Better Life With Steem || The Diary game || 13/12/2024
হ্যালো গায়েজ,,,
সবাইকে আসসালামু আলাইকুম,,
আশা করছি সবাই ভালো আছেন,। আমিও আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছি। বছরটা কিভাবে কেটে যাচ্ছে চোখের পলকেই এই তো সেদিন ২০২৪ সাল শুরু হল আর কয়েকদিন বাদে ২০২৫ সাল হবে। সবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া রইল প্রত্যেকটা বছর এবং প্রত্যেকটা দিন যেন সবার জন্য খুব ভালো ভাবে কেটে যায়।
আলহামদুলিল্লাহ খুব সুন্দর একটা শীতের কুয়াশার ভোরের আলো দেখতে পেলাম। তবে যত দিন যাচ্ছে শীত যেন আরও বাড়ছে। কিন্তু সবারই শীত পছন্দ সবদিক থেকেই ; কিন্তু আমি তাদের দিক থেকে একটু আলাদা,, শীত হলে মনে হয় আমার কাজের চাপটা বেশি বেড়ে যায়। বিছানার উপর একগাদা লেব কম্বল বারিশ থাকে যতই গুছিয়ে রাখি ততই দেখা যায় বেশি।
এখানে ছুয়েটার ওখানে মুজা ওটা একদম বিরক্ত লাগে আমার সব গুছিয়ে রাখতে রাখতে বিরক্ত লেগে যায়। সব জিনিস খেয়ে শান্তি পাওয়া যায় সব শাকসবজি টাটকা এবং সবকিছু খেতেও ভালো লাগে শীতের সময়।
যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেললাম। ৫ঃ৪৫ মিনিটে চোখের ঘুম ভাঙে মোরামুরি করে বিছানা থেকে উঠে গেলাম। ওযু করতে গেলাম পানিতে শর্ট করলো এত পরিমানে পানি বরফ ছিল। তারপরও ওযুটা করে নিয়ে গায়ে চাদর পেচিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করি।
নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি এরপর সাড়ে নটার সময় উঠি। আজকে আর রান্না ঘরে যাইনি, রাতেই গ্যাস শেষ হয়েছে। তারপর সকালে গ্যাসের লোককে ফোন দিলাম। এরপর সে বলল আজকে শুক্রবার কাজের চাপ একটু বেশি নিয়ে আসতে একটু লেট হবে। এরপর কি করব বাহির থেকে পরোটা ডাল এনে সকালের নাস্তাটা সেরে নিলাম।
এরপর আর কি করব বাসার টুকিটাকি কাজ করে শুয়ে থাকে ফোন ব্যবহার করি। এদিকে ভাইরাও বাজারে গেল বাজার থেকে মুরগির মাছ এবং কিছু সবজি নিয়ে আসে। এগুলো আনার পর তাড়াতাড়ি করে কেটেকুটে ধুয়ে নিলাম এরই মাঝে গ্যাসে লোক আসলো সিলিন্ডার নিয়ে। যে সময়ের সিলিন্ডার নিয়ে এসেছে প্রতিদিন ওই সময় আমার রান্না হয়ে যায় এবং গোসলের চলে যাই।
আমার একটা খারাপ অভ্যাস আছে রান্নার লেট হলে আমার কাজের মন বসে না মাথা পুরো গরম থাকে। এদিকে আবার আমার রান্নার মধে ছেলে এসে বলে আম্মু পরোটা খাব। ছেলের ওই কথা শুনে আমার আরো মাথা গরম হয়ে যায়। তারপর কিছু একটা বলে ছেলেকে পাঠিয়ে দিয়ে সে রুমে গিয়ে কাঁদতে থাকে।
অবশেষে দুইটার সময় রান্না শেষ হলো। আজকে রান্না করেছি ডাল দিয়ে মুরগি এটা একদম নতুন আইটেম আমি কোন সময় রান্না করিনি, আজকে প্রথম রান্না করেছি। তার সঙ্গে আছে টমেটো সালাত আর ধনেপাতা ভর্তা। রান্না শেষ হলে ছেলেকে গোসল করিয়ে দেই তারপর আমি গোসল করে নিলাম। গোসল করে জোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করি।
নামাজ পড়ে ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বসেছি ততক্ষণে আসরের আজাব দিয়ে দিল। ছেলেকে ভাত খাওয়ানো শেষ করে তারপর আমি আসরের নামাজ পড়ে দুপুরে খাবার খেতে বসি। খাওয়ার মধ্যেই দেখি সাহেব এসেছে তারপর তাকেও খেতে দিলাম এরপর দুজনে মিলে দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম।
খেয়ে ১০-১৫ মিনিটের মতো বিশ্রাম নিলাম এর মাঝে আবার মাগরিবের আজান দিল। নামাজ পড়ার আগে মেয়েকে মাদ্রাসা দিয়ে এসে তারপর মাগরিবের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ে বসলাম এদিকে ছেলে বলে নুডুলস খাবে। তারপর রান্নাঘরে গিয়ে নুডুলস রান্না করে বাবা ছেলেকে খেতে দিলাম । ওরা খেয়ে নিল আমি আর খেলাম না নুডুলস খেতে আমার একদম ভালো লাগেনা। তবে অনেকদিন পর খেলে তখন একটু খেতে পারি।
যাইহোক বাপ ছেলে খেতে লাগলো আমি তখন পোস্ট লিখতে শুরু করি। পোস্টটা লেখা হলে তারপর ছেলেকে কিছুক্ষণ পড়তে বসাই। পড়ানো শেষ করে তারপর দুই ভাই বোনকে রাতের খাবার খেতে দি,ওদেরকে খাইয়ে শুয়ে রেখে আমি ওদের পাশে শুয়ে থাকি। এরপর যখন সাহেব এবং ভাইয়া তারা দোকান থেকে আসে আমরা একসাথে মিলে রাতের খাবার খেয়ে যার যার মতন শুয়ে পড়লাম।
যাইহোক, আজকের মত লেখা এখানে শেষ করতে চাই,, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে ।। (আল্লাহ হাফেজ)