Better Life With Steem || The Diary game || 23/10/2024
হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার লেখা শুরু করি।
ইদানিং ধরে রাত্রেবেলা ঠিক সময় মতন ঘুম হয় না তাই সকালবেলা উঠতে একটু কষ্ট হয়। দুই তিন দিন ধরে মেয়ে নিজে থেকে ঘুম থেকে উঠে মাদ্রাসায় যায়। ওর বাবা সকাল সকাল ছয়টার সময় মেয়েকে মাদ্রাসায় দিয়ে আসে তারপর আবার ঘুমিয়ে যায়।
এরপর আমি সজাগ হওয়ার পর বিছানায় আর না থেকে উঠে যায় হাত মুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ বসে রান্না ঘরে দিকে যাই। আজকে প্রতিদিনের মতো রুটি বানাই এবং তার সাথে কালকে রান্না ডাল ভুনা ছিল ওগুলো দিয়ে রুটি খেলাম, আর ছেলেকে একটা চিনি পরোটা বানিয়ে দেই।
সাহেব সকালের নাস্তা করে সকাল ১১ টার দিকে দোকানে গেল। সাহেবের শরীরের অবস্থা একটু ভালো না,রাত সাড়ে বারোটা এসে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকে। প্রতিদিন রাতে মাথায় সরিষার তেল দিয়ে মেসেজ করে দিতে হয় তারপর ঘুমিয়ে যায়।
সাহেব বাসা থেকে বের হওয়ার পর তারপর আমি রান্না করার আয়োজনে চলে যাই। কালকে রাতে ভেবে রেখেছিলাম আজকে দুপুরে কি কি রান্না করবো, আজকে রান্না করেছি গরুর মাংস, সবজি, আর মোচা, তবে এসব রান্না গুলো করতে বেশি একটা সময় লাগেনি তাড়াতাড়ি রান্নাটা বসিয়ে দিয়েছিলাম তাই। রান্নাবান্না হয়ে গেলে আমি আর বসে থাকেনি গোসল করে আসি। গোসল শেষে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর দুপুরে খাবার খেলাম।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে দুপুর আড়োই টার ভিতরে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। আজকে দুপুরে তাড়াতাড়ি খেয়ে শুয়েছি আবার বিকেল বেলা তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠেছি। মেয়েকে বিকেলবেলা ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম সে হাতমুখ ধুয়ে মাদ্রাসায় চলে গেল। আর আমি এদিকে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে আসরের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলাম তারপর ওই বসে থাকাতেই একটা পেয়ারা খেলাম। পেয়ারা খেতে খেতে এদিকে মাগরিবের আজান দিল। আসরের নামাজ পড়ে উঠতে না উঠতেই মাগরিবে নামাজের সময় হয়ে যায়। এরপর মাগরিবের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে তারপর রান্না ঘরে গিয়ে ছেলের জন্য দুধ গরম করি, ছেলেকে এক ফিটার দুধ দিয়ে এদিকে আমি আজকের জন্য পোস্ট লিখতে শুরু করি। পোস্ট লেখার ভিতরে মা ফোন দিল তারপর মার সাথে কথা বলি। এরপর আবার মার সাথে কথা বলা শেষ করতে না করতেই আমার বড় আপু ফোন দিল ওর সাথেও কথা বলি। তাদের সাথে কথা বলা শেষ করে তারপর বাকি পোস্ট লেখাটা শেষ করি। আজকের মতো এখানেই থাক সামনে আর লেখায় এগাবো না আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি (আল্লাহ হাফেজ)
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
আমরা যারা নিয়োজিত গৃহিণী, তাদের প্রত্যেকদিনের একটা রুটিন থাকে তাহলে রান্না করা, আর একটা কথা তো না বললেই নয় ঘুম থেকে ওঠার পরে আর বিছানার কাছে যাওয়া চলে না।।। কারণ সকালের নাস্তা বানানো বাচ্চাদের দিকে খেয়াল করা ,, এসব করতে করতেই দিনের অর্ধেকটা চলে যায়। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের দিনে কার্যক্রম পরে সেই সাথে আপনার রান্না গুলো কিন্তু বেশ লবণীয় ছিল দেখতে।।।