Better Life With Steem || The Diary game || 12/10/2024
হ্যালো বন্ধুরা, আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও খুব ভালো আছি। আশা করি আমার পোস্টটি পরে আপনাদের সকলের খুব ভালো লাগবে চলুন এবার শুরু করি।।।
আজকে সকাল থেকে এতটা ভয়ংকর ভাবে আকাশে গর্জন দিল এবং প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল মনে হচ্ছিল আজকে সারাদিন এরকমই বৃষ্টি পড়ে যাবে। প্রত্যেকটা আকাশের গর্জনীতে ছেলে ঘুম থেকে লাফিয়ে উঠে আমাকে বারবার ঝরিয়ে ধরে। অবশেষে বেশিক্ষণ বৃষ্টি হয়নি সকাল সাতটার ভিতরে বৃষ্টি এবং আকাশের গর্জন সবকিছুই থেমে গেল।
সকাল সাড়ে পাঁচটায় সজাগ হয়েছি আবার বাহিরে ঠান্ডা আবহাওয়া পেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছি এরপর সকাল দশটার সময় উঠি। ঘুম থেকে উঠে একদম পাগলের মত হয়ে গেছি এত দেরি করে কি করে উঠলাম। এখন কোন কাজটা করব সকালে নাস্তা বানাবো নাকি দুপুরে রান্না করব ভাবতেই পারছি না।
এরপর ছটফট করে রুটি বানাতে শুরু করি বানাতে আমার বেশিক্ষণ সময় লাগেনি মাত্র আধা ঘন্টা সময় লেগেছে। ভাবি দেখে বলে এত তাড়াতাড়ি আপনি কিভাবে রুটি বানানোর আর আমাকেও ডাক দিলেন না। এরপর সকালের খাওয়া দাওয়া করে সকাল 11 টা বেজে যায়।
তারপর গেলাম রান্না কাজে আজকে রান্না করার মত কোন সবজি এবং মাছ ছিল না। তারপর ভাইয়া এবং সাহেবকে বললাম তারা বাজার করে দিয়ে তারপর দোকানে গেল। আজকে দুপুরে রান্না করতে করতে অনেকটাই লেট হয়ে গেল দুপুর ১:৩০ টা বেজে গেল। রান্না কাজ হওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে গোসল করতে চলে যায়।
ওহ্যা, আর একটা কথা আমার ছেলে সম্পর্কে বলতে চাই। এটা না বললেও চলত তবু আমার ভালো লেগেছে ওর কিছু কিছু কাজ দেখে তাই আপনাদেরকে শেয়ার করি। ওট বাবার দোকানে নতুন জামা কাপড়ের কালেকশন আনলেই,ছবি এবং ভিডিও করে তার ফেসবুক পেইজে ছেড়ে দেয় এবং তার কাছ থেকে অনেক লোকজন কিনে।
সাহেব অনেকগুলো তার প্রজেক্ট ছবি তুলেছে এবং ছেলেকে সঙ্গে করে নিয়ে অনেক ভিডিও এবং ছবি তুলেছে। আমার ছেলেটা এমন ওকে ওর বাবা যেরকম দাঁড়াতে বলে যেরকম বসতে বলে যে রকম হাত উঠাতে বলে ঠিক তেমনি তেমনি ছেলেটাও সেই রকমই করে। ওর এইসব কান্ড কারখানা দেখে আমি ওপাশে বসে হাসতে থাকি আর ছবি তুলি যে এতোটুকু ছেলে ভাবের অঙ্গভঙ্গ গুলো খুব ভালো করেই বোঝে। ওর বাবাও ছবি তোলে আর হাসতে থাকে ছেলেটাকে যে রকম বলি সেরকমই করে।
আর এই ছবিগুলো কালকে রাতে তোলা। ওর বাবা কালকে রাতে তাড়াতাড়ি বাসায় এসেছি এবং ছেলেকে নিয়ে এসব কান্ড কারখানা করেছে। অনেকগুলো ছবি তোলার পর জামা প্যান্ট খুলতেই চায় না সে বলে আরো ছবি তুলবে।
যাইহোক এরপর আসি আমার কাজের কথায়, এরপর নামাজ পড়ে ছেলেকে খাওয়াতে বসি আজকে খাওয়াতে বসেছি তিনটা পাঁচ মিনিটে। আর খাওয়া শেষ হয়েছে ৩ঃ৪৫ মিনিটে, ছেলের খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে আমি খেয়ে নিলাম। আমি দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ছেলেকে নিয়ে শুতে গেলাম এর মধ্যেই সাহেব এসে যায়। আজকে আসার পরে সঙ্গে সঙ্গে হাত মুখ ধুয়ে খেতে বসেছে।
দুপুরে খাবার খেয়ে পনেরো ষোল মিনিটের মত বিশ্রাম নিল তারপর আবার তার কাজে চলে গেল। আজকে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে ছেলে মেয়ে আমি এবং আমরা কেউ ঘুমায়নি কারন আজকে রান্নাবান্না এবং খেতে খেতে অনেকটা লেট হয়ে গিয়েছিল তাই।
এরপর আসরের আযান দিলো মেয়ে মাদ্রাসায় গেল আর সঙ্গে করে ওর ভাইকে নিয়ে গেল অনেক দিন নিতে চেয়েছিল বিকেল ও ঘুমিয় তার জন্য নিতে পারে না আজকে ঘুমাইনি তাই নিল। আর ছেলেও ওর বোনের সঙ্গে যার জন্য খুব নাচানাচি করছে। তারপর রেডি করে নিচে দিয়ে আসি ওরা মাদ্রাসায় চলে যায় আমি বাসায় এসে যাই। এরপর আবার এক দেড় ঘন্টা পর নিয়ে আসি মাগরিবের আজান দেওয়ার ৫ মিনিট আগে।
মাগরিবের আজান দেওয়ার পর নামাজ পরে মোমো বানানোর কাজে লেগে পড়ি। এসব মোমো বানানোর আইডিয়া এটা আমার না ভাবির। সন্ধ্যায় এসব জামেলা আমার কাছে একদমই ভালো লাগে না ভাবি করছিল আমি তাকে কাজে সাহায্য করি।
মোমো বানাতে প্রায় অনেকটা সময় লেগে গেল, বানানো হয়ে গেলে খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর পোস্ট লিখতে বসি। আজকে পুরো সন্ধ্যাটা মোমো বানানোর কাজেই লেগে গেল আর পোস্ট লিখতে বসেছি তখন সাড়ে আটটা। এইতো এইরকম করে আজকের সারাদিন এবং সন্ধ্যাটা পার করি। আজকের মত লেখা এখানেই সমাপ্ত করছি [আল্লাহ হাফেজ]
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
THE QUEST TEAM has supported your post. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
আপনাদের ঐদিকে বৃষ্টি হয়েছে কিন্তু আমাদের এই দিকে বৃষ্টি হবার কথা ছিল। যাইহোক পূজো আমাদের খুব ভালোভাবে কেটে গিয়েছে, বৃষ্টি হয়নি। আপনার সারাদিনের কাজকর্ম গুলি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার ছেলের কর্মকাণ্ড এবং বাবার সঙ্গে মজা করার মুহূর্তগুলোও বেশ সুন্দর! পরিবারে এই ধরনের সম্পর্ক ও আনন্দ অনেক মূল্যবান। পরিবারের সবাই মিলে রান্না করাটা সত্যিই দারুণ! আশা করি, আপনার পরবর্তী দিনগুলি আরও মজার হবে। আল্লাহ হাফেজ!