𝐁𝐞𝐭𝐭𝐞𝐫 𝐋𝐢𝐟𝐞 𝐖𝐢𝐭𝐡 𝐒𝐭𝐞𝐞𝐦 || 𝐓𝐡𝐞 𝐃𝐢𝐚𝐫𝐲 𝐠𝐚𝐦𝐞 || 𝟏𝟏/𝟏𝟏/𝟐𝟎𝟐𝟒
হ্যালো বন্ধুরা!
আবারো আপনাদের মাঝে ফিরে আসলাম। আশা করছি, আল্লাহর রহমতে সকলে খুব ভালো আছেন। আলহামদুল, আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছি। আজ আমি আমার নতুন পোস্টে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাই। আশা করি, আমার পোস্টটি পড়ে আপনারা সকলেই খুব ভালো লাগবে।
সকাল শুরু।
আজকের সকালটা শুরু হয় ৬:১৪ মিনিটে। আমি সজাগ হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে উঠিয়ে দিলাম। আজকে ঘুম থেকে উঠতে একটু লেট হয়ে গেল, কারণ রাত তিনটার সময় ঘুমিয়েছি। সকালে চোখের ঘুম ভাঙার পরও ভালোভাবে তাকাতে পারছিলাম না। মেয়েকে উঠিয়ে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়ি।
সকাল ছয়টা থেকে ঘুমিয়ে থাকার পর আবার সকাল সাড়ে আটটায় উঠি। উঠে কিছুক্ষণ বসে হাতমুখ ধুয়ে আসি, তারপর এক গ্লাস পানি খেলাম। রান্নাঘরের দিকে চলে যাই। তবে আজকে সকালে আমাদের জন্য কোন নাস্তার আয়োজন করিনি। প্রতিদিন ভাত দুই বেলা রান্না করি।কালকের রাতের ভাত কেউ খায়নি, তাই আজকে সেই ভাত তরকারি এবং ডিম ভেজে খেয়ে নিলাম।
আমি মনে করি, প্রতিদিন নাস্তার চেয়ে ভাত খাবারটা অনেক ভালো। নাস্তা খেলে পেটে বেশিক্ষণ থাকে না, কিন্তু ভাত খেয়ে কাজ করলে শরীরটা ভালো এবং শান্ত লাগে।
তবে এটা আমি আমার দিক থেকে বলেছি। বাসায় যদি বাচ্চারা না থাকতো তাহলে প্রতিদিন এরকম নাস্তা আমি তৈরি করতাম না বেশিরভাগই ভাত খেয়ে সকালটা চালিয়ে নিতাম। আজকে তো বড়রা সকালবেলা ভাত খেয়েছি কিন্তু ঠিক ছোটদের জন্য সকালে নাস্তা বানাতে হয়েছে। ওদের জন্য পাস্তা রান্না করেছি।
দুপুরের রান্না।
আমার পাস্তা রান্না হয়ে গেলে ছেলেকে একটা প্লেটে দিয়ে মেয়ে মাদ্রাসায় চলে যাই। মেয়ের মাদ্রাসা থেকে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে দুপুরের রান্নার আয়োজন করি। আজকে দুপুরে রান্না করেছি ডাল ভুনা, মাছ ভুনা, আর তার সাথে রয়েছে আলু ভর্তা।
রান্না শেষ হওয়ার আগে ছেলেকে গোসল করিয়ে দিই। সব রুমগুলো ঝাড়ু দিয়ে পানি দিয়ে মুছে ফেলি। রুমগুলো মোছা হয়ে গেলো, এদিকে আমার তরকারি রান্না হয়ে যায়। তারপর ঠিকঠাক মতন উঠিয়ে রেখে আমি গোসল করে আসি।
দুপুরের খাবার।
গোসল করে এসে জোহরের নামাজ পড়ি। এরপর ছেলেকে দুপুরের খাবার খাওয়াতে বসি। তবে আজকে ছেলেকে ভাত খাওয়াতে বেশি সময় লাগেনি, মাত্র আধা ঘণ্টায় খাওয়া শেষ হয়। এরপর আমি খেয়ে নিলাম, তখন বাজে বিকাল তিনটা। খাওয়া শেষ হলে ছেলেকে ঘুম পাড়াতে নিয়ে যাই, কারণ আজকে আমি ঘুমাবো না; আজকে সাপ্তাহিক তালিমে যেতে হবে।
অন্যরকম ভাবে আজকের বিকালটা কাটলো
ছেলেকে ঘুম পাড়াতে আমার আধা ঘণ্টা সময় লেগে যায়, তারপর সাড়ে তিনটার দিকে তালিমে যাই। ৪০ মিনিটের মতো তালিমের বক্তব্য শুনি, কিন্তু আমি লেট করে গিয়েছিলাম, তাই বেশি কিছু শুনতে পারিনি। আসরের আজান দিলে বাসায় এসে আসরের নামাজ পড়ি। নামাজ পড়তে দাঁড়িয়েছি, তখন দরজায় নক হচ্ছে। দুইবার দরজার নক করার শব্দ পেলাম।
তখন আমি নামাজ ছেড়ে উঠিনি আর এদিকে না উঠে পারলাম না। ভাবিরা দরজা আটকে ঘুমাচ্ছে তাই নামাজ ছেড়ে দরজা খুলতে বাধ্য হলাম। আর দরজা খুলে দেখি সাহেব এসেছে।
শুভ সন্ধ্যা।
তার জন্য টেবিলের ভাত তরকারি বেড়ে রেখে আমি আসরের নামাজ সম্পূর্ণ পড়ি। নামাজ পড়ে কিছুক্ষণ শুয়ে মোবাইল ব্যবহার করছিলাম। আধাঘণ্টা পরে মাগরিবের আজান দিল। নামাজ পড়ে বসে রইলাম। ছেলেকে কয়েকটি বিস্কিট খেতে দিলাম, সঙ্গে আমিও কয়েকটি খেলাম।যাক সামনে আর লেখা এগাবো না প্রতিদিনের মতন সন্ধ্যায় এবং রাতটা একেবারেই পার করি।
যাইহোক, এরকম করে আমার আজকের দিনটা আমি পার করি। আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত করতে চাই। (আল্লাহ হাফেজ)