে গিয়ে প্রথমে সাহেবের জন্য রুটি বানালাম আমার জন্য আর রুটি বানাইনি কারণ, কালকে দুপুরে ভাত অনেকগুলো রয়ে গেছে। সাহেব দুপুরে খাইনি রাতে খাইনি শুধু আমি আর ছেলে খেয়েছি কতগুলো ভাত ছিলো। তাই ভেবে চিন্তে কাজ করে নিলাম সাহেবের জন্য রুটি বানাই আর আমি ভাত খেয়ে নিলাম।
সকালের ভাত খেয়ে আরেকটু কাজে লেগে পড়ি। গত পরশুদিন আমাদের বাসার ভাইয়ার যত মালামাল ছিল সেগুলো নিয়ে গেল। জানুয়ারির ৩ তারিখে তারা নতুন একটা বাসায় উঠলো। তাই রুমগুলো কিছু কিছু পাকা হয়ে গেল। তার জন্য সব রুমগুলো ভালো করে পানি দিয়ে মুছে নিলাম।
এরপরে রুমগুলো মুছা শেষ হলে রান্নার কাজে হাত লাগাই ; যা যা রান্না করবো তার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করতে শুরু করে দিলাম। আজকে রান্না করতে নিলাম সিম দিয়ে আলু রান্না আর তার সাথে ছিল সিম ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা,আলু সিম রান্না বসিয়ে দিয়ে তারপরে আমি ভর্তা বানাতে লেগে পড়ি।
আজকে রান্না এমন একটা ঝামেলা ছিল না শর্টকাট করে রান্না হয়ে গেল। রান্না শেষে কোন কাজ ছিল না তাই চট করে ছেলেকে গোসল করে দিলাম এবং আমার গোসলটাও সেরে নিলাম। তারপরে জোহরের নামাজ আদায় করে আমরা তিনজনে বসে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। মেয়ে বাসায় নেই ওর বাবার এক আত্মীয় মানে ওর নানু হয় তাদের বাসায় বেড়াতে গেছে।
আজকের দুপুরে খাবার খেয়ে মা ছেলে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছি মা ছেলে এমন একটা মধুর ঘুম দিয়েছি যে, একদম মাগরিবের সময় উঠে গেছি তাও মশার কামড় খেয়ে। ছেলের হাতে পায় ৫-৬ টার মত মশা কামড় দিল তারপরে চুলকে দিলাম। জানালা আটকাতে একটু দেরি হলেই রুমের ভিতরে মশায় ভরে যায়। আজকে অনেক লেট জানালা আটকে ছিলাম তাই এত পরিমাণ মশা জমেছে রুমে।
এরপর সন্ধ্যা নেমে আসলো মাগরিবের আজান দেওয়ার নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে ছেলেকে সন্ধ্যা বেলা বিস্কুট খাইয়ে দিলাম এরপর ওর বাবা আবার মটর ভাজা আনলো সেগুলো সে নিজের হাতেই খেয়ে নিলো আর এদিকে আমি পোস্ট লেখতে বসে পড়ি। এরপরে পোস্ট লেখা শেষ করে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়ে আমি আর বসে থাকি নি, এশার নামাজ পড়ে ছেলে সাথে শুয়ে পড়ি। এভাবেই করে আমার জীবন থেকে আরও একটা দিন পার হয়ে গেল। (আল্লাহ হাফেজ)