Better Life With Steem || The Diary game || 29/12/2024
হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি। প্রথম সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। তাই তো আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরেছি। তাই আর দেরি না করে আজকের ডাইরি গেমটা লেখতে বসলাম।
আজকে আর প্রতিদিনের মতো এত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারেনি, কেনো না নিজেও ভাবতে পারিনি এতটা লেট করে ঘুম থেকে উঠবো। বরাবর ৭টার সময় সজাগ হয়েছি। সজাগ হয়ে মেয়েকে আর মাদ্রাসায় যাওয়ার জন্য উঠিয়ে দিইনি। ভাবছি এত লেট করে মাদ্রাসায় গেলে কিছু একটা বলতে পারে। যে জায়গা প্রতিদিন পাঁচটার সময় যায় সে জায়গায় সকাল সাতটা বেজে গেছে তাই আর মেয়েকে উঠিয়ে দেয়নি।
আমি মেয়েকে উঠিয়ে দেইনি তাতে কি হয়েছে, সে সাড়ে সাতটার সময় সজাগ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে বোরকা পরে মাদ্রাসায় চলে গেল। তারপর আমি উঠে গেলাম, উঠে হাতমুখ ধুয়ে রুমটা সুন্দর করে ঝাড়ু দিয়ে তারপর সকালে নাস্তা বানাতে গেলাম। নাস্তা বানানো হয়ে গেলে আগে ছেলেকে খাইয়ে দিলাম তারপর মেয়ের মাদ্রাসায় চলে গেলাম।
আমি চুপি চুপি করে মাদ্রাসায় যেতে রহনা দিলাম এদিকে ছেলে বুঝতে পেরেছে আমি ওর বোনের মাদ্রাসায় যাচ্ছি । আমার যাওয়া দেখেই সে আমার আগে দরজা থেকে বের হল। মেয়ের মাদ্রাসা খুব একটা দূরে না তবে ওকে মাদ্রাসায় নিলে সবাই ওর প্রতি অনেক আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আর ছেলেও ওদের ভালবাসা পেয়ে মাদ্রাসা থেকে আসতে চায় না তারপর খুব জোর করে নিয়ে আসতে হয়। এবং নিয়ে আসার সময় খুব কান্নাকাটি করে আর কান্না থামাতে গেলে আমার পুরো দিনটা চলে যায়। আজকের দিনটা ঠিক সেই রকমই হয়েছে।
মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে আমি সকালে নাস্তা করে রান্না ঘরে চলে গেলাম আর এদিকে সাহেব এখনো ঘুমোচ্ছে। আমার রান্না প্রায় শেষ প্রান্তে এদিকে সাহেব তখন ঘুম থেকে উঠেছে তখন সাড়ে বারোটার তারপর গোসল করে সকালে নাস্তা খেয়ে দোকানে চলে গেল।
দুপুরে রান্নাবান্না শেষ হলে আমরা গোসল করে আসি। গোসল শেষে জোহরের নামাজটা পড়ে তারপর সকলে মিলে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম। খেয়ে দেয়ে ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। আমি আর ঘুমাইনি, অনেকদিন পর আজকে একটা মুভি দেখলাম। মুভিটা কিছু অংশ দেখেছি তারপরে আসরের আজান দিল নামাজ পড়ি।
নামাজ পরে আর ফোনে হাত নেইনি কিছুটা সময় বারান্দায় হাটাহাটি করি আর দেখতে পাই আমার রসুন গাছটি মাশাল্লাহ অনেক বড় হয়ে গেছে কিন্তু আদৌ জানিনা এতে রসুন হবে কিনা।
রসুন গাছ নিয়ে কিছু পরিচর্য করি পানি দিলাম মাটিতে একটু খুঁজে খুঁজে নরম করে দিলাম। এরপরই মাগরিবের আজান দিল ওযু করে মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ছেলেকে কিছু খেতে দিলাম সে বিস্কিট খাবে না গজা খাবে না ডিমও খাবে না। সে বলে আমি অন্য কিছু খাবো অন্য কিছু বলতে চিপস ললিপপ।
তারপরে দেখিওর চাচ্চু এসেছে এবং চিপস নিয়ে এসেছিস এরপরে খুব মজা করে চিপস খেতে লাগলো। ওর বাবা চিপস বা ললিপপ এইসব কিছু খেতেই দিতে চায় না। এসব জিনিস খেলে মুখের রুচি কমে যায় কোন ভাল খাবার খেতে চায় না। তারপরও আমি মাঝের মধ্যে ছেলের বাহানা সহ্য করতে না পেরে আমি লুকিয়ে লুকিয়ে ছেলেকে এনে দিই। আসলে ঠিক এইসব জিনিস যতটা এড়িয়ে চলবে ততটাই বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
ছেলে চিপস খেতে লাগলো আমি ওর পাশে বসে আজকের পোস্টটা লিখে ফেলি। পোস্টটা লিখতে লিখতে এশার আযান দিলো তারপর ফোনটা রেখে নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দিয়ে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। যাই হোক আজকের লেখা এ পর্যন্তই সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আর সবাইকে অনেক অনেক নতুন বছরে অগ্রিম শুভেচ্ছা ( আল্লাহ হাফেজ)
প্রতিদিনের মতো আজকে আপনি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারেননি। আসলে ঠান্ডার সময় ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হয়ে যায়। সারাদিন অনেক রান্নাবান্না করেছেন। সারাদিন কি আপনার খুবই ব্যস্ততার মধ্যে দিয়ে কেটেছে। আপনার লাগানোর রসুন গাছ গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।
আজকের দিনটা বেশ ব্যস্ত এবং মজার ছিল, ছোট ছোট মুহূর্তগুলো ছিল সবার জন্য বিশেষ। মেয়ে মাদ্রাসা চলে গেল, ছেলে চিপস খেয়ে আনন্দিত হলো, আর আপনি রান্না ও নামাজে সময় কাটিয়ে দিনটা সুন্দর করে শেষ করেছেন। আপনার দৈনন্দিন জীবনটাও বেশ সুন্দর, সবার ভালো থাকার কামনায় নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
Your post has been supported by THE QUEST TEAM. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
আসলে আমাদের মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটাই হয়ে থাকে। নিজেদের সংসারের কাজের পাশাপাশি বাচ্চাদের কে সময় দেয়া এবং নিজের জন্য একটু সময় বের করা। এটাই আসলে কষ্টকর হয়ে যায়।তারপরেও আমরা চেষ্টা করি সংসারের প্রতিটা কাজ সম্পন্ন করে নিজেকে কিছুটা সময় দেয়ার।
বর্তমানে বাচ্চাদের বাহানা শেষ নেই আপনি যত তাদের বাহানা পূরণ করবেন। তাদের বাহানা তত বেশি বৃদ্ধি পায়। তাই আমার মনে হয় কিছুটা নিজের মধ্যে রাখাটাও উত্তম যেমনটা আপনার সাহেব করে থাকে। আসলে বাচ্চারা যদি অতিরিক্ত ললিপপ এবং চিপস খায় তাহলে কিন্তু তাদের রুচি একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে হলেও তাদেরকে এই খাবার থেকে বিরত রাখা উচিত।
পরিচর্যা করলে প্রতিটা জিনিস খুব সুন্দরভাবেই ফুটে ওঠে, যেমনটা আপনার রসুন গাছ আপনি যতটা যত্ন করেছেন। তাদেরকে তারা ঠিক ততটাই ফলন আপনাকে দিয়ে যাবে। এটাই বাস্তবতা ওই যে কথা বলে না কষ্ট যেমন হবে আপনার সফলতাও ঠিক তেমনি হবে। ধন্যবাদ এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার একটা দিনের কার্যক্রম উপস্থাপন করার জন্য। ভালো থাকবেন।
শীতের সময় এমনই হয় সকলের মুহূর্তটা কিভাবে যে কেটে যায় বোঝাই জানা।। আর হ্যাঁ আমিও যখন স্কুলে পড়াশোনা করতাম যত স্মৃতি থাক না কেন সকালে জাগনা পেতাম কারণ আমার প্রাইভেট ছিল আটটাই।। বাহ কি সুন্দর ভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে রসুন রোপন করেছেন।।