Better Life With Steem || The Diary game || 19/09/2024
পোস্ট লিখতে বসলাম আটটা পাঁচ মিনিটে, কি করবো ভালই লাগছে না সারাদিন বাসায় শুয়ে বসে কাটানোর মুহূর্তটা অনেক খারাপ লাগছে। মনে মনে ভাবছি আল্লাহ যদি পাখির মত আমাকে দুটা ডানা দিত তাহলে আমি মায়ের কাছ থেকে ঘুরে আসতে পারতাম। কি করবো জানিনা আর এখন এই মুহূর্তে বাড়িতে যাওয়া অসম্ভব কোন কারণেই যেতে দিবে না। তাছাড়া আমি যদি সারাদিন সাহেবের কানের সামনে ঘ্যান ঘ্যান ক্যান ক্যান করি তা হলেও এই মুহূর্তে যেতে দিবে না।
আমার তো মা বাবা ভাই বোন আছে সেই কারনে বাড়িতে যেতে মন ছুটে কিন্তু সাহেবের তো কেউ নেই সে একা মা বাবা ভাই বোন কোন কিছুই নেই একজন এতিম মানুষ। তার ছেলেমেয়ে এবং আমি ছাড়া আপন বলতে কেউ নেই। সে তার পাশের আপনজনের কাছ থেকে অনেক দুঃখ আর ধোঁকাই পেয়েছে। তার দুঃখের কথা বলতে গেলে এই পোস্টে লেখা ফুরাবেনা তারপরও রয়ে যাবে। যাক বেশি আর বকবক না করে এবার আসি আমার মূল কথায়।
সকাল সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে অজু করে নামাজ পড়ি তারপর সকালে নাস্তার জন্য নুডুলস রান্না করি। আমি ওঠার কিছুক্ষণ পরে ভাবি উঠেছে। তার আর কিছু করতে হয়নি আমি সবকিছু আগেভাগে করে নিয়েছি। সকালের নাস্তা বানিয়ে ভাইয়াকে বক্সে করে দিয়ে শুয়ে পড়ি আর খাইনি। এতো সকালে কিছুই খেতে ইচ্ছা করছে না তাছাড়াও আজকে সকাল থেকে শরীরটা খুব খারাপ লাগছে। নিজে খারাপ লাগার কথাগুলো কাউকে না জানিয়ে নিত্যদিনের কাজগুলো ঠিক মতন করি।
সকালের মোটামুটি কাজগুলো করে তারপর আবার সকাল সাড়ে ছয়টায় ঘুমিয়ে পড়ি। এরপর আবার সেই ঘুম থেকে সাড়ে নয়টায় উঠে মেয়েকে মাদ্রাসার খাবার দিয়ে আসি। মাদ্রাসা থেকে এসে দেখি ছেলে ঘুম থেকে উঠে গেছে তারপর ওকে খাইয়ে দিলাম। ছেলেকে খাওয়ানোর মধ্যেও সাহেবও ঘুম থেকে উঠে গেল তারপর হাতমুখ ধুয়ে বাজারে গেল।
সাহেবের বাজার করতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি আধাঘন্টার মধ্যেই এসে পড়েছে। বাহিরে এতটা পরিমাণ গরম আর রোদ আমরা বাসায় বসে সহ্য করতে পারছি না। সাহেব বাজার করে আসার পর দেখা যাচ্ছে সে গরমে গলে যাচ্ছে। এরপর ১০ মিনিটের মত ফ্যানের বাতাসে ঠান্ডা হয় তারপর গোসল করে সকালে নাস্তা করে মার্কেটের দিকে আবার চলে গেল।
এরপর আমি আর কি করবো রান্না করার জন্য সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না বসিয়ে দিলাম। তার ভাবি আমাকে কাজে হেল্প করবে তাও পারছেনা তার ছেলে তাকে চোখের আড়াল করতেই পারছে না তাহলেই শুধু কান্না করছে। তারপরও সে আমাকে কাজে হেল্প করতে চেয়েছিল আমি বারণ করেছি। বলছি ছেলেকে কান্না করিয়ে এদিকে আসতে হবে না আপনি বাবুকে সামলান।
আজকে দুপুরে রান্না করলাম চিংড়ি মাছ দিয়ে লাউ, করলা ভাজি , আর বড় সীম ভর্তা, এই ভর্তাটা আমার কাছে অনেক ভালই লাগে। অনেকদিন বাদে এই ভর্তাটা বানিয়েছিলাম। রান্নাবান্নার কাজটা তাড়াতাড়ি শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি।
গোসল করে নামাজ পড়ে তারপর এক মুহূর্ত বসে থাকিনি সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাওয়াতে বসেছি। এরপর ছেলে ভাত খাওয়া শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে আমি খেয়ে নিলাম। ভাত খেয়ে উঠেছি, এরপরই কারেন্টা লুকোচুরি খেলতে লাগলো কোন ভাবেই গরমের জন্য শুয়প থাকতে পারিনি বাসার ভিতরে হাঁটাহাঁটি করছি। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট পর কারেন্ট আসলো তারপর ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি।
এরপরে ঘুম থেকে ওঠার কিছুক্ষন পর আসরের নামাজ পড়ি। তারপর আবার শুয়ে থাকি আজকে শরীরটা সকাল থেকেই খুব খারাপ লাগছিল। শুয়ে বসে থাকতে থাকতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। অজু করে মাগরিবের নামাজ পড়ে ছেলেকে রুটি খাইয়ে দিয়ে সস দিয়ে, ছেলের খাওয়া শেষ হলে তারপর আমি কিছুক্ষণ শুয়ে থাকি। কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পর আটটার সময় ওঠে আপনাদের জন্য পোস্ট লিখতে বসি। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে একটু বাহিরে ঘুরতে যেতে হয়, তাহলে সারাদিন বাড়িতে থাকার যে একাকীত্ব সেটা দূর হয়ে যায়, বাইরে ঘুরে আসলে মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়, তখন কাজের প্রতি আরো আগ্রহ বাড়ে, আপনার সারাদিনে কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মন ভালো করার জন্য মাঝে মাঝে কোথাও ঘুরতে যেতে হয় সব সময় ঘরের ভেতর থাকতে বিভর লাগে।। ভাইকে বলে কথাও ঘুরতে যান আশা করি ভালো লাগবে।।
আপনার দিনের বর্ণনা পড়ে খুব ভালো লাগলো! প্রতিদিনের ছোট ছোট কাজগুলো এত যত্ন আর দায়িত্বের সাথে করছেন, সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেওয়া এবং সকলের জন্য সবকিছু আগেভাগে গুছিয়ে রাখার যে চেষ্টা, তা দেখে বোঝা যায় আপনি কতটা পরিশ্রমী ও যত্নশীল। তবে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়াও কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, আপনি শিগগিরই সুস্থ বোধ করবেন এবং দিনগুলো আরও সহজ হবে। আল্লাহ আপনাকে ধৈর্য ও শক্তি দিন।