Better Life With Steem || The Diary game || 11/1/2025
হ্যালো গাইজ,,,
সবাইকে আমার পক্ষ থেকে আসসালামু আলাইকুম,,
![]() |
---|
বন্ধুরা, আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমিও মোটামুটি ভালো আছি। প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করি আবার সুন্দর একটি নতুন ভোরের আলো দেখতে পেলাম। প্রতিদিন এর মত দেরি না করে আবারো আপনাদের মাঝে চলে এসেছি আজকে ডাইরি গেম নিয়ে।
এ কেমন জ্বর এসেছে আমার সারাদিন যেমন -তেমন ভালো থাকি। আর সন্ধ্যা হলেই সারাদিনের পরিশ্রম এবং ক্লান্তি গুলো ঘাড়ে এসে পড়ে। এইতো যেমন ধরুন এখন সন্ধ্যা সাতটার সময় পোস্ট লিখতে বসেছি। একধারে মাথা ব্যাথা করছে আর একধারে জ্বরে শরীরটা ঘিরে ধরেছে।
সাহেব আমাকে কালকে বলেছিল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবে আমি বারণ করেছি। সামান্য জ্বর নাপা ঔষধ বা প্যারাসিটামল খেলেই কমে যাবে। এই দুদিন বলে এই কথা বলে চালিয়ে দিয়েছি কিন্তু আজকে সন্ধ্যার মানছে না। তাই বলে তুমি ডাক্তারের কাছে না যাও আমি তোমার শরীরের অবস্থার কথা বলে ওষুধ নিয়ে আসি। তারপরে সন্ধ্যায় ডাক্তারের কাছে চলে গেল।
![]() |
---|
আজকের সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে পারিনি, সকাল দশটার সময় উঠেছি, চোখের ঘুম ভেঙ্গেছে আরো আগে কিন্তু বিছানা ছেড়ে উঠতে পারছিনা এত ক্লান্ত লাগছে। এরপর উঠে হাত মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। আর এদিকে ছেলে আমাকে বিছানায় না পেয়ে সেও ঘুম থেকে উঠে গেল। এরপর ছেলেকে বিস্কুট খাইয়ে দিলাম।
তবে আজকে আর আমি সকালবেলা রান্নাঘরে যাইনি, আর কোন পরিশ্রমের নাস্তা ও বানাইনি শর্টকাটে চানাচুর মুড়ি মেখে খেয়ে নাপা ওষুধ খেয়ে নিলাম। ওষুধটা খেয়ে রুমের ভিতরে বসে থাকি জানালা মেলে দিলাম তারপর রোদ এসে পড়ল সেই রোদের আলো শরীরে নিচ্ছি। যখন রোদটা শরীর এসে পড়লো কতটা না ভালো লাগছিল।
যখন দেখি 11:30 টা বেজে গেল আর বসে থাকতে পারছি, না আর এদিকে চিন্তা রান্নাও করতে হবে। তারপর রান্নাঘরে গিয়ে সবকিছু এতটা আস্তে আস্তে কাজ করছি যে আমার শরীরেও টের পাচ্ছে না কি কাজ করছি।
![]() |
---|
রান্নার কাজগুলো খুব আস্তে আস্তে করে শেষ করি। এরপরে ঘরটা ঝাড়ু দিয়ে ছেলেকে গোসল করিয়ে দি,আর আমি হাত পা ধুয়ে মাথায় পানি দিয়ে জামা কাপড় চেঞ্জ করে ফ্রেশ হয়ে আসি। এরপর ছেলেকে দুপুরের খাবার খাওয়ানো হয়ে গেলে আমাদের ভাত বেড়ে নিলাম। তারপর সাহেবের ফোনে একটা কল আসে কল পেয়ে বাসা থেকে বের হলো আমি আর বসে থাকেনি আমি দুপুরে খাবার খেয়ে নিলাম।
আমি দুপুরে খাবার খেয়ে রুমে গিয়ে শুয়ে থাকি। তারপর দেখি সাহেব কিছুক্ষণ পর আসলো এবং হাতে করে একটা বিড়ালের ছানা নিয়ে আসে। তবে বিড়ালটা আমাদের দেশি বিড়াল না এটার নাম সাহেব আমাকে বলেছিল মনে নাই তা আপনাদের বলতে পারলাম না। জেনে অন্য পোস্টে আপনাদের জানিয়ে দেবো বিড়াল ছানাটা কোন দেশি তবে আপনারা যদি জেনে থাকেন,কমেন্টে জানিয়ে দেবেন।
![]() |
---|
বিড়াল ছানাটা পেয়ে আমার ছেলে এতটা মহা খুশি যে, সারাদিন তো বাসায় একা থাকে কোন খেলার সঙ্গী নেই। তাই কতক্ষণ বিড়ালটাকে কোলে নিচ্ছে মাথায় তুলছে আবার কি ওর সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে। একটু সবার ভিতর বিড়াল ছানাটা আমার ছেলেকে খুব চিনে ফেলেছে। ও যেখানে গিয়ে বসে বিড়াল ছানাটা ঠিক সেখানে গিয়ে অর ঘা ঘেসে বসে। ছেলের আনন্দেতে আমরা তিনজনে একটা ফটো তুলে নিলাম।
ছেলে আবার বলে উঠে বসে আম্মু আমাকে নিয়ে মিনির সঙ্গে একটা ছবি তোলা আর বিড়াল ছানাটা বাসায় নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ওর নাম রেখেছে মিনি। তারপর কি সুন্দর করে মাথা নিচু করে ছবির একটা পোজ দিল। আর লিখতে পারছি না, শরীরে খুব খারাপ লাগছে। লেখা শেষ হলে পোস্টটা ছেরে খাতা কম্বল গায়ে দিয়ে শুয়ে পড়বো।
ঠান্ডার সময় জ্বর আসলে আরো বেশি খারাপ লাগে এমনিতেই সারাদিনের কার্যক্রম করতে করতে আমাদের শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে তার উপরে যদি জ্বর হয় তাহলে তার কোন কথাই নেই তাইতো হয়তোবা আপনার সকালে ঘুম থেকে উঠতে অনেক বেশি দেরি হয়েছে তার পরেও সংসারের কাজগুলো সুন্দরভাবেই আপনি গুছিয়ে নিয়েছেন আসলে আমার জানা নেই বিড়াল ছাড়া এই কোন দেশের তবে এটা হয়তোবা বিদেশী বিড়াল দেখতে এমনটাই মনে হচ্ছে ধন্যবাদ আপনাকে একটা দিনের কার্যক্রম শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।