Better Life With Steem || The Diary game || 16/09/2024
প্রিয় বন্ধুরা,আমার পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম, আশা করি সকলে আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুবই ভালো আছি। বন্ধুরা আমি আবারো আপনাদের মাজে ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি, চলন এবার শুরু করি আজকের সারাদিনের কার্যক্রম গুলো।।
আজকে ঘুম থেকে উঠে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখলাম কোন দিকে মেঘ নেই খুব সুন্দর ঝলমল করছে আকাশটা যদিও ছিটা ছিটা বৃষ্টি ছিল তারপরও আলহামদুলিল্লাহ প্রতিদিনের চেয়ে আজকের আবহাওয়াটা খুব সুন্দর । আজকের দিনটা খুব সুন্দর ভাবেই কেটেছে কোন ঝামেলা এবং তাড়াহুড়া ছিল না। ঘুম থেকে উঠে হাত-মুখ ধুয়ে কিছুক্ষণ বসে এক গ্লাস পানি খেলাম।
পানি গ্লাস খেয়ে ভাবতেছিলাম যদিও আজকে তেমন একটা বৃষ্টি নেই তারপরও খিচুড়ি খাওয়ার কথা মনে পড়লো তাই পাতলা খিচুড়ি রান্না করার কথা ভাবি। যেই ভাবনা সেই কাজ নিয়ে রান্না ঘরে চলে গেলাম তারপর পাতলা খিচুড়ি রান্না করা শুরু করে দিলাম। রান্না করা শেষ হলে তারপর একটু খেয়ে টেস্ট করে দেখলাম মাশাল্লাহ খেতে খুব ভালো হয়েছে।
আমার খিচুড়ি রান্না হয়ে গেলে এরপর মেয়েকে দিয়ে আসি। মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসেই আমি খেতে বসি ভীষণ ক্ষুধা লাগছিল আর সাহেবের আশায় থাকলে তাহলে সাড়ে দশটা পর্যন্ত ক্ষুধা নিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। তাই কারো দিকে না তাকিয়ে নিজের পেটটাই আগে ভরে নিলাম। সম্ভবত আমি কোন সময় আগে খাই না সবাইকে দিয়ে রেখে তারপর যতটুকু থাকে ওইটুকুই খাই।
যাক আমি সকালে নাস্তা করে এরপর ছেলে এবং সাহেবের কাছে গেলাম। যখন দশটা বাজে তখনো তারা বাপ ছেলে ঘুমাচ্ছে। প্রথমে আমি ছেলেকে ঘুম থেকে উঠালাম তারপর ওর বাবাকে আমি আর ছেলের জোর করে ঘুম থেকে উঠালাম। তারপরও জোর করে উঠাতে উঠাতে এগারোটার মতন বেজে গেল। সাহেবকে উঠিয়ে তারপর আমি রান্না ঘরে গেলাম। রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে ভাতটা চুলায় বসিয়ে দিয়ে তারপর রান্না করার সবজিগুলো কেটে নিলাম। ভাবতেছিলাম তাকে না উঠিয়ে সময় নষ্ট না করে আমি এই সময়টা রান্নাঘরে দিলে তাহলে আমার রান্নার কাজ অনেকটা এগিয়ে যেত।
রান্নাবান্নার কাজটা সাড়ে বারটার ভিতরেই সম্পূর্ণ হয়ে গেল। এদিকে রান্না করার ফাঁকে সাহেবকে খেতে দিলাম সে খেয়ে বেরিয়ে পড়ল। রান্নাবান্নার কাজ সম্পূর্ণ করে সমস্ত রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে তারপর মুছে নিলাম।
ঘর মুছতে মুছতে একটা জিনিস খেয়াল করলাম। অনেকদিন আগে আমি একটা বোতল কেটে তার ভিতর কিছু পানি দিয়ে পুঁইশাকের ডাটা রাখছিলাম আলহামদুলিল্লাহ কয়েকদিন পরেই খুব সুন্দর কচি কচি পাতা বের হয়েছে। আসলে এইরকম ভাবে বোতল কেটে যে পানিতে গাছ হয় এই ভাবনাটা আমার মাথায় একটুও ছিল না। কথায় আছে না ছোটদের কাছ থেকে বড়দের অনেক কিছু শেখার আছে। আর আমি এটা শিখেছি আমার মেয়ের কাছ থেকে হয়তো ও নিজেও ইউটিউবে থেকে জেনেছে।
তারপরও এরকম ভাবে বোতলের ভিতর পানি রেখে পুঁইশাকের ডাটা রাখছিল ওর গুলো আর হয়নি অনেকদিন পর নষ্ট হয়ে গেছে। এই পানি তিন চার দিন পর পর পানি পাল্টিয়ে আবার নতুন পানি দিতে হয় । মেয়ে প্রথমে বুঝতে পারিনি আট নয় দিন হয়ে গেছে তারপরও গাছগুলো এমনিতেই নষ্ট এবং পচে গেছে। আর হ্যাঁ, এরকম ভাবে পানিতে গাছ লাগানো যায় এটা আমি আমাদের প্ল্যাটফর্মে দুজনার পোস্টে দেখেছিলাম। কিন্তু তাদের পোস্টে দেখার আগেই আমি মেয়ের কাছ থেকেই জেনেছি।
যাইহোক পুইশাকে ডাটা নিয়ে অনেকক্ষণই বকবক করলাম। এরপর আসি আমার কাজে সব রুম গুলো মুছে এরপর ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। গোসল করার আসার কিছুক্ষণ পরেই জোহরের নামাজ পড়ি। নামাজ কালাম পরে ছেলেকে দুপুরে খাবার খাইয়ে দেই তারপর আমি খেলাম। আজকে দুপুরে খাবার খেতেই ঘুমে একদম চোখটা লেগে গেল জানিনা কিসের জন্য আজকে এত তাড়াতাড়ি ঘুম আসলো তারপর তাড়াতাড়ি খাওয়া দাওয়া করে ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়ি।
এরপর ঘুম থেকে উঠি পাঁচটা চল্লিশে তাও আমার খালামণির ফোন পেয়ে তার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে তারপর আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে উঠেছি এর মাঝে আবার আমার আপু ফোন দেয় তারপর তার সাথেও কিছুক্ষণ কথা বলি।
আপুর সাথে কথা বলতে বলতে প্রায় মাগরিবের সময় যায় তারপর ফোন রেখে ওযু করে নামাজ পড়ি। নামাজ শেষ করে প্রায় ১০ মিনিটের মত দোয়া-দুরুদ পড়ি। এরপর নামাজের পার্টি থেকে উঠে ছেলেকে সন্ধার কেক খেতে দি,ছেলে এদিকে কেক খেতে লাগলো এরপর আমি আপনাদের জন্য পোস্ট লিখতে বসেছি। এইতো এভাবেই করে আজকের দিনটা খুব সুন্দর ভাবে পার করি। আজকের মত লেখায় এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
খিচুরি খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি, বৃষ্টির দিনে খিচুড়ি খেতে অনেক ভালো লাগে, আমরা অনেক সময় বোতলের ভিতরে বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে থাকি, সেগুলোর যত্ন নিলে সেগুলো বেঁচে ওঠে, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দেখে খুব ভালো লাগলো, অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আশা করি আপনার দিনটা অনেক সুন্দর কেটেছে। আপনি যে লোভনীয় খাবার গুলো দেখিয়েছেন এই খাবার গুলা সকলেরই খেতে ইচ্ছে করবে। আপনার সুন্দর লেখাটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।