Better Life With Steem || The Diary game || 31/12/2024
হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। প্রথম সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। সবাইকে অগ্রিম নতুন বছরের শুভেচ্ছা happy new year 2025 নতুন বছর শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। নতুন বছরটা সবাই যেন সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবনটা শুরু করতে পারবে আল্লাহর কাছে দোয়া করি।
আজকে ৩১ ডিসেম্বর আমার জন্মদিনের তারিখ। তবে এইসব জিনিস গুলো মনে মনে রাখি কোন সময় পালন করি না। আর পালন করাটাও তেমন একটা পছন্দ করি না। এইতো সেদিন ২৫ শে ডিসেম্বর আমার ছেলের জন্মদিনের তারিখ ছিল। জন্মদিনের তারিখ হিসেবে উৎসব করার চেয়ে মনে মনে দোয়া করি প্রত্যেকটা বছর যেন সুন্দরভাবে যেন কেটে যায়।
আজকের সকালটা প্রতিদিনের মতোই শুরু হয়েছিল কিন্তু ব্যস্ততার ভিতরে না খুব নরমাল ভাবে। সকালটা শুরু হওয়ার মধ্যেই সাড়ে পাঁচটার সময় ঘুম থেকে উঠে গেলাম। উঠে আগে মেয়েকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম। মেয়ে উঠে যতক্ষণের হাতমুখ ধুলো দাঁত ব্রাশ করে রেডি হবে ততক্ষণে আমি ফজরের নামাজ আদায় করে নিলাম।
নামাজ পড়ে ছয়টার সময় মেয়েকে মাদ্রাসায় পৌঁছে দিয়ে আসি। আজকে বাহিরে প্রচন্ড ঠান্ডা হাওয়া বাতাস ছিলো,নিচে নামার পর খুব শীত লাগছিল। মেয়েকে মাদ্রাসা দিয়ে এসে তারপর আমি সিড়ি বেয়ে তাড়াতাড়ি উঠে গেলাম যাতে শরীরটা গরম হয়ে যায়।
এরপরে বাসায় ঢুকে রুমে গিয়ে আবার শুয়ে পড়ি তারপর ঘুমিয়ে যাই। তারপরে সকাল সাড়ে আটটার সময় উঠে রান্না ঘরে চলে যাই, আমার সঙ্গে ছেলে উঠে যায়। আগে ছেলেকে হাতমুখ ধুয়ে দিয়ে স্যুপ নুডুলস রান্না করে দিলাম তারপর আমাদের জন্য রুটি বানালাম।
আমার রুটি বানানো হয়ে গেলে এদিকে মেয়ের মাদ্রাসায় ও টিফিন দিয়ে আসি, তারপর আমি সকালে নাস্তা করি। নাস্তা করে দশটার ভিতরে দুপুরে রান্নার কাজে হাত লাগাই ;ভেবেছিলাম আজকে কিছু সবজি এবং অন্য তরকারি রান্না করব। তারপর ভাবি না আজকে শুধু ডাল ভুনা আর ভর্তা বানাবো।
এরপরে ভাবনাটা কাজে লাগাই, ভর্তার নাম হলো। বাদাম ভর্তা, কালিজিরা ভর্তা, আর তার সঙ্গে রয়েছে মুগ ডাল ভুনা আর সালাত। তবে আজকে আমার দুপুরে খাবারটা খুব হেব্বি হয়েছে। রান্নাটা তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। রান্না শেষ হলে কি আর গা গোসল করে করতে যেতে পারি, তারপরও যে কত বাড়তি কাজ থাকে।
সমস্ত রুমগুলো সুন্দর করে ঝাড়ু দিয়ে তারপরে পানি দিয়ে মুছে নিলাম। কিছু অগোছানো কাজ করলাম, ছেলের খেলনা গুলো ঠিকঠাক মতন গুছিয়ে রাখলাম। এসব কিছু কাজ করে তারপর মা ছেলে গোসল করে আসি। গোসলটা শেষ করে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম।
দুপুরে খাবার খেয়েদেয়ে ছেলেমেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। তারপর আসরের সময় সাহেব বাসায় ফিরে সে গা গোসল করে নিল তারপর তাকেও খেতে দিলাম। তাকে খেতে দিয়ে আমি আসরের নামাজ পড়ি।
আসরের নামাজ পড়ে ছেলেকে নিয়ে একটু নিচে গেলাম, ওকে নিয়ে হাঁটাচলা করি। তবে নিচে গিয়েও বেশিক্ষণ থাকতে পারেনি খুব ঠান্ডা বাতাস আসছিল। তাই চটপট করে মা ছেলে সিড়ি বেয়ে বাসায় আসি। যাই হোক আজকের লেখা এ পর্যন্তই সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন ( আল্লাহ হাফেজ)
প্রথমেই আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। এরপর আপনাকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। যদিও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে তারপরেও আপনার আগামী দিনের পথ চলা অনেক বেশি সুন্দর হোক। আসলে জন্মদিন উৎসব করা বা এর মধ্যে আনন্দ করার কোন কিছু নেই। এই দিনে আল্লাহতালার কাছে নিজের জন্য এবং নিজের সন্তানের জন্য দোয়া করাটাই সবচাইতে উত্তম। যেটা আপনি করেছেন খুব ভালো লাগলো বিষয়টা।
সময়টা ছোট বলা যায় দিনটা একেবারেই আমাদের হাতের মুঠোয়, সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হলেই সময়টা যে কিভাবে ফিরে যায় সেটা আমরা বুঝতেও পারি না। মেয়ের মাদ্রাসায় খাওয়া দাওয়া দেওয়ার পাশাপাশি ছেলেকে নিয়ে নিজের সংসারের কাজগুলো আপনি খুব সুন্দরভাবেই গুছিয়ে নিয়েছেন। ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রমে উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
আলহামদুলিল্লাহ, আপনার দিনটা অনেক সুন্দর এবং পরিপূর্ণ মনে হলো। আল্লাহর রহমতে আপনার সবকিছু ভালোভাবে চলুক, এবং আপনার পরিবারের জন্য সুস্থতা, সুখ, শান্তি এবং বরকত কামনা করি। আপনার রান্না, সংসারের কাজ, এবং দৈনন্দিন জীবনের প্রতি ভালোবাসা ও যত্ন সত্যিই প্রশংসনীয়। আল্লাহ আপনার জীবনে সবসময় শান্তি ও বরকত দিয়ে রাখুন, আর নতুন বছরে যেন প্রতিটি দিন আপনার জন্য আরও বেশি আনন্দ, শান্তি, এবং উন্নতি নিয়ে আসে।
আমার মনে হয় জন্মদিন না পালন করাই উত্তম এই দিনে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।। সকাল থেকেই বেশ রান্না-বান্না করেছে কিন্তু আপনার ভর্তা গুলো দেখতে বেশ লবণীয় লাগছে।।