দূর্গা ও জগদ্ধাত্রী কি একি দেবী
সকল সদস্যদের জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
গতকাল ছিল দূর্গা নবমী। এই তিথি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ কারন এই দিনে জগদ্ধাত্রী পূজা হয়। দূর্গা পূজার ঠিক একমাস পরে কার্তিক মাসের শুক্লা পক্ষের নবমীতে জগদ্ধাত্রী পূজা হয়। এই পূজার নিয়ম কানুন দূর্গা পূজার মতন। এই পূজার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী পূজা একদিনে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। তাই এই পূজার সময় কোন অবকাশ পাওয়া যায় না।
জগদ্ধাত্রী আসলে দূর্গার আরেক রূপ। ইনি জগতকে ধারন করেন। দূর্গা হলেন সৃষ্টি ও প্রলয়ের দেবী। জগদ্ধাত্রী হলেন জগতকে রক্ষা করেন। তৃনয়নী দূর্গা দশভুজা সিংহের উপর অধিষ্ঠিত। তৃনয়নী জগদ্ধাত্রী চতুর্ভুজা হলেও সিংহ ই তার বাহন। কথিত আছে মা দূর্গা মহিষাসুর কে বধ করলেও সে তার এক নতুন ঐরাবতের রূপ পায়। যার নাম করিন্দ্রাসুর। জগদ্ধাত্রী করিন্দ্রাসুকে বধ করেছিলেন বলে তাকে করিন্দ্রাসুরনিসূদণী বলা হয়। মা দূর্গা করিন্দ্রাসুকে বধ করার জন্য জগদ্ধাত্রী রূপ নেন।
তার দুই বাঁদিকের হাতে থেকে শঙ্খ ও শাঙ্গধনু এবং দুই ডান হাতে থাকে চক্র ও পঞ্চবাণ। এই পঞ্চবাণ দিয়ে করিন্দ্রাসুকে বধ করে। তাই দেবী মূর্তির পাদদেশে থাকা সিংহের পায়ের নিচে দেখা যায় মৃত ঐরাবতের দেহ।
পুরাণে এও বলা হয়, মহীশাশুর বধ হওয়ার পর দেবতারা খুব অহংকারী হয়ে ওঠেন। দেবতাদের এই অহংকার ভাঙ্গার জন্য দূর্গা জগদ্ধাত্রী রূপে পুনর্জন্ম আবির্ভাব করে। জগদ্ধাত্রী অগ্নি, বরুণ ও বারি দেবতাদের ডাকেন ও তাদের একটি তৃন দেখিয় বলে ঐ তৃনকে ভাসিয়ে বা দগ্ধ বা সরিয়ে দিতে। কিন্তু তাঁর সকলেই সব বল প্রয়োগ করে ও ব্যর্থ হয়ে দেবীর পূজা শুরু করে।
আমি গতকাল আমার এলাকায় একটি প্রাচীনতম ভাঙ্গা দালাল নামে খ্যাত মন্দিরের জগদ্ধাত্রী পূজা দেখতে গিয়েছিলাম। সত্যিই ঐ বিশাল অথচ শান্ত মায়ের মূর্তি আমাকে সম্মোহিত করেছে।
যদিও কৃষ্ণনগরের মহারাজ জগদ্ধাত্রী পূজা প্রথম এই বঙ্গদেশে শুরু করেন। কিন্তু জগদ্ধাত্রীর কথা কেন উপনিষদে উল্লেখ আছে।
জগদ্ধাত্রী পূজার দিন যে কোন ব্যবসা শুরু করা অত্যন্ত শুভ।
আপনাদের এই সামান্য তথ্য জানিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 5/6) Get profit votes with @tipU :)
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!