Better Life With Steem || The Diary game || 29/1/2025
হ্যালো গাইজ,,,
সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আসসালামু আলাইকুম,,
বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। খুব সুন্দর একটা ভোরের আলো দেখতে পেয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ। যাই হোক আর দেরি না করে আবারো আপনাদের মাঝে চলে আসলাম আজকের ডাইরি গেম নিয়ে।
আজকের সকালটা কেমন যেন এলোমেলো হয়ে কেটে গেল। রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি, প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছিল। তারপর সকাল সকাল একটু ঘুমিয়ে পড়ি তাও ঘুমোতে পারিনি বিড়াল ছানাটা এসে মশারি টানছে। মশারি টানছে মানে আমার ছেলের কাছে আসবে সারারাত ওর জায়গা শুয়েছিল। আর সকাল সকাল আমার ছেলের কাছে এসে শুবে তাই মশারির পাশে এসে মশারি টানছে।
এদিকে তো ছেলে তখন ওর পাশে নিবে না কারণ, বারবার ওর কোলের ভিতর ঢুকছে আর ও সরিয়ে দিচ্ছে। যাই হোক তবুও আমাদের বিড়াল ছানাটা মানে টুশিটা খুব ভালো এরপর আমি আমার কছে নিলাম। এদিকে তখন সকাল ছয়টা বেজে গেল, সাহেব ওঠে মুখ হাত ধুয়ে ওযু করে মসজিদে চলে গেল আমিও উঠে গেলাম।
কিছুক্ষণ পরে সাহেব মসজিদ থেকে এসে গেল। এসেই বলছে খুব ক্ষুদা লাগছে আজকে রুটি বানাবে না খিচুড়ি রান্না করো। সাহেবের কথা শুনে এদিক-ওদিক না তাকিয়ে সোজা রান্না করে চলে গেলাম। খিচুড়ি রান্না করতে যা যা লাগে সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে তারপর রান্নাটা বসিয়ে দিলাম।
রান্না শেষে মেয়েকে মাদ্রাসায় টিফিন দিয়ে আসি তারপর আমরা দুজনে বসে গরম গরম খিচুড়ি খেলাম মরিচ ভর্তা, আর ডিম ভাজি, দিয়ে। সকালের নাস্তা করে কিছুক্ষণ শুয়ে বসে রইলাম, আর কিছু কিছু ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। কারণ ২৯ তারিখে নতুন বাসায় যাওয়ার কথা ছিল যাওয়া হয়নি, কালকে ৩০ তারিখ ইনশাল্লাহ মনে, হয় যাওয়া হবে।
সবকিছু গুছিয়ে নেওয়াতে এদিকে দুপুরে রান্নার সময় পেরিয়ে গেল। তারপর তাড়াহুড়ো করে রান্না করার সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্নাটা বসিয়ে দিলাম। মুখে সহজ ভাবে বলা যায় সবকিছু গুছিয়ে নিলাম কিন্তু গুছাতে গেলে অনেকটা কিন্তু সময় লেগে যায়।
রান্নাবান্নার কাজ গুলো সবকিছু শেষ করে ছেলেকে গোসল করে দিলাম । সাহেবের কিছু জামা কাপড় ধোলাম এরপর আমি গোসল করতে গেলাম। ওমা তখন দেখি পানি নেই পানি শেষ হয়ে গেছে। কি একটা মুশকিলে পড়ে গেলাম হাতে-পায়ে সাবান লাগিয়ে বসে রইলাম, প্রায় আধা ঘন্টার মত তখনও দেখি পানি আসছে না টিপটিপ করে অল্প অল্প পানি পড়ছে।
তারপর আর কি করবো; যেটুকু পানি ছিল সেটুকু পানি দিয়ে সাবানটা ধুয়ে নিলাম মাথায় আর পানি দিতে পারিনি। এরপরের ছেলেকে দুপুরে ভাত খাওয়াতে বসি। ভাত খাওয়াতে প্রায় আসরের আজান দিয়ে দিল। যখন আমি দুপুরের ভাত খেয়েছি তখন আর দুপুর ছিলনা বিকেল পেরিয়ে গেল। বিকালটা আজকে খাওয়া-দাওয়া কাজের ভিতর চলে গেল।
খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করি আজকে আর বিকেলে ঘুম হয়নি। কিছুক্ষণ বাদেই বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলো। সন্ধ্যা হতে না হতেই ছেলে বলছে আম্মু আমি নুডুলস খাব নুডুলস খাব বারবার বলেই যাচ্ছে। তাই আগে ওকে খাবার দিয়ে সান্তনা করে রেখে,এরপরে আমি একটু বসলাম। আর হ্যাঁ বসার সঙ্গে সঙ্গে কিছু মুড়ি চানাচুর মেখে সামনে নিয়ে বসি। এরপরে আজকের জন্য পোস্ট লিখতে শুরু করি।
সারাদিনের ব্যস্ততা, টুশির কাণ্ড, রান্নাবান্না আর পানি না থাকায় বিপাকে পড়া সব মিলিয়ে একদম ঘরোয়া ও প্রাণবন্ত দিন কেটেছে।নতুন বাসার প্রস্তুতিও চলছে, ইনশাআল্লাহ সব ভালোভাবে সম্পন্ন হোক।
গরম খিচুড়ি, মরিচ ভর্তা, ডিম ভাজি শুনেই ক্ষুধা লেগে গেল! আপনার ছেলের নুডলস খাওয়ার আবদারও দারুণ মজার লাগল। নতুন বাসায় সুন্দর সময় কাটুক, শুভকামনা রইলো।
সারাদিনটা অনেক বেশি ব্যস্ততার মধ্যেই কেটে গেছে আসলে ব্যস্ততা মানুষের জীবনের একটা অংশ হিসেবেই বলা যায় তবে সকালবেলার শীতের সময় গরম গরম খিচুড়ি তার সাথে ডিম ভাজা এবং পেঁয়াজের ভর্তা পেলে আর কিছুই লাগে না আপনার দিনটা অনেক বেশি সুন্দর ভাবে কেটে গিয়েছে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।