Better Life With Steem || The Diary game || 3/1/2025
হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। ২০২৪ সাল শেষ করে ২০২৫ সালে পড়েছি, আশা করি নতুন বছরের নতুন দিনগুলোর যেন সবার সুখ এবং ভালো দিন বয়ে আনে।
প্রতিদিনের মতন আজকের সকালটা তেমন নিরিবিলি ভাবে পার করতে পারিনি, প্রায় দুই- তিনদিন ধরে আবহাওয়াটা এত শীতল যে ; বিছানা ছেড়ে উঠতেই মন চায় না। আজকে সকাল দশটার সময় উঠেছি মনে, হয় ফজর ছয়টার সময় উঠেছি। উঠে হাত মুখটা ধুয়ে তাড়াহুড়া করে রান্নাঘরে চলে যায় সকালে নাস্তা বানাতে।
আমার দূরসম্পর্কের আঙ্কেল আর সাহেবের খুব কাছের মানুষ সে আমাদের বাসায় আসে এবং তার জন্য নাস্তা বানালাম। রুটি, সবজি, ডিম ভাজি,নুডুলস, এবং চা-বিস্কুট এগুলো খেতে দিলাম। খুব তাড়াহুড়া করে এগুলো বানাতে হয়েছে তার মাঝে কাজে হাত চলে না শীতে হাত বেকা হয়ে যায়। রুটি তো বেলটি পারছিনা। এদিক সেদিক করে বেকা করে রুটি বেলে নিলাম।
আগে রুটি বানিয়ে সবজি আর ডিম দিয়ে খেতে দিলাম। তারপর আস্তে আস্তে করে নুডুলস রান্না করে নিলাম।আঙ্কেল সকালের নাস্তা করে খুব তাড়াহুড়ো করে চলে গেল, তার নাকি কাজ আছে অনেক রিকোয়েস্ট করেছি থাকার জন্য থাকেনি, তার সত ব্যস্ত থাকার ভিতরেও আমাদের সাথে একটু দেখা করে গেল এটাই অনেক বড় পাওয়া।
আমি তাকে সামনের দরজা পর্যন্ত বিদায় জানিয়ে,দুপুরের রান্না করতে চলে যাই। আর সাহেব আঙ্কেলকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে এসে পড়ে। দুপুরের রান্নাটা বারোটার দিকেই রান্নস শেষ হয়ে যায়। আমার রান্না হয়ে গেলে ছেলেকে হাতমুখ ধুয়ে দিলাম আর গোসল করাইনি। টেপের পানি এত পরিমাণে ঠান্ডা মনে, হয় বরফ গুলেগুলে পড়ছে মাথায় পানি দিচ্ছি মাথা চামড়া বটে যাচ্ছে।
তবে আমি আর না গোসল করে থাকতে পারিনি, কালকে গোসল করিনি মনে হয় এক সপ্তার মতন গোসল করিনি। আর আমি যেটা মনে করি আমি যদি একদিন গোসল না করি পরের দিন অনেক শীত লাগে যা তিনটা সোয়েটার পরলোও সেই শীত মানানো যায় না। তাই আজকে গোসল করতে গিয়ে র্ঝনা ছেরে প্রায় আট- দশ মিনিটের মতন শরীরে পানি দি।
এরপর গোসলটা শেষ করে পরিপাটি হয়ে জোহরের নামাজ পড়ি। জোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দি, ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিলাম এদিকে সাহেব এখনো নামাজ পড়ে আসছে না। তাই কতক্ষন ওয়েট করলাম দেখি আড়োটার মতো বেজে যাচ্ছে এখনো আসে না। তারপর আর কি করবো খুদা নিয়ে তো বেশিক্ষণ ওয়েট করা যায় না তারপর আমি খেয়ে নিলাম খেয়ে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পরি।
কিছুক্ষণ বাদেই সাহেব আসলো জিজ্ঞেস করলাম খেতে দিব কিনা, সে বলছে ১০ মিনিট পরে তারপর পিসিতে বসে গেল। ছেলে ঘুমিয়ে পড়লেও আমি আর ঘুমাইনি, শুয়ে একটা মুভি দেখছিলাম। তারপর কিছুক্ষণ বাদে আসরের আজান দিল নামাজ পড়ে নিলাম।
নামাজ পড়ে উঠে জানালার দিকে তাকিয়ে দেখি, মনে হচ্ছে এখনো ফজর পাঁচটা সেরকম কুয়াশা খুব নিরজুম পরিবেশ। এরপর সন্ধ্যা নেমে আসলো মাগরিবের আজান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ শেষ করে কিছুক্ষণ বাদে মা ছেলে মিলে সন্ধ্যায় নাস্তা করি। আজকের লেখাটুকু সন্ধ্যা পর্যন্তই থাক সামনে আর এগোলাম না । এখানেই লেখা শেষ করতে চাই (আল্লাহ হাফেজ)
আপু আপনার দৈনন্দিন দিনের কর্মকান্ড আামাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আসলেই আপু গত দুই দিন বেশ শীত পড়ছে। শীতের কারণে লেপ এর ভিতর থেকে বের হতে ইচ্ছেই হয় না। আর শীতের সময় গরম ভাতের সঙ্গে ডিম ভাজি খাওয়ার মজাই আলাদা।
ভালো থাকবেন আপু।
আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষ শীতের সময়ে সকালে উঠতে দেরি করে আবার অনেকেই বাধ্য হয়ে উঠে যায়।। মেহমানের জন্য বেশ ভালোভাবেই রান্না করেছেন দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে।।। আর হ্যাঁ আমি ও প্রতিদিন গোসল করি আর মাঝে একদিন না করলে মনে হয় কতদিন হয় করি না।।
মাশাআল্লাহ, খুব সুন্দরভাবে দিনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। ঘরোয়া পরিবেশ আর সবার প্রতি যত্নশীল মনোভাব সত্যিই প্রশংসনীয়। আল্লাহ আপনার পরিবারকে সুখী ও শান্তিতে রাখুন।
আসলে আমাদের আপনজন মানুষের চাইতে পর মানুষ অনেক ভালো তারা আমাদের অনেক খেয়াল রাখে আজকে আপনার দুঃসম্পর্কের কাকা আপনাদের বাড়িতে এসেছে তার জন্য আপনি নাস্তা বানিয়েছেন আর দুপুরের রান্নাটা একটু তাড়াতাড়ি হয়ে গেলে ভালো হয় কারণ শীতের সময় সময়টা কত দ্রুত চলে যায় সেটা বলে বোঝানো সম্ভব না।
ট্যাংকির পানির কথা আর বলবেন না বর্তমান সময়ে এত পরিমাণে ঠান্ডা হয়ে থাকে মনে হয় ভৈরব তাই আমি মনে করি কলের পানি দিয়ে গোসল করাটাই উত্তম শীতের সময় সন্ধ্যা সকাল একই রকম মনে হয় কেননা কুয়াশা চারপাশ ঘিরে থাকে আর নীরবতা বিরাজ করে ধন্যবাদ একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য ভালো থাকবেন।