আজকে সংসারের কাজ থেকে একটু বিরত থাকলাম।।
প্রতিদিনের চেয়ে আজকের দিনটা আমার একটু অন্যরকম ভাবে কেটেছে সেটাই আজ আমি আপনাদের আমার পোস্টের মাধ্যমে শেয়ার করব। আজকের দিনটা কেমন জানি আমার খুব দ্রুতভাবেই কেটে গেল। আজকের সপ্তাহে সেই দিন শুক্রবার ছিল তাই সবারই বিরতির দিন। সবাই বাসা ছিল, সবাই বলতো মেয়ের মাদ্রাসা ছিল না ভাইয়ার স্কুল ছিল না সাহেবও আজকে দোকানে যাবে না।
তাই প্রতিদিনের মতোই আজকেও ছটফট করে সকালের নাস্তার জন্য রুটি আর ডিম করলাম। এরপর একে একে করে সবাই ঘুম থেকে উঠল তারপর সবাই ডাইনিং টেবিলে বসে সকালে নাস্তা করি। সপ্তাহের শেষ দিন সকালে সবাই একসাথে নাস্তা করতে পারি আর এরকম নাস্তা করতে খুব ভালোই লাগে। আসলে এরকম প্রতিদিন একসাথে নাস্তা করাটা হয়ে ওঠেনা, যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে কেউ আগে খায়, কেউ পরে খায়, কেউ আবার যার যার রুমে বসে খায়।
যাইহোক সকাল নাস্তা করার পর সবকিছু গুছিয়ে রাখি, তবে আজকে কোন রান্নার তারা ছিল না আজকে দুপুরে সাহেবের বন্ধুর বাসায় দাওয়াত ছিল। মানে সাহেবের বন্ধুর মেয়ে হয়েছে তার আকিকা দিল আজকে। সকালের নাস্তা করে সবকিছু গুছিয়ে রাখতে প্রায় সকালে ১১ টা বেজে যায়। সাহেব আর ভাইয়া তারা বলল আমরা বাহিরে যাই, কিছুক্ষণ পর এসে দেখি তোমরা গা গোসল করে একদম পরিপাটি হয়েছো।
তাদের এই কথা শোনার পর আমরা একে একে করে গোসল করে আসি। গোসল করে এসে আমরা জামা কাপড় পরে বসে রইলাম আর তাদের আসার কোন নাম গন্ধ নাই অবশেষে আসলো দুপুরে দেড়টা দুইটার সময় । বাসায় ঢুকে কিছুক্ষণ ফ্যানের নিচে শরীরটা ঠান্ডা করলো তারপর আমরা বেরিয়ে পড়লাম।
যেতে বেশিক্ষণ সময় লাগেনি তারপর বাসায় ঢুকে ভাবি এবং আন্টির সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি, বাবু সঙ্গে কিছুক্ষণ সময় কাটাই ও ছবি তুলি এরপর খাওয়ার স্থানে চলে গেলাম। প্রথমে আমি এবং ভাবি আমরা এক টেবিলে বসলাম তারপর সাহেবের সব বন্ধুদের বউরা আমাদের টেবিলেই বসল। সবাই একসাথে বসে পর খুবই ভালো লাগলো এবং তাদের সাথে পরিচয় হয়ে আরো ভালো লাগল।
এরপর আস্তে আস্তে করে খেতে লাগলাম আর খেতে কি পারি, তাদের সব বন্ধুরা আমাদের টেবিলের পাশে ছিল আর পাশে বসে এক এক জনের সাথে একেক জন হাসি তামাশা করছে। তাই কোন রকম করে একপিস রোস্ট আর অল্প কয়টা পোলাও ভাত খেয়ে উঠে গেলাম।
তবে খাওয়া দাওয়া শেষে কোন বিশ্রাম নিতে পারিনি খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে বাসায় চলে আসি। তাড়াতাড়ি বাসায় আসার কারণ হলো, ভাইয়ের মা সে আমাদের বাসার সামনে এসে দাঁড়িয়ে রইলো, আমাদের বাসায় না পেয়ে তারপর ফোন করলে। এরপর তার ফোন পাওয়ার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে বাসায় চলে আসি। এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারপর আবার রাতে খাওয়ার জন্য ভাত এবং চিংড়ি মাছ ভুনা রান্না করি। রান্নাবান্না শেষ হলে এরপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নি আর আজকের পোস্টটা লিখতে থাকি।
যাইহোক এরকম করে আজকের দিনটা আমি পার করি, আজকের মতো আমার লেখা এখানেই সমাপ্ত কারতে চাই ( আল্লাহ হাফেজ)
Thank You So Mrch For Reading My Blog |
---|
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই খুব সুন্দর একটা পোষ্ট শেয়ার করার জন্য, আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার পোস্টটি পড়ে,, মাঝেমধ্যে যদি এরকম সংসারের কাছ থেকে বিরত থাকা যায় তাহলে কিন্তু ভীষণ ভালোই লাগে।।।
সেই সাথে আমি বলব আপনার প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ভীষণ সুন্দর হয়েছে।। ধন্যবাদ।
আসলে সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবার সবাই ছুটি পায় এবং এই দিনে নিজের পরিবারের সাথে সবাই কম বেশি সময় কাটাই এবং এটা ঠিক বাকি দিন গুলো নিজেদের মতো করে সময় অনুযায়ী সবাই চলে যায় এক সাথে খাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায় যাইহোক এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো সবাই এক সাথে নাস্তা করেছেন।
এবং আরো জানতে পারলাম আপনার সাহেবের বন্ধুর মেয়ে হয়েছে তাদের বাসায় একটি অনুষ্ঠান ছিলো বলে সেখানে আপনারা সবাই গিয়েছেন এবং সেখানে গিয়ে কিছুটা ভালো সময় পার করেছেন মাঝেমধ্যে এমন ভালো সময় কাটানো আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং সেখানে গিয়ে আনন্দ করেছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো।
মাসে ৩০ দিন সংসারের কাজ করতে করতে অনেকটাই বিরক্তি লাগে কেননা প্রতিটি মানুষেরই তো একটু বিশ্রামের দরকার হয় যদি মাঝেমধ্য সংসারের কাছ থেকে একটু বিরত নেওয়া যায় তাহলে ভালই লাগে।
চিংড়ি মাছের কোরমা বেশ লবণীয় হয়েছে দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং সেগুলো আমাদের কাছে উপস্থাপনা করার জন্য ভালো থাকবেন।