Better Life With Steem || The Diary game || 22/10/2024
হ্যালো বন্ধুরা, কয়েক দিন পর আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি এখন ভালো আছি। বেশি একটা এতদিন ভালো ছিলাম না খুব জ্বর এবং সর্দি কাশি ছিলো। এখনো পুরোপুরি কমেনি এবং আমার সাথে ছেলেরও একই অবস্থা হয়েছে।
আমার নানী মারা যাওয়ার পর থেকে দিনগুলো একদমই ভালো যাচ্ছে না খুবই খারাপ ভাবে সময় গুলো পার করছি। আমার মামা অল্প বয়সে ক্যান্সারে মারা গেছে ছোট ছোট দুইটা বাচ্চা রেখে আমার নানী ছিল আমার মায়ের ছায়া হয়ে। তবে আমার নানীর বেশি একটা বয়স ছিল না, রাতে খাওয়া দাওয়া করে শুয়েছে তার দশ মিনিট পরে বুক জ্বালা পোড়া করেছে এই অবস্থায় মারা গেছে। তবে এটাও ঠিক মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে কোন বয়স লাগে না।
আমার মনকে কোনভাবেই বোঝাতে পারছি না আমার নানি এত তাড়াতাড়ি মারা যাবে। আর এই মুহূর্তে এখন বেশি মন খারাপ লাগার কারণ হলো নানিকে শেষ দেখা টুকু দেখতে পারেনি। সাহেব যেতে বলছিল তাও আমাদের একা সে যেতে পারবেনা আর এদিকেও কিছু সমস্যার কারণে, তার উপরে আবার তার দুই বন্ধু আমাদের বাসায় আসবে। আমার নানি যেদিন রাত্রে মারা যায় সেই দিন রাতে তার দুই বন্ধু টিকিট কেটেছে আমাদের বাসায় আসবে। এই সবকিছু মিলিয়ে আর যাওয়া হয়নি। তবে সাহেব আমাকে বাড়ি যাওয়ার জন্য অনেক রিকোয়েস্ট করেছিল। আমি তার দিক থেকে বিবেচনা করে আর যায়নি।
যাই হোক ভাবতে ভাবতে আজকে ডাইরি গেমে অনেক কিছুই লিখলাম এবার আসি আমার নিত্যদিনের কাজকর্ম গুলোতে। মন মেজাজ একটুও ভালো লাগছে না তারপরও সকাল সকাল উঠে নিজে নৃত্যদিনের কাজগুলো ঠিক সময় মতন করতেই হয়। ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি। বসে থাকাতেই পুরানো ভাবনা চিন্তায় পড়ে যাই।
এরপর ফোনে দিকে তাকিয়ে দেখি সকাল আটটা বেজেছে তারপর আর বসে না থেকে সরাসরি রান্না ঘরে চলে যাই আর রুটি বানানো শুরু করি। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে কতগুলো রুটি বানাতে হয় একা এই কাজগুলো করতে আমার অনেক কষ্ট হয়ে যায়।
এরপর রুটি বানানো হয়ে গেলে মেয়েকে রুটি আর ডিম ভাজি মাদ্রাসায় দিয়ে আসি তারপর বাসায় এসে আমি সকালের নাস্তা খেলাম। আমার খাওয়া শেষ হতে না হতেই সাহেব ঘুম থেকে উঠে গেল মুখ হাত ধুয়ে আসলো তারপর তাকেও খেতে দিলাম। সকালে নাস্তা খাওয়া দাওয়া করে এগারোটার বাসার থেকে বের হলো । সে যাওয়ার পর তারপর আমি রান্নার কাজে হাত লাগাই ।
আজকে রান্নাটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেল, তবে প্রতিদিনই আমার রান্নাবান্না সাড়ে বারোটার ভিতরেই হয়ে যায়। আজকে আরো আগে রান্না শেষ হয়েছে। আজকে দুপুরে রান্না করেছি। ডাল ভুনা, ভেন্ডি ভাজি, আলু ভর্তা, চিংড়ি মাছ ভুনা, এসব গুলো রান্নাবান্না শেষ করে তারপর গোসল করে আসি। আমার যত শরীর খারাপ থাকুক বা সর্দি কাশি হোক আমি একদিনও গোসল মিস করি না কেমন জানি গোসল না করে থাকতেই পারছি না। তার ভিতরে তো প্রচুর গরম পড়ছে।
গোসল শেষ করে জোহরের নামাজ পড়ে তারপর দুপুরের খাওয়া দাওয়া করি। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া তিনটা সময় শেষ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। এরপর আবার সেই ঘুম থেকে সাড়ে পাঁচটার সময় উঠি, উঠেই শুনি মাগরিবের আজান দিচ্ছে। প্রায় এক ঘণ্টার মতো দিনের বেলাটা ছোট হয়ে গেছে।
আমি ঘুম থেকে ওঠার আগে মেয়ে আগেই উঠে গেল, এরপর মেয়ে রুটি কলা খেয়ে মাদ্রাসায় চলে গেল। আর এদিকে ছেলে এখনো ঘুমিয়ে আছে। ঘুমাতে গেলে খুব যুদ্ধ করে ঘুম পাড়াতে হয় আবার ঘুম থেকে উঠাতে গেল যুদ্ধ করে উঠাতে হয়। এরপর আর কি করবো মাগরিবের নামাজ পড়ে হাতে একটা পেয়ারা নিয়ে আজকের পোস্টটা লিখে ফেলি। সামনে আর লেখায় এগাবো না আজকের মতন লেখা এখানেই বিদায় নিচ্ছি (আল্লাহ হাফেজ)
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)
Congratulations on bringing a quality content. You have earned a positive vote from team 2, and it is delivered by @ashkhan.
Many Blessings...🙏🏻
আপনার নানী মারা গেছেন। তাই আপনার দিনগুলো ভালো যাচ্ছে না ।কাছের কেউ এভাবে ছেড়ে চলে গেলে। সত্যি একদম ভালো লাগেনা। কিন্তু আমাদের সংসার তো আর থেমে থাকে না ।সংসার করতে গেলে তো আমাদের প্রতিদিনের রান্নাবান্না তো করতেই হবে। সারাদিন অনেক কিছুই রান্না করেছেন। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম তুলে দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টটি মন ছুঁয়ে গেল। নানীর চলে যাওয়ার শূন্যতা এবং তার সাথে থাকা স্মৃতিগুলো আপনার অনুভূতিতে যেনো গভীরভাবে খোদাই হয়ে আছে। এমন প্রিয়জনকে হারানো সত্যিই কষ্টকর। আপনার প্রতিদিনের সংগ্রাম এবং সমস্ত দায়িত্ব পালন দেখে অনুপ্রাণিত হলাম। আল্লাহ আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে শক্তি দিন এবং নানীকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন।