Better Life With Steem || The Diary game || 24/09/2024
আলহামদুলিল্লাহ আজকে রাতের ঘুমটা ঠিক ঠাক মতন খুবই ভালই হয়েছে। যদিও একটু মাথা ব্যাথা করেছিল তাই মাথায় পানি দিয়ে শুয়ে পড়েছি আস্তে আস্তে করে মাথাব্যথাটাও কমেছে আর ঠান্ডায় শরীরে ঘুম হয়েছে।
আজকে সকালে ঘুমটা ভালো হওয়ার কারণে সকালে উঠতে পারিনি, সকাল সাড়ে আটটার সময় চোখের ঘুম ভেঙেছে।আজ আমিও ঠিক সময় মতন ঘুম থেকে উঠতে পারিনি তাই ভাইয়া নাস্তা বানানো হয়নি। তাদেরও ঘুম ভেঙেছে সকাল সাতটায় তারপর তাড়াহুড়ো করে ভাইয়া না খেয়ে বেরিয়ে পড়ল ।
এরপর একে একে করে সবাই ঘুম থেকে উঠে গেলাম সাহেব ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে বাজারে চলে গেল। বাজার থেকে সকালে নান রুটি আর ডাল নিয়ে আসলো ওগুলো দিয়েই আজকে সকালে নাস্তা করি। এরপর সাহেব গা গোসল করে সকালের নাস্তা করে সে মার্কেটে বেরিয়ে পড়ল।
আমরা সকালে সবাই নান রুটি খেলাম কিন্তু মেয়ে খেতে পারছিল না ওর মুখে নাকি তিতা লাগে, তাই ওর জন্য নুডুলস দিয়ে ছুপ বানিয়ে দিলাম তা থেকেও ২ চামচ খেলো। মুখে যা দেয় তা খেলেই বমি আসে, ও অসুস্থ হলে সহজে কমতে চায়না সুস্থ হতে প্রায় এক সপ্তার মতন লেগে যায়।
সকালে খাওয়ার পর্ব শেষ করে এরপর গেলাম দুপুরের রান্না করার পর্বে।দুপুরে রান্নাবান্না এবং গোছালো সবকিছু আমি একাই করে নিয়েছি ভাবিকে করতে দিইনি, সে রান্না ঘরে আসলেই তার ছেলে চলে আসে আর এসে শুধু কান্না করে মাকে ছাড়া কিছুই বুঝে না। তাই তাকে কোন কাজে সহজে হাত লাগাতে দেই না তবুও সে জোর করে এসে কাজ করে।
দুপুরে রান্না বান্না সবকিছু সাড়ে বারটার ভিতরেই শেষ করি। রান্না শেষ করে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে তারপর সাহেবের কতগুলো প্যান্ট আর গেঞ্জি ধুলাম। কাপড় গুলো ধুয়ে এরপর ছেলে আর আমি গোসল করে নিলাম। গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর দুপুরে খাওয়া দাওয়া করি। দুপুরে খাবার খেয়ে উঠেছে এর মধ্যে সাহেব এসে পড়ে। আসার পথে আমাদের জন্য ঝাল ঝাল বোম্বাই মরিচ দেওয়া পাঁচ মিশালি আচার নিয়ে আসলো।
আচারে এতটা পরিমাণ ঝাল হয়েছে যে আমি খেয়ে হাঁ করে রয়েছি, তারপর ভাবিকে জিজ্ঞেস করি খেতে কি রকম হয়েছে সে বলছে খুব মজা খুব ভালো হয়েছে আজকের আচারটা। যাইহোক সাহেব আসার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলে তারপর তাকে দুপুরে খাবার খেতে দিলাম।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে সবাই শোয়ে বিশ্রাম নিলাম। সাহেব কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়ে পড়েছে আমি আর ঘুমাই নি ফোন ব্যবহার করছিলাম। এরপর আসরের আজান দিলো শোয়া থেকে উঠে গেলাম । আর সাহেবকেও ঘুম থেকে উঠিয়ে দিও মার্কেটে যাবে সেজন্য আমাকে আগেই বলেছিল আসরের আজান দিলে উঠিয়ে দেবে। এরপর মেয়ে আবার বিকেলের দিকে অনেক ক্ষুদা পেয়েছে, দুপুরে কোনো কিছুই খাইনি। তাই দুটি চিতই পিঠা কিনে এনে দিলাম সেখান থেকে এক পিস খেলো।
এরপর সন্ধ্যা হয়ে গেছে মাগরিবের আজান দেওয়ার পর নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে ভাবির সাথে কথা বলি, কথা বলার মধ্যে ভাবি বলে উঠে কিছু একটা খেতে ইচ্ছা করছে কি খেতে পারি। তারপর ভাবতে ভাবতে ফুচকার কথা ঝাল মুড়ির কথা বলি। এই কথা বলে নিচে চলে যাই, তারপর ফুচকা, ঝাল মুড়ি, পপন, ছেলে মেয়ের জন্য চিপস, ললিপপ, আরো চকোবিন, নিয়ে আসি।
এরপর বাসায় এসে মজা করে সব খাবার গুলো খেলাম। খাবার গুলো খেয়ে এরপরে পোস্ট লিখতে বসি। এইতো এভাবেই করে আজকের সন্ধ্যার মুহূর্তটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
আমরা যতটা সহজ মনে করি সংসারের কাজ কিন্তু ততটাও সহজ নয় কেননা ঠিক টাইম মত রান্না করা এটা অনেক বড় একটা দায়িত্ব সকালে নাস্তা করার পরেই দুপুরে রান্না করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হয় সেটা আপনার প্রায় প্রত্যেকটা আর্টিকেলে আমি দেখছি।
যাইহোক আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার একটি দিনের কার্যক্রম খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।