Better Life With Steem || The Diary game || 25/6/2024
প্রিয় বন্ধুরা, আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গতকালকের কাটানো সকল মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চলেছি, আশাকরি আমার পোস্টটা পরে সকলেই খুব ভালো লাগবে চলুন শুরু করা যাক।।
বন্ধুরা, গত কালকের দিনটা আমার একটু অন্যরকম ভাবে সময় গুলো কেটেছে। চলুন শেয়ার করি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত,গতকালকে আগে রাত্রে সাহেব আমাকে বলেছিল তোমাকে আমার বন্ধুর বাসায় যেতে হবে। আন্টিকে কাজে সাহায্য করতে সেই সাথে একটু ঘুরে আসতে পারবে। আমি বললাম এটা আবার কি কথা আন্টিকে কাজে সাহায্য করবো আবার ঘুরে আসব।
তারপর সে বলল আমার বন্ধুর বাসায় আমাদের ৬ জন বন্ধুকে দাওয়াত করেছে, আর আমাদের যে আমার বন্ধু তাদের বাসায় দাওয়াত করেছে বাসায় শুধু আন্টি একলা আছে ভাবি নেই তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেছে তাই তুমি একটু আন্টির সাথে কাজে সাহায্য করলে তাতে আন্টি অনেক ভালো হবে। তারপর আমি বললাম আচ্ছা সমস্যা নাই যেতে পারব।
এরপর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে সবকিছু ঘুচাতে একটু লেট হল তার ভিতরে ছেলে ঘুম থেকে উঠেনি যেতে যেতে প্রায় ১১ঃ৩০ বেজে গেল। গিয়ে দেখে আন্টির মোটামুটি রান্নাবান্নার কাজ গুলোই হয়ে গেছে, যাওয়ার পরে আমি একটু বসে কাজে লেগে পড়ি তারপর আন্টি আমাকে কাজ করতে নিষেধ করে আর বলে তুমি আমার বাসায় প্রথম এসেছো এসে কাজ করতে হবে না তুমি বসো কিছু খাও তারপর যা করার তা করবে। তারপর আন্টি ফ্রিজ থেকে মোরগ পোলাও বের করে গরম করে খেতে দিল সেগুলো খেলাম।
খেয়ে পাঁচ ছয় মিনিটের মতো বিশ্রাম নিয়ে তারপর বাকি খুঁটিনাটি কাজগুলো করি। গতকালকে দুপুরে রান্না করেছিলো গরুর মাংস ভুনা, ছুরি মাছ ভুনা, টেংরা মাছ ভুনা, মসুরি ডাল, আর পাঁচ রকমের ভর্তা।
আর সেই পাঁচ রকমের ভর্তা গুলো আমি নিজের হাতেই বানিয়েছিলাম । কালোজিরা ভর্তা, বাদাম ভর্তা , ধনেপাতা ভর্তা, শুটকি ভর্তা , আর সাদা তিল ভর্তা। সবগুলো ভর্তা আমি নিজের হাতে খুব সুন্দর করে বানিয়েছে এবং খুব স্বাদ লেগেছে খেতে। অন্যান্য খাবারের তুলনায় ভর্তা দিয়ে ভাত খেতে খুব ভালো লেগেছে । আর এমনিতেই আমি ভর্তার পাগল এত সব খাবারের ভিতরে পাঁচ রকমের ভর্তা দিয়ে ভাত খেলাম আর দুই পিস গরুর মাংস নিলাম।
রান্না তো আগে শেষ হলো ভর্তা বানানোর শেষ হলো, এরপর অজু করে জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। বাসা থেকে যাওয়ার সময় গোসল করে গিয়েছিলাম তাই ওই বাসায় গিয়ে গোসল করতে হয়নি। আমার নামাজ পড়া হয়ে গেলে ছেলেমেয়েকে খেতে দিলাম।
এরপর তারা ছয় বন্ধুরা আসলো, সবকিছু গুছিয়ে তাদের সামনে নিলাম তারা খেতে বসল। তারা বন্ধুরা মিলে খেতে বসার পর খাবার নিয়ে কত টানাটানি কত হাসাহাসি একজনের খাবার আর একজনের নিয়ে খায়। এইরকম সব সময় তারা হাসি মশকারিতে থাকে এমনকি একজনের ব্যথায় আরেকজনে ব্যথিত হয়। আসলে খাবার খাওয়ার সময় কোন ছবি তুলতে পারেনি তাদের খাওয়ানোর কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এরকম নতুন জায়গায় গিয়ে সব কিছুর ছবি তোলা এটা আমার পক্ষে কেমন লাগছে তাই ছবি তুলিনি।
তাদের খাওয়া-দাওয়া শেষ হওয়ার পর সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে তারপর আমি আর আন্টি খেতে বসলাম। আমার খাওয়া শেষ হওয়ার পর তাদেরকে কিছু ফল কেটে দিলাম। সেই ফল খাওয়ার সময় তাদের কাণ্ড গুলো দেখে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যায়। আর এদিকে ছেলে আন্টিদের বাসায় এসে এবং খোলা মেলা জায়গায় পেয়ে মহা খুশি।
তারা খেয়ে চলে গেল আর আমাকে আন্টি বলে এখন যেতে হবে না রাতে খাবার খেয়ে একেবারে যাবে। এরপর আসরের আজান দিল নামাজ পড়লাম। নামাজ পরে কিছুক্ষণ শুয়ে বসে থেকে ফোন ব্যবহার করলাম। এরপর মাগরিবের আজান দিল নামাজ পড়লাম । নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসলাম তারপর আন্টি আমাদের দুজনের জন্য কফি বানিয়ে নিয়ে আসলো আর ছেলে মেয়ের জন্য দুধ চা। আর আঙ্কেলকে জন্য চিনি ছাড়া রং চা দিলো।
আঙ্কেল সন্ধ্যার নাস্তা করে বাহিরে যাওয়ার সময় তার ফোন নেওয়ার বদলে আমার ফোন নিয়ে গেল। আমার ফোনের কাভার আঙ্কেলের ফোনের কাভার একই ছিল আর দুইটা ফোন এক জায়গা ছিল ভুলে নিয়ে গেল আমার ফোনটা। এরপর আর কি করব সারাটা সন্ধ্যা এবং রাত বারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর আংকেল বাসায় আসলো আর আমার ফোন হাতে পেলাম। এরপর সাহেব দোকান থেকে রাত একটা সময় আন্টিদের বাসায় এসে এবং রাতে খাবার খেয়ে আমাদেরকে নিয়ে গেল।। এভাবেই আমার জীবন থেকে গতকালের দিনটা চলে গেল। সবার সুস্থতা কামনা করি।।
We invite you to continue publishing quality content. In this way you could have the option of being selected in the weekly Top of our curation team.
Thank you
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনি আপনার সারাদিনের সকল কাজকর্ম আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন, এবং আপনার যে ভর্তা গুলো করেছেন সেগুলো দেখে আমার তো খেতে মন চাচ্ছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর ভর্তা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই আপনার একটি দিনের কার্যক্রম বেশ সুন্দর করে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য।
লোভনীয় পাঁচ প্রকার ভর্তা গুলো আপনি নিজের হাতেই বানিয়েছেন । দেখে কিন্তু খেতে ইচ্ছা করছে আমি বরাবরই বিভিন্ন রকম ভর্তা দিয়ে বেশি ভাত খেতে পারি অন্যান্য তরকারির চাইতে। যদি আশেপাশে হতো তাহলে বিনা দাওয়াতে ভর্তা গুলো খেয়ে আসতাম। 🤤🤤
নতুন কোন মানুষের বাসায় প্রথম গেলে তারা কাজ করতে দিতে চায় না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি আন্টির সাথে গিয়ে কিছু কাজে সহযোগিতা করেছেন এটা অনেক ভালো কাজ এবং এটা জেনে অনেক খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আপনি তো দুপুরে অনেক রকমের রান্না ও ভর্তা করেছিলেন। ছুরি মাছের নাম আগেও শুনেছি তবে কখনও কাওয়া হয় নি। ভর্তা গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আপনার হাসবেন্ড এর বন্ধুর বাসায় দাওয়াত ছিলো। দাওয়াত পেলে কে না খুশি হয়। আন্টিকে সাহায্যে করে ভালো করেছেন। ভালো থাকবেন।
বাহ সাহেব তো ভালোই চালাক একসাথে দুইটা হয়ে গেল দাওয়াত খাওয়া হয়ে গেল আন্টিকে সাহায্য করাও।। আসলে প্রথম অবস্থায় কেউ গেলে সে কাজ করলে বারণ করবে এটাই স্বাভাবিক।। আর হ্যাঁ ভর্তা গুলো বেশ লবণীয় ছিল।। সব মিলিয়ে আজকের দিন টা অনেক আনন্দের সাথেই পার করেছেন।।