Better Life With Steem || The Diary game || 28 August 2023
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমার ইউজার আইডি @Amekhan আমি বাংলাদেশ থেকে বলছি।
প্রথমে আমি 'Incredible 'India কমিউনিটির সকলকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আমি 'Incredible 'India কমিউনিটিতে কাজ করে আমি খুব আনন্দিত। সকল সদস্যরা কেমন আছেন সবাই আলহামদুলিল্লাহ আমি মোটামুটি ভালো আছি।
আজ আমি নিয়ে এসেছি ডেইলি গেম আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমি সারাদিনে কি কি করেছি তাই নিয়ে।
"সকালবেলা "
প্রতিদিনের মতো আজ আমি ফজরের নামাজ পড়তে পারিনি। কারন কাল রাত থেকে আমার শরীরটা তেমন ভালো ছিল না তার জন্য ফোনের এলাম শুনতে পারিনি আর ফজরের নামাজ পড়তেও পারিনি।আসলে সত্যি বলতে কি সকাল থেকে যদি মুড ভালো থাকে তাহলে সারাদিন ভালোর ভিতরে যায়।তো প্রতিদিনের মতো আমার আজকে দিনটা ভালো কাটলো না।যাইহোক তারপর আমি ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মতো দিনের দাঁত ব্রাশ করে হাত মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা বানালাম।আর ছেলেটা এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি। আমি সকালে নাস্তা বানালাম চপটি আর রং চা আমি বেশি চা পছন্দ করি না মাঝের মধ্যেও খেয়ে থাকি যেমন আজকে খেলাম। তো আমার সকাল নাস্তা খাওয়ার পর ঘরে যত বাসি কাজ ছিল ওগুলো করে ফেললাম তারপর দেখি ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেছে। ওকে মুখ ধুয়ে আমি সকালে এক পিস কেক খাওয়ালাম।মেয়েকে প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম। তারপর আর কি করবো মেয়ে প্রাইভেট পড়ে এসে পড়ল তারপর খাওয়া দাওয়া করে পরীক্ষা দিতে স্কুলে গেল।
"দুপুরবেলা
দুপুরে আমি কি কি রান্না করবো ওগুলো আমি গুছিয়ে নিলাম।আজ দুপুরের রান্নার আইটেম গুলো হলো মাছের মধ্য তরুল দিয়ে ভাজা, আমরা ঝোল করে আমড়া রান্না করা,আর শাক ভাজি,গুলো আমার দুপুরে রান্না করার আইটেম। যাইহোক এগুলো আমি কোটাকুটি করে সব ধুয়ে চুলার পাশে গুছিয়ে নিলাম রান্না করার জন্য। এদিকে আমার রান্না করতে করতে দেখি সামনের দরজা থেকে ছেলেটা পরে গেছে। ওর কান্না শুনে আমি দোর দিয়ে ওর কাছে গেলাম গিয়ে দেখি কপালে নাকে গালে অনেক ব্যথা পেয়েছে। ওকে আমি সান্তনা করতে করতে এদিকে আমার রান্নার তো বারোটা ওকে আমি কোলে করে নিয়ে রান্নাটা শেষ করলাম। রান্না হয়ে গেল আর এদিকেও কান্নাকাটি করলো, ঘুমাবার জন্য তারপর ওকে আমি তাড়াতাড়ি গোসল করিয়ে ঘুম পড়ালাম।ওকে ঘুম পারাবার পর আমি ঘরে কিছু কাজ করে নিলাম তারপর আমি গোসল করতে গেলাম। গোসল করে ওযু করে দুপুরে নামাজ পড়ে নিলাম তারপরে দুপুরের খাবার খেলাম সবাই মিলে একসাথে টেবিলে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে টেবিলটা গুছিয়ে রেখে আমি ছেলের পাশে শুতে গেলাম। ঘুম আসছিল না কতক্ষণ ওর পাশে শুয়ে থাকলাম।
"বিকেলবেলা"
বাবুর পাশে শুয়ে থেকে আমি স্টিমিটে ঢুকে কমেন্ট ও ভোট দিলাম।কিছুক্ষণ স্টিমিটে কাজ করার পর দেখি আসরের আযান দিয়ে দিল তারপর ফোনটা রেখে আমি আসরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ার কিছুক্ষণ পর দেখি ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেল ও দুপুরে ভাত খাইনি তার জন্য আমি অল্প কিছু ভাত নিলাম খাওয়ার জন্য।আমি ওর জন্য ভাত নিলাম খাওয়ানোর জন্য তো কিছুতেই ও খেতে চাইলো না।ওকে আমি কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে খাওয়ানোর জন্য চেষ্টা করি তবুও ও খেলো না।আমি ওর পিছে দুই ঘন্টা সময় দিলাম তার ভিতরে মাত্র ৫ লোকমা ভাত খেলো তারপর আমি রাগ করে হাত ধুয়ে নিলাম। ভাত খেলোনা আমি ওকে নিয়ে একটু হাটাহাটি করলাম তারপর দেখি সন্ধ্যা হয়ে গেল।
"সন্ধ্যা বেলা"
মাগরিবের আজান দেওয়ার পর আমি অজু করে এসে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিলাম তারপর কিছুক্ষণ দোয়া-দরুদ পড়ে নিলাম।সন্ধ্যার নাস্তা ছিল আমার নোনোদ আসরের সময় বাজারে গিয়েছিল বাজার থেকে পিয়াজু আননো।তারপর আমরা সবাই বসে পিয়াজু গুলো খেলাম। মেয়ে পড়তে বসলো তারপরে পড়ালেখা শেষ করে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। ও তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ো আবার সকালে প্রাইভেটে যেতে হবে তার জন্য। তারপরে এশার আজান দিল আমি নামাজ পড়ে নিলাম তারপরে সবাই রাতের খাবার খেলাম।আমি ভাত খেয়ে ছেলের জন্য ভাত নিলাম খাওনোর জন্য কিন্তু অবশেষে খাওয়াতে পারলাম না।না খেয়ে কান্নাকাটি করে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। আসলে ইদানিং ধরে জ্বর যাওয়ার পর থেকে মুখে কোন রুচি নেই কোন খাবার-দাবার খেতেই চায় না। তাই ভাবলাম কাল সকালে আবার একটু ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো কি সমস্যা হয়েছে ওর কোন ভাবেই কোন কিছু খাওয়াতে পারছি না তার জন্য।আমি শত চেষ্টা করে ওকে খাবার খাওয়াতে পারলাম না তারপরও আমি ঘুমিয়ে পড়লাম।
বন্ধুরা আজ এ পর্যন্তই আর নয়, জানিনা আমার আজকে ডেইলি গেমসটা আপনাদের কেমন লাগবে।আমার লেখা যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এই কামনাই রইল।আল্লাহ হাফেজ
আবারো আপনি আপনার একটা দিনের কার্যাবলী আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ফজরের নামাজ পড়তে পারেননি,,, এর পরে চা আর পরোটা খেয়েছেন। দুপুরে রান্না করেছেন এবং বিকেলে বাজারে গিয়েছেন।
বাজার থেকে পেঁয়াজু কিনে নিয়ে এসেছেন। সেটা সন্ধ্যার সময় খেয়েছেন,,, এরপরে রাতে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে,,, আপনার একটা দিনের কার্যাবলী এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ভালো থাকবেন।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ফলো করে সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন।থ্যাঙ্ক ইউ
একটি দিনের কার্যাবলী খুব ভালোভাবে উপস্থাপনা করছেন। আসলে আমাদেরও যখন শরীর খারাপ থাকে মাঝে মাঝে ফরজের নামাজ পড়তে পারি না ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সকালে ঘুম ভাঙ্গে না।
দুপুরবেলা রান্নার জন্য অনেকগুলো আইটেম সাজিয়েছেন। সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করছেন। আসলে আমরা যারা প্রবাসে থাকি তারা দিনে এক আইটেমের বেশি রান্না করতে পারি না কেননা আমাদের সেই সময় থাকে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ একটি দিনের কার্যাবলী শেয়ার করার জন্য।
খুব ভালো লাগলো আপু আপনি সারাদিন কিভাবে কাটালেন সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে এখানে উল্লেখ করে তুলেছেন আসলে বাচ্চাদের শরীর খারাপ থাকলে বা মাদের অনেক বেশি কষ্ট হয়ে যায় , যখন একটি মা বাচ্চাদের দেখে যে ওরা খেতে পারছে না সেটা আরো বেশি কষ্ট আর আজকাল যে জ্বর হচ্ছে জ্বরের কারণে বাচ্চাদের মুখে রুচি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তাই ভালো একটি ডাক্তার দেখিয়ে বাচ্চাকে খাওয়ানোর বেবস্থা করেন আর আপনার সারাদিনে কাজকর্ম খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন আপনার জন্য শুভকামনা।
আপনি আপনার দিনের কিছু স্মৃতিময় মুহূর্ত আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।আপনি দিনটাকে অনেক ইনজয় করেছেন।আর প্রতিটি সময় কে সুন্দরময় করে তুলেছেন । আপনাকে সৃষ্টিকর্তার সব সময় সুস্থ এবং হাসিখুশি রাখুক।
আমার পোস্টটি ফলো করে সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন থ্যাঙ্ক ইউ।