Better Life With Steem || The Diary game || 12/09/2024
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি সকলে আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুবই ভালো আছি। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আমার গতকালকে ডাইরি গেম নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে কালকের দিনটা এমন বাজে ভাবে কেটেছে নিজের অসুস্থতায় জন্য আপনাদের সাথে কালকে ডাইরি গেম শেয়ার করতে পারিনি তাই আজ চলে এসেছি।
গতকালকে সকাল থেকে একটু একটু মাথাব্যথা ছিল কিন্তু তবুও মাথাব্যথাকে কেয়ার না করে নিজে সংসারে কাজটুকু সব চালিয়ে গেলাম। ঘুম ভাঙ্গার পরে আর বিছানায় শুয়ে থাকে নি উঠে গেলাম। উঠে হাত মুখ ধুয়ে সকালের নাস্তা বানালাম।
ভাইয়া যেহেতু অফিসে নাস্তা নিবে না তাই তাড়াতাড়ি করেন নুডুলস রান্না করে ভাইকে খেতে দিলাম সে খেয়ে চলে গেল। ভাইয়া যাওয়ার পর দরজার লক করে করে শুয়ে পড়ি । সাতটার সময় শুয়েছি আর নয় টার সময় উঠেছি, ২ ঘণ্টার মতো ঘুমালাম। ঘুম থেকে উঠে আমি নাস্তা করলাম এরপর মেয়ের জন্য টিফিন নিয়ে গেলাম। আমি যখন ঘুম থেকে উঠেছি তখনও বাপ ছেলে ঘুম থেকে ওঠেনি । মেয়ের মাদ্রাসা থেকে আসার পর তাদেরকে উঠালাম।
ওঠার পর হাতমুখ ধুয়ে নিল তারপর তাদেরকে খেতে দিলাম। তারা দুজনে খেতে লাগল এদিকে আমি রান্না ঘর সামলাতে গেলাম। রান্না ঘরে গিয়ে প্রথমে ভাতটা বসিয়ে দিয়ে তারপর তরকারি কাটতে থাকি। এরই মাঝে ছেলের ডাক পড়লো ওকে খাইয়ে দিতে তারপর সবকিছু দেখে আবার ছেলের কাছে গেলাম। এরপর আস্তে আস্তে করে খাইয়ে দিলাম খেত প্রায় 40 মিনিটের মত সময় লেগে গেল। প্রত্যেকদিনই আমার কাজের ফাঁকে ছেলেকে এতক্ষণ সময় নিয়ে খাওয়াতে হয়।
অবশেষে ওকে খাওয়াতে পেরে তারপর আবার আমি রান্না ঘরের দিকে গেলাম। এদিকে আবার সাহেব সকালে নাস্তা করে বাজারে গেল কিছু কাঁচাবাজার আনলো আর মাছ নিয়ে আসলো। বাজার রেখে আবার তাড়াতাড়ি করে মার্কেটে দিকে চলে গেল। যাইহোক আমি যা যা রান্না করবো তার সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে রান্না করা শুরু করে দিলাম। গতকালকে রান্না করেছিলাম পেঁপে , মাছ দিয়ে পটল, আর বেগুন ভর্তা, এগুলো সব রান্না করা হয়ে গেলে আমি গোসল করে আসি।
গোসল করে আসার পরে শুরু হলো মাথা ব্যাথা যন্ত্রণা, কোন রকম করে ছেলেকে দুপুরে ভাত খাইয়ে দিলাম। তাও পুরোপুরি সব ভাত খাইয়ে না দিনে অল্প কিছু খাইয়ে দিলাম নিজের মাথা ব্যথা যন্ত্রণার কারণে। আসলে আমি এখন পর্যন্ত কোনদিন বুঝতে পারিনি মাথা ব্যথার যন্ত্রণাটা কি রকম লাগে। আগে হয়ছে মোটামুটি যা সহ্য করতে পেরেছি।
যাইহোক আমি দুপুরে না খাওয়ার মত অল্প কয়টা ভাত খেলাম যা নিয়েছি তা সব ভাই খাইনি কয়েক লোকমা খেয়েছি। এরপর ছেলে মেয়েকে নিয়ে শুয়ে পড়েছি ভাবছি হয়তো ঘুমালে কিছুটা কমবে। মাথাব্যথা তো কবে দূরের কথা এর মধ্যে দু-তিনবার ঘুম থেকে উঠতে হয়েছে। আর ওঠার কারণে আরো বেশি খারাপ লাগছিল।
এরপর আস্তে আস্তে করে বিকালটা পার করি মাগরিবের আজান দিল। মাগরিবের আজান দেওয়ার পর নামাজ পড়তেও পারিনি আরো ভীষণ ভাবে ব্যাথা হচ্ছিল এমনটা হয়েছে যে আমি একা একা বসে কান্না করছি। এদিকে ছেলে ক্ষুধায় কান্না করছে তারপর ওকে জিলাপি খেতে দিয়ে আমি এই পাশের রুমে এসে শুয়ে পড়ি।
কিছুক্ষণ বাদে মেয়ে এসে পড়ে তারপর আমি ওদেরকে বলি আমার পাশে কেউ আসবে না। লাইট অফ করে হয়তো ওই বাসায় যাও না হয়তো ওই রুমে শুয়ে থাক। তারপর একটা নাপা এক্সট্রা ঔষধ খেয়ে গামছা দিয়ে মাথাটা বেঁধে কিছুক্ষণ ঘুমাই, এরপর আস্তে আস্তে করে অল্প কিছু কমে। নিজেকে নিজে একটু সুস্থ বোধ করে তারপর ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে রাতের খাবার খাইয়ে দিই আর মেয়েও খেয়ে নিল। এরপর সাড়ে বারোটা সাহেব আসলো সে একটার মধ্যে খাওয়া দাওয়া করে শুয়ে পড়লো এরপর আমরা শুয়ে গেলাম। যাইহোক এরকম করে গতকালের দিনটা পার করি সবার সুস্থতা কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি(( আল্লাহ হাফেজ))
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 6/8) Get profit votes with @tipU :)
সংসারের কাজের জন্য অনেক সময় অসুস্থকে প্রাধান্য না দিয়ে সংসারে কাজকেই প্রাধান্য দেওয়ায় একজন সংসারিক মানুষের দায়িত্ব।। আমি আমার মাকেও দেখি অনেক সময় অসুস্থ থাকলো বাড়ির কাজে অবহেলা করে না।। সকালে নাস্তা তৈরি করেছেন এছাড়া দুপুরে রান্না বান্না করে সুন্দর একটা দিন পার করেছেন।।
সংসার অনেকটা বাধ্যতামূলক কাজের মত।
আপনার খারাপ লাগলেও অনেক সময় দায়িত্ববোধ থেকে কাজগুলো করতে হয়।
অবশ্যই সংসারে সাহায্য করার মত কেউ থাকলে কাজ অনেক সহজ হয় এবং পরিবারে বড় কোন মেয়ে থাকলে মায়ের কাজে অনেক বেশি সাহায্য করতে পারে।
সংসারের কাজের কাছে মাঝেমধ্যে অসুস্থতাকেও হার মানতে হয়।
আমি আশা করি এখন আপনি সুস্থ আছেন।
মেয়েরা সংসারের জন্য অনেক কাজ করে, নিজের সুস্থ হলেও অসুস্থ থাকে পিছনে ফেলে সাংসারিক কাজ করতে হয়, এটা অনেকটা বাধ্যতামূলক, আপনার সারাদিনের কার্যক্রম দিকে খুব ভালো লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।