Better Life With Steem || The Diary game || 20/09/2024

in Incredible India2 months ago
1000149332.jpg

প্রিয় বন্ধুরা আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হলাম আজকের ডাইরি গেম নিয়ে। আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আশা করি সবাই আমার পোস্টটি ধৈর্য সহকারে সবাই পরবেন। চলুন এবার শুরু করি আজকের পোস্ট।।


এই কতটা দিন ধরে এতটা গরম পড়ছে যে, না রান্না করে শান্তি পাই, না খেয়ে , না ঘুমিয়ে। এত গরমে রান্না করে উঠে ফ্যানের নিচে বসলেও কোন কাজ হয় না। কালকে রাতে মনে হচ্ছে গরমের কারণে শরীরটা মমের মত গলে যাবে তাই রাত দুইটার সময় ঘুম থেকে উঠে গোসল করি তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ি।

1000149324.jpg

আজকে শুক্রবার থাকার কারণে ঘুম থেকে লেট করে ওঠেছি সকালে তাড়াতাড়ি নাস্তা বানানো কোন ঝামেলা ছিল না তাই। আসলে ঘুম থেকে তো লেট করে উঠেছি কিন্তু প্রতিদিনের মতো ছয়টার সময় চোখে ঘুম ভেঙে গেছে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ছয়টা পাঁচ বেড়েছে তারপর ঘুমিয়ে পড়ি। আবার সেই ঘুম থেকে সাড়ে আটটা উঠি। তবে আজকে কোন নাস্তা বানাইনি রুটি কলা খেয়েছিলাম।

ভেবেছিলাম আজকে রান্নাটা তাড়াতাড়ি করবো সবকিছুই তরকারি এবং মাছ আছে কিন্তু তা আর হলো না। ভাবি বলছে আজকে শুক্রবার আজকে মাংস খাব আর মাংস বাসায় ছিল না তার জন্য সাহেব এবং ভাইয়া তারা দুজনে বাজারে গেল মাংস এবং কিছু মুডি বাজার নিয়ে আসলো। তারা ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে বাজারে যেতে এবং আসতে প্রায় অনেকটাই লেট হয়ে গেল তাই রান্না করতে এই কারণে আজকে অনেক দেরি হয়েছে।

1000149322.jpg

অবশেষে তারা বাজার থেকে দেশি মুরগি নিয়ে আসলো তারপর সবকিছু কেটে ধুয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম। মাংসটা ভাবি রান্না করলো এদিকে আমি শাক এবং কিছু সবজি কেটে নিলাম। আমার সবজি কাটা এবং ধোয়া সবকিছু পরিষ্কার করা হয়ে গেলে তারপর আস্তে আস্তে করে বাকি রান্না গুলো সব কিছু করে নিলাম।

আমার রান্না করা এবং সবকিছু গুছানো হয়ে গেলে তারপর ছেলেকে গোসল করিয়ে এরপর আমি গোসল করি। আমি এদিকে গোসল করে এসে দেখি ভাবি ও ভাইয়া তার ছেলেকে নিয়ে ঘুম পড়েছে। এতক্ষণে আমি নামাজ পড়ে ছেলেকে ভাত খাইয়ে দিলাম। ছেলের ভাত খাওয়া হয়ে গেলে এরপর আমি আর মেয়ে খেয়ে নিলাম তাদেরকে ডাকার আর সাহস পাইনি তারা কিছুক্ষণ আগে ঘুমিয়েছে।

1000149326.jpg

আমরা দুপুরে খাবার খেয়ে উঠেছি তার কিছুক্ষণ পরে ভাবি উঠলো তারপর তারাও দুপুরে খাবার খেয়ে নিল। এই প্রায় কয়েকদিন ধরে সাহেব দুপুরে খাবার খেতে আসে না, একদম সকাল দশটা বের হয় আর রাত সাড়ে বারোটায় বাসায় আসে। আর দুপুরেরও খাবার নাকি বাহিরে খায় না, আর সময় পায়না কাজের চাপে। আর ৫-১০ মিনিট সময় পেলে চা-বিস্কুট এবং কেক খেয়ে থাকে।

যাইহোক এরপর আমরা দুপুরে খাবার খেয়ে মা ছেলে ঘুমিয়ে পড়ি। গরমের কারণে সহজে ঘুম আসছেও না ফ্যান চলছে মনে হয় গরম হাওয়া বের হচ্ছে। গরমের কারণে বেশিক্ষণ ঘুমিয়ে থাকতে পারিনি উঠে গেলাম। উঠে হাত মুখ ধুয়ে ওযু করে আসরের নামাজ পড়ি।

1000149329.jpg

নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকি আর বাসার ভিতরে হাটাহাটি করি। এরপরই সন্ধ্যা হল নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি। তারপরে দেখি ভাইয়া বাহির থেকে এসেছে এবং হাতে করে পানিপুরি ফুচকা নিয়ে আসছে তারপর সন্ধ্যা বেলা ওগুলো খেলাম। ফুচকা গুলো অনেক জাল ছিল খেয়ে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে বসে মুখটা ঠান্ডা করে তারপর পোস্ট লিখতে বসি।

পোস্ট লিখতে গিয়ে কয়েক লাইন লিখেছি তার ভিতরে কারেন্টের কি যেন একটা বাস্টো হয়ে কারেন্টটা চলে গেল। তখন আর গরমের কথা কি বলবো বাচ্চারা গরমের কারণে কান্না করছে চারদিকে অন্ধকার বাহিরে কোন বাতাসের নাম নেই। ছেলের শরীর বারবার মুছে দিচ্ছি আর পাউটার দিচ্ছি পাউটারও এমনকি ঘামে ভিজে যাচ্ছে। এরপর অনেকক্ষণ পর কারেন্ট আসলো কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপরে বাকি পোস্ট লেখাটা কমপ্লিট করে। এশার নামাজ পড়ে ছেলেকে রাতে খাবার খাইয়ে দেই। এরপরে ছেলের খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে ওকে শুয়ে দি ওর পাশে আমি শুয়ে থাকি। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]

Thank You So Mrch For Reading My Blog

Sort:  
 2 months ago 

গরমের সময় চলে গেছে গিয়ে রান্না করা অনেক বেশি কষ্টকর, প্রচন্ড গরম তার পর চুলার আগুনের তাপ, এরকম পরিস্থিতিতে রান্না করতে অনেক কষ্ট হয়, কষ্ট হলেও রান্না করতেই হয়, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দিকে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

Loading...
 2 months ago 

আমার মনে হয় সব জায়গায় এই গরমের প্রভাব পড়েছে আসলে অনেক বেশি গরম পড়ে ছোট বাচ্চা ও বয়স্ক মানুষের জন্য অনেক বেশি কষ্টকর হয়ে গেছে। সকালে নাস্তাটা বেশ লোভনীয় লাগছে, আর হ্যাঁ কিছু কিছু ফুচকা অনেক ঝাল হয়ে থাকে।।

 2 months ago 

আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। তবে আপনার লেখা পরে বুঝতে পারলাম আপনি খাবার খুবই পছন্দ করেন। আপনার সারাদিনের কার্যক্রম আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.19
JST 0.034
BTC 91499.04
ETH 3111.94
USDT 1.00
SBD 2.89