Better Life With Steem || The Diary game || 14/10/2024
হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার শুরু করি।।।
সকাল ৭ টার সময় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকি। আজকে সকাল থেকেই অনেক খারাপ লাগছিল। শরীরটা তেমন একটা ভালো লাগছে না এবং চারপাশে কিছু ব্যাপার-নিয়ে খুবই খারাপ লাগছে। তাই মন এবং শরীর দুইটাই খুব বাজেভাবে ভাবে কেটে যাচ্ছে ।
বেশিক্ষণ বসে থাকলে কাজ তো আর হবে না, তাই মনের ভাবনা চিন্তা গুলো বাদ দিয়ে রান্না ঘরে চলে যাই সকালে নাস্তা বানাতে। আজকেও সকালে নাস্তার জন্য খিচুড়ি রান্না করি। রুটি বানাতে ইচ্ছা করছিল না একা একা রুটি বানাতে গেলে অনেকক্ষণ সময় লাগে তাই শর্টকাটে খিচুড়ি রান্না করি।
খিচুড়ি রান্না করে রুমের দিকে এসে বসলাম একটু ফ্যানের নিচে বসেছি তার কিছুক্ষণ পরে কারেন্ট চলে গেল। কারেন্ট যাওয়ার পর সামনের দরজাটা খুলে দিলাম তারপর দেখি অন্যান্য বাসায় কারেন্ট আছে শুধু আমাদের বাসায় নাই। তারপর বুঝতে পারি কারেন্টের কার্ডের টাকা শেষ হয়ে গেছে তাই কারেন্ট নেই। এরপর কারেন্টের কথা সাহেব কে বলি সে ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে। কারেন্টের কার্ডে টাকা ঢুকালো তারপর কারেন্ট আসলো।
এরপর সকালের খাওয়া দাওয়া করি। সকালের খাওয়া দাওয়া করে উঠতে না উঠতে আবার রান্নাবান্না কাজের যেতে হয়েছে। প্রথমে পাতিলে চাল ধুয়ে বসিয়ে দিয়ে তারপর আস্তে আস্তে করে রান্না করার জন্য সবজিগুলো কাটতে বসি। এদিকে রান্না করার সব কিছু গুছানো হয়ে গেলে তারপর আমি মাছগুলো ভেজে নিলাম। এরপর আস্তে আস্তে করে একে একে সব রান্না গুলো করে করে নিলাম। আজকে রান্না করেছি তেলাপিয়া মাছের সাথে তরুল, সবজি রান্না, আর ডাল।
রান্নাটা তাড়াতাড়ি হয়ে যাওয়ার কারণে গোসল করে আসি তারপর ছেলেকে ভাত খাইয়ে দি দুইটার ভিতরে ছেলের ভাত খাওয়া হয়ে যায়। তারপর আমি খেলাম খেয়েদেয়ে ছেলেকে নিয়ে শুয়ে পড়ি। ছেলেকে আজকে কোনভাবেই ঘুম করাতে পারছি না আজকে ছেলের জেদ ধরেছে ও আজকে বিকাল ঘুমাবে না খেলা করবে । এর মধ্যে আবার ওর বাবা চলে আসলো এরপর তো না ঘুমানোর আরো সুযোগ পেল।
সাহেবের দুপুরে খাওয়া দাওয়া হয়ে গেলে শুয়ে থাকে এবং কিছুক্ষণ ফোন ব্যবহার করে। আবার সন্ধ্যা হওয়ার কিছুক্ষণ আগে চলে গেল। এরপর মাগরিবের আজান দিল ওযু করে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে অনেকক্ষণ সময় ধরে শুয়ে থাকি ছেলেকে এক প্যাকেট লেক্সাস বিস্কুট খাইয়ে দিই।ছেলের বিস্কুট খাওয়া হয়ে গেলে তারপর আমি তাড়াতাড়ি করে পোস্টটা লিখি। কারণ অনেকদিন পর আজকে হ্যাংআউট অনুষ্ঠান হবে হ্যাং আউটের ঠিক মতন উপস্থিত থাকার জন্য আজকের পোস্টটা তাড়াতাড়ি লিখে ফেলি। এইতো এইরকম করে আজকের সারাদিন এবং সন্ধ্যাটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|