Better Life With Steem || The Diary game || 17/09/2024
প্রিয় বন্ধুরা,আমার পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম, প্রতিদিনের তুলনায় আজকের দিনটা আমার খুব ভালোভাবেই কেটেছে আলহামদুলিল্লাহ। আর ভালো থাকার কারণ হলো এতদিন ছিলাম একা সারাদিন বাসার ভিতরে ফার্মের মতো একা একা শুয়ে বসে থাকতে হতো। আর এখন একজন সঙ্গী পেয়েছি ভাইয়ের বউ এবং তার ছেলে এসেছে। আর এখান থেকে আমরা সবাই একসাথেই থাকবো।।
ভাইয়া এবং তার বউ ছেলে তারা কালকে রাত দেড়টার সময় এসেছে । তারা আসার পর খাওয়া-দাওয়া করে শুতে শুতে প্রায় তিনটার মতন বেজে গেল। তারপরও আলহামদুলিল্লাহ সকালবেলা ঠিকঠাক মতো উঠতে পেরেছি।
ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে, বাসার সবার জন্য সকালের নাস্তা হিসেবে নুডুলস রান্না করি। নুডুলস রান্না করা শেষ হলে এরপর একে একে করে সবাইকে খেতে দি। সবার খাওয়া শেষ হলে এবং ছেলেকে খাইয়ে দিয়ে এরপরে আমি খেলাম। খাওয়া দাওয়া করে সব কিছু গুছিয়ে রেখে তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম।
বিশ্রাম নেওয়ার ফাঁকে ফাঁকে ভাবির সাথে কিছুক্ষণ গল্প করি। আমাদের সাথে কোনদিন দেখা এবং কথা হয়নি, আজকে প্রথম দেখা আজকে প্রথম পরিচয় হয়েছে। যাক ভাবির সাথে অনেকক্ষণ কথা বলে খুব ভালোই লাগলো আমার সাথে ভালই ভাব হয়েছে এবং খুব ভাবেই ভালো লেগেছে। কথা বলা শেষ করে এরপর রান্না গেলাম।
আজকে দুপুরের রান্না বসাতে একটু লেট হয়েছে কারণ সাহেব এগারোটার সময় বাজার এনে দিয়েছে তারপরে আস্তে আস্তে রান্না করার সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। আমি রান্না করতে গেলাম এরপর ভাবি এসে বল আজকে আমি রান্না করবো তাও মুরগির মাংস তারপর আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে আপনার মন মতন এবং নিজের মতন রান্না করেন। রান্নাবান্না সবকিছু শেষ করে আমরা গোসল করে আসি। আমরা গোসল করে আগে ছেলে মেয়েদেরকে খাইয়ে দিয়ে তারপর আমরা খেলাম।
দুপুরে খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম আর ভাবতেছিলাম একটু ঘুমাবো কালকে রাতে ঠিক মতন ঘুমাতে পারিনি ঘুমাতে অনেকটাই লেট হয়ে গিয়েছিল। ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়লাম ছেলে কোনোভাবেই ঘুমাবে না ছোট একটা বাবু এসেছে সারাক্ষণ ওর সাথে খেলা করছে। আর বারবার ওদের রুমে যাচ্ছে। আমি জোর জব ওই রুম থেকে নিয়ে আসার পরও আবার বারবার যাচ্ছে। আসলে আমার ছেলে ওদেরকে পেয়ে এতটা খুশি যে সারাক্ষণ বাবুকে ছাড়া কিছুই বোঝেনা। আর ওর সব খেলনা গুলো বাবুর সামনে এনে দিচ্ছে আর দুজনের হাসিমুখে খেলছে।
এরপর বসে বসে কতক্ষণ ওদের দুই ভাইয়ের খেলা দেখলাম। এরপর ভাইয়া চলে আসে তার কিছুক্ষণ পরেই আবার সাহেব আসে। সাহেব আসার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে গোসল করে তারপর দুপুরে খাবার খেলো। আর সাহেব যে সময় দুপুরে খাবার খেয়েছে তখন বাজে বিকাল ৫ঃ৪০ মিনিট। খেয়ে পাঁচ মিনিট মতো বিশ্রাম নিয়ে মার্কেটে আবার চলে গেল।
এরপর কিছুক্ষণ বাদেই মাগরিবের আজান দিল তারপর নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে ভাইয়াকে চা বিস্কুট খেতে দেই তার সঙ্গে ছেলেও খেলো ভাবি আর আমি খাইনি। আমরা দুজনে চালতার আচার খেলাম ভাবির মার হাতের বানানো।আর আচারটা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল আর ভালোলাগার কারন হলো প্রচুর জাল দিয়েছিল আচারে। মুখ দিয়ে খাচ্ছি আর চোখ দিয়ে ধর ধর করে পানি ঝরছে। বসে দুজনে আচার খেলাম পেঁপে খেলাম আর কিছুক্ষণ গল্প করলাম। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনটা খুব সুন্দর ভাবে পার করি। আজকের মত লেখায় এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
বেশি রাতে ঘুমালে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে যায়, কিন্তু আপনি ঠিকঠাকমতো সকালে ঘুম থেকে উঠেছেন, এটা দাঁড়া বুঝা যায় আপনি দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেন না, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। তবে আপনার দুপুরবেলার মাংস রান্না আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। যদি আপনি একটু দেরিতে রান্না করেছেন। আপনার লেখাটি পড়ে বুঝতে পারেন আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে সুন্দর লেখা উপস্থাপন করার জন্য।
যাক অবশেষে সঙ্গী পেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আসলেই বাসায় একা একা কার ভালো লাগে যদি কেউ না থাকে।। আর সেই সাথে আপনার ছেলেও একটা সঙ্গী পেয়ে গেল খেলা করার।।
পরিবারের সাথে সময় কাটানোর অনুভূতি সত্যিই বিশেষ। ভাইয়ের বউ এবং তার ছেলের আগমনে যে আপনারা বেশ খুশি হয়েছেন তা বেশ বুঝা যাচ্ছে। রান্নাবান্না, গল্পগুজব এবং ছেলের খেলা দেখার মুহূর্তগুলো আনন্দদায়ক ছিল। আশা করি, ভবিষ্যতে আরও এমন সুন্দর মুহূর্তে কাটাতে পারবেন। আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!