Better Life With Steem || The Diary game || 21/09/2024
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার সকাল হতে সন্ধ্যা অব্দি কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করব। চলুন বেশি দেরি না করে আজকে ডাইরি গেম লেখা শুরু করি।।
আজকের সকালে চোখের ঘুম ভাঙ্গে ৫:৪৪ মিনিটে, ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই দেখি চারিদিকে কি সুন্দর ঠান্ডা হাওয়া এতটা ঠান্ডা হাওয়া বইছে যে গায়ের প্রত্যেকটা লোম দাঁড়িয়ে গেছে। ওই ঠান্ডা বাতাসে কম্বল মুরো দিয়ে শুয়ে থাকতে ভীষণ ভালো লাগে। কিন্তু আমি এই ভালো লাগাটা অনুভব করতে পারিনি।
তারাতাড়ি ঘুম থেকে উঠে গেলাম হাত মুখ ধুয়ে রান্না ঘরে যাই তারপর ভাইয়ার জন্য সকালের নাস্তা ওদুপুরের খাওয়ার জন্য রান্না করে দি। ভাবি ঘুম থেকে উঠতে উঠতে আমার সকালের কাজ গুলো করা হয়ে যায়। তাও ভাবি নিজে থেকে উঠেনি আমি উঠাবার পর উঠেছে। এরপর তাকে বললাম ভাইয়ার খাবার বানানো হয়ে গেছে এখন আপনি শুধু খাবার গুলো ঠান্ডা করে বক্সে ভরে দিবেন। ভাইয়ার জন্য ডিম ভাত রান্না করেছি আর আমাদের জন্য নুডুলস রান্না করলাম।
আমি সকালের রান্নাবান্না করে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি ভাবছিলাম ঘুমাবো আর ঘুমাতে পারিনি, সাহেব ঘুম থেকে উঠে যায় আর ঘুম ভাঙ্গার পর ফোন নিয়ে বসে। তাই ফোনে শব্দ পেয়ে আর ঘুমায়নি। তবে সাহেব আজকে সকালবেলা তাড়াতাড়ি উঠে, আমার একটা বড় কাজে হেল্প করে দিল। আর সেই কাজটা হলো ফ্যান মোছা, নিচে গিয়ে কাঠের চঙ্গা সিড়ি এনে তারপর ফ্যানের পাংখা গুলো ভালো করে পানি দিয়ে মুছে দিল।
যাইহোক এরপর সাহেব ফ্যানটা মুছে গোসল করে সকালের নাস্তা করে মার্কেটে বেরিয়ে পরল। সাহেব বের হওয়ার পর আমি দুপুরে রান্নার কাজে লেগে পড়ি। রান্না ঘরে গিয়ে দেখি রান্নার জন্য অনেকগুলো তরকারি আছে এবং সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই আজকে ভাবছি কোন মাছ-মাংস রান্না না করে সবজি, ডাল, ও মিষ্টি কুমড়া, এগুলোই রান্না করব। তাই যেই কথা সেই কাজ নিয়ে লেগে পড়ি।
রান্না করতে গিয়ে প্রথমে রান্না করার সব কাটাকোটার কাজ গুলো গুছিয়ে নিয়ে এরপর রান্না বসিয়ে দিই। আমার সবকিছু গোছানো হয়ে গেলে তারপর ভাবি এসে মিষ্টি কুমড়া রান্না করে। তার এই তরকারিটা রান্না করা হয়ে গেলে তারপর আমি বাকি তরকারিগুলো রান্না করি। একে একে আমার সবগুলো রান্না করা হয়ে গেলে তারপর ঘরটা মুছে ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি।
গোসল করে জোহরের নামাজ পড়ে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দিই তারপর আমি খেলাম। ভাবিকে আর দুপুরে খাবার খেতে ডাকিনি সে ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে আর ভাইয়া সাড়ে তিনটার সময় আসলে তখনই খাবে। আজকে সকাল থেকেই আবহাওয়া টা অনেক ঠান্ডা ছিল যার কারণে খুবই ভালো লেগেছে আজকে। খাওয়া দাওয়া এবং রান্না করে খুব শান্তি পেয়েছি।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে মা ছেলে ঘুমিয়ে পড়ি। প্রায় এক ঘণ্টার মতো ঘুমালাম তারপরেই সাহেব আসলো সাড়ে পাঁচটায়। আর হ্যাঁ আসার সময় আমার প্রিয় পাঁচ মিশালি আচার খুব কড়া ঝাল দিয়ে নিয়ে আসলো। আমি এতটা পরিমাণ ঝাল খাই তার চেয়ে ঝাল খায় ভাবি। খুব মজা করে বিকেলে আচারগুলো খেলাম।
আচার খেতে খেতে মাগরিবের আজান দিল আর এদিকে সাহেব খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে গেল। এরপর আমি তাকে ঘুম থেকে উঠাইনি সারাদিন কাজ নিয়ে খুব পরিশ্রম করে তাই। তাকে আর না উঠিয়ে আমি মাগরিবের নামাজ পড়ি।
নামাজ পড়ে উঠে কিছুক্ষণ বসলাম তারপরে সাহেব উঠে যায়। তারপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করি কি খাবে এবং সাহেব বল আদা দিয়ে খুব কড়া করে এক কাপ চা বানিয়ে দাও। সে এই কথা বলাতে আমি সঙ্গে সঙ্গে রান্নাঘরে গিয়ে তার জন্য চা এবং বিস্কুট নিয়ে আসি। সাহেব চা বিস্কুট খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল তারপর সে বেরিয়ে পললো আর হ্যাঁ যাওয়ার আগে আবার আইসক্রিম কিনে দিয়ে গেল। এরপরই আইসক্রিম খেতে খেতে আজকের পোস্ট লেখাটা শুরু করি। এইতো এভাবেই করে আজকের সকাল থেকে সন্ধ্যার মুহূর্তম সময় গুলো পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
প্রচন্ড গরমের মধ্যে সকাল বেলার আবহাওয়া টা একটু ঠান্ডা থাকে, যখন পরিবেশ ঠান্ডা থাকে তখন চোখের মধ্যে ঘুম বেশি থাকে, এই প্রচন্ড গরমে সকালের পরিবেশটাই মনে হয় একটু ভালো থাকে, সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এখানে ঘুম থেকে উঠেই রোদের দেখা পাই আর অনেক গরমের আভাস পায়।। আপনি ঘুম থেকে উঠেই ঠান্ডার একটা আবহাওয়া পেয়েছেন শুনে ভালই লাগলো।। সকালে উঠে প্রতিদিনের মতো নাস্তা করা থেকে শুরু করে রান্নাবান্না সবকিছু করেছেন।। এই গরমে আইসক্রিম খাওয়ার মধ্যে অন্যরকম এক ভালো লাগা থেকে।।
আপনার লেখাটি পড়ে বুঝতে পারলাম আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। আপনার খিচুড়ি রান্নার বিষয়টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনার আইসক্রিমটাও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরা মাঝে মাঝে ইচ্ছা করলেও ঘুমাতে পারিনা কেননা শব্দের কারণে আপনি যেমন ঘুমাতে পারেন নাই ঠিক তেমনি আমিও ঘুমাতে পারি না কেউ শব্দ করলে।
আপনার একটি দিনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপনা করেছেন এর জন্য জানাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।