Better Life With Steem || The Diary game || 28/10/2024

in Incredible India19 days ago
1000150778.jpg

হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার লেখা শুরু করি।


সাহেব অসুস্থ থাকলে আমার রাতে ঘুমানোর কোন টাইম থাকে না। সে এমন একটা মানুষ অসুস্থ হলেই একদম ভেঙে পড়ে । আর সারারাত বিড়বিড় করে বলে সে নিজেই জানে মাঝের মধ্যে তার সেই কথার ভিতরে আমি তার সাথে কথা বলি। এরপর পরে আবার জিজ্ঞেস করি তুমি এগুলো বলছিলা, এরপর বলে কি বলো আমি এসব তো কিছুই বলি নাই। মানে তার কিছু মনে থাকে না ওই সময় কি বলেছে।

1000150774.jpg

কোন রকম ভাবে রাতে তিন ঘণ্টা ঘুমাতে পারি, রাত দুইটার সময় ঘুমালে ভোর পাঁচটার সময় উঠতে হয়। উঠে মেয়েকে তুলে দি ওর জন্য নাস্তা বানিয়ে দি তারপর ওকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসি। মেয়েকে মাদ্রাসা দিয়ে আসার পর সাহেব বলে আমার কপালে একটু মলম লাগিয়ে দাও আর একটু মালিশ করে দাও। তাই ঘুম ঘুম চোখে তার কপালে একটু মলম এবং মালিশ করে দিলাম।

এরপর কিছুক্ষণ মুহূর্তে আবার ঘুমিয়ে পড়ি এরপর সেই ঘুম থেকে সকাল ৯ঃ৩০ টায় উঠি। উঠে কিছুক্ষণ বসে থাকি তারপর সাহেবকে সকালে নাস্তা দি,আজকে রান্না ঘরে গিয়ে কোন নাস্তা বানাই নি। পাউরুটি আর জেলি দিয়ে আজকে সকলেই নাস্তা করেছি। সাহেবের নাস্তা খাওয়ার পর ওষুধ খাইয়ে দিলাম এরপর আবার মেয়ের মাদ্রাসায় চলে গেলাম ওর জন্য সকাল দশটার খাবার নিয়ে যাই।

1000150768.jpg

আমি মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে ভাত খেয়ে নিলাম। সকাল দশটার সময় পাউরুটি আর জেলি খেলে তাতে আমার চলবে না তাই ফ্রিজে ভাত তরকারি রাখা ছিল গরম করে খেয়ে নিলাম। খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ১১ঃ০০ টার সময় রান্না ঘরের দিয়ে গেলাম। তবে আজকে রান্না করতে তেমন একটা সময় লাগে নি, আজকে রান্না করছি, ডাল, আর আলু ভর্তা, আর কালকে শিং মাছ রান্না ছিল ওগুলোই আজকের দুপুরের তরকারি ছিল।

1000150769.jpg

রান্নাবান্না শেষ করে এবং ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে তারপর সাহেবের কত গুলো গেঞ্জি এবং প্যান্ট ধুয়েছি। এই প্যান্ট এবং গেঞ্জি জমা হয়েছে কালকে রাত থেকে শরীর ঘামছে আর একেক টা চেঞ্জ করেছে। যাই হোক কাপড়-চোপড় গুলো ধোয়া হয়ে গেলে আমি এবং ছেলে গোসল করে নিলাম। আর সাহেব তো এই জ্বরের ভিতরে সকাল দশটার সময় গোসল করে নিয়েছে। এই দুইদিন ধরে গোসল করতে পারিনি তাই আজকে গোসল করে নিলো। এরপর সকলে মিলে আমরা দুপুরের খাবার খেলাম। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তিনটার ভিতরে ঘুমিয়ে যাই।

এরপর সেই ঘুম থেকে মাগরিবের আজান দেওয়ার ১৫ মিনিট আগে উঠি। মেয়ে উঠে হাতমুখ ধুয়ে মাদ্রাসায় চলে যায়। আমিও উঠে হাত মুখ ধুয়ে অযু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠে কিছুক্ষণ বসে সাহেবকে সন্ধ্যায় কিছু খেতে দেই, পেয়ারা কেটে দিলাম পেপে দিলাম আর গরম গরম এক গ্লাস দুধ খেতে দিলাম। আলহামদুলিল্লাহ দুপুর থেকে সাহেবের জরটা আগে থেকে কমেছে।

1000150771.jpg

এগুলা খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল। তারপর ভাইয়া বলে সারাক্ষণ বাসার ভিতরে শুয়ে বসে থাকলে শরীর আরো ক্লান্ত লাগে। তাই তারা দুই ভাই সন্ধ্যার পর বাহিরে হাঁটতে গেল। তারা বাসা থেকে বের হওয়ার পর তারপর আমি একটু ফ্রি হয়ে আজকের ডায়েরি গেম দেখতে বসি।আজকের মতো এখানেই থাক সামনে আর লেখায় এগাবো না আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি (আল্লাহ হাফেজ)

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
Loading...

Coin Marketplace

STEEM 0.21
TRX 0.20
JST 0.034
BTC 90913.25
ETH 3176.54
USDT 1.00
SBD 2.97