Betterlife The Diary game || 28 June 2024 মন মাতানো গল্প
اسلام عليكم و رحمةالله وبركاته
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোন,আশা করছি পরিবারের সবাইকে নিয়ে মহামহিম রবের মহিমায় ভালো আছেন,আলহামদুলিল্লাহ আমিও রহমতের সাগর রব্বুল আলামীন এর দয়ায় ভালো আছি।
আজ আবারও আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম নতুন আরেকটি ডায়েরি নিয়ে।আশা করবো শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকবেন ইনশাআল্লাহ।
গতকাল ফজরের আজানের পর পর ঘুম থেকে নিজে আগে উঠলাম,এরপর ছাত্রদের ডেকে দিলাম,অজু ইন্তেঞ্জা সেড়ে ফজরের নামাজটা পড়ে নিলাম,নামাজ শেষ করেই আমরা মাঠে যাওয়ার জন্য রেডি হলাম।পাশের রুমে গিয়ে একটু উঁকি দিলাম,আমার সহপাঠী ভাই রেডি হয়েছে কি না দেখার জন্য,গিয়ে দেখি উনি বলে টেপ প্যাচাচ্ছে,
যেহেতু আমরা খুব সকালেই মাঠে উপস্থিত হয়েছি, আর এসময় স্বাভাবিক ভাবেই মাঠে কেউ আসেনা তাই মাঠ সম্পুর্ণ আমাদের দখলেই ছিলো।
মাঠে উপস্থিত হয়ে একটু সেলফিও উঠাইলাম😎
প্লেয়ার সংখ্যা আজকে কম,আমাদের প্লেয়ার গুলো বিভিন্ন কাজে বাসায় চলে গিয়েছে,তাই আমরা নাম ব্যাটিং করে খেলার সিদ্ধান্ত নিলাম,আমরা মোট ৯ জন প্লেয়ার ছিলাম,আর আমার সংখ্যা ছিলো '৫'😔
এরপর আমাদের খেলা শুরু হয়ে গেলো,প্রথমবারে ০ রানেই আউট হয়ে যাই🥹,তবে পরের ম্যাচে টানা ৩ বলে ৩ ছক্কা মারি💪💪
প্রথম ম্যাচে জিরো রানে আউট হওয়াতে মনটা বেশ খারাপ হলো,তবে পরবর্তী ম্যাচে রান করতে পেরে অনেক আনন্দিত হলাম,আমাদের খেলার নিয়ম ছিলো যে বেশি রান করবে সে পরবর্তী ম্যাচে এক।
খেলাধুলার পর ক্ষুধা মেটানোর জন্য আমরা হোটেলের দিকে গেলাম,অর্ডার করলাম পরোটা ও ডাল ভাজি।
খাওয়া শেষ করে মাদ্রাসায় ফিরলাম,মাদ্রাসায় ফিরে হালকা ফ্রেশ হয়ে ঘুমাতে গেলাম,ঘুম থেকে উঠে গোসল সেড়ে নিলাম,তারপর জুমার নামাজের প্রস্তুতি নিলাম,এরপর মসজিদ প্রানে ছুটতে লাগলাম আমরা তিনজন।
মসজিদ যাওয়ার পথে অত্যান্ত সুন্দর একটি ফুল গাছের দেখা মিললো,ছবি উঠাতে একটুও ভূল করলাম না।
মসজিদে গিয়ে দেখলাম ইমাম সশেব হাদিস ও কুরআন থেকে অত্যান্ত মুল্যবান বয়ান পেশ করছেন,বয়ান গুলো মনোযোগ সহ শুনার চেষ্টা করলাম, ইমাম সাহেব আজকের বয়ানে দুইটা বই কিনে পড়তে বলেছেন,
১,আর রাহীকুল মাখতুম
২,রিয়াযুস সালেহিন
আলহামদুলিল্লাহ প্রথম বইটি আমার পড়া শেষ,আর দ্বিতীয় বইটির প্রথম খন্ড চলতেছে।উল্লেখিত বইগুলো প্রতিটি মুসলিমদের জন্য পড়া খুবই জরুরী বলে আমি মনে করি।
নামাজ শেষ হওয়ার পর বাহিরে এসে দেখি খুবই বৃষ্টি হচ্ছে,মসজিদে থেকে ফেরার কোন উপায়ও নেই।উপায়ন্তর না পেয়ে মসজিদে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলাম।
যখন বৃষ্টি কোন ভাবেই থামছেনা তখন মাদ্রাসায় ফোন করে কয়েকটা ছাটা নিয়ে আসতে বললাম,একটু পরেই দেখি আমাদের একজন স্টাফ ছাতা নিয়ে এসেছে,সে ছাতা নিয়ে আমরা দুজন শিক্ষক মাদ্রাসায় যাওয়া শুরু করলাম।
বৃষ্টি এত বেশি হচ্ছিলো যে ড্রেন গুলো ডুবে গিয়ে রাস্তাও ডুবে গিয়েছে,এই ডুবন্ত রাস্তায় আমরা আস্তে আস্তে আমাদের পায়ের ধাপ ফেলাচ্ছিলাম,যাতে আমাদের পড়ে থাকা কাপড় নষ্ট না হয়ে যায়।
খুব কষ্ট করে মাদ্রাসায় ফিরলাম, এসে দুপুরের খাবার খেয়ে মোবাইল নিয়ে এদিক সেদিক স্কল করছিলাম।সুয়ে থাকতে থাকতেই আছর হয়ে গেলো আছরের নামাজ আদায় করলাম,যেহেতু দিনটা শুক্রবার তাই আছরের পরে দরুদ শরীফ এর আমল করলাম।
اللهم صل على سيدنا محمد النبي الامي وعلى اله وسلم تسليما এই দরুদটি ৮০ বার পড়লাম।এই দরুদ যদি কেউ প্রতি শুক্রবার আছরের পর ৮০ বার পড়ে তাহলে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।
নামাজ ও দরুদ শেষে আমার সহপাঠী শিক্ষক এসে আমাকে জানালো আমাদের এক বাসায় দাওয়াত আছে, তাই আমরা দুজনে আমাদের সেই বন্ধুর বাসায় গেলাম,যাওয়ার পর আমাদের কে নাস্তা দেওয়া হলো।
যাওয়ার পর আমাদের দাওয়াতের কারণ বুঝতে পারলাম,যে বন্ধু দাওয়াত দিয়েছে আমাদের উনার বাবা এই বছরে হজ্ব করতে গিয়েছিলেন,তাই উনি চাচ্ছিলেন কয়েকটা আলেমের মেহমানদারি করাতে,সত্যিই খুব ভালো লাগছিলো হাজী সাহেবের কথা গুলো।উনাকে দেখতেই কেমন যেন একটা মায়া কাজ করছিলো,নবীর দেশের অনেক গল্প উনার মুখ থেকে শুনছিলাম,এক ধ্যানে উনার দিকে তাকিয়ে উনার কথা শুনছিলাম,চক্ষু আমার অশ্রু সিক্ত হতে লাগলো, এরপর আমাদের কে জমজম এর পানি দেওয়া হলো,আল্লাহর নাম নিয়ে পানি খেলাম ও দোয়া করলাম।একটা কথা বলে রাখি,নব্য হাজী সাহেবের হজ্ব করার জন্য একটা টাকাও খরচ হয়নি,একজন ব্যক্তি উনাকে হজ্ব করিয়েছেন,উনাকে যে আল্লাহ হজ্বের জন্য কবুল করেছেন সেটা উনার কল্পনার মধ্যেও ছিলোনা।স্মরণ রাখুন একটি কথা,আপনার টাকা থাকলেই আপনি হজ্ব করতে পারবেন না, হজ্ব করার জন্য প্রথমে আল্লাহ তায়ালার কবুলিয়্যাত জরুরী, যদি আল্লাহ তায়ালা কবুল করে নেন,তাহলে আপনার টাকা না থাকলেও উনি আপনাকে তৌফিক দিবেনই।
এরপর হাজী সাহেবের দোয়া নিয়ে আবারও মাগরিবের আগেই মাদ্রাসায় ফিরে এলাম।হাজী সাহেবের সাথে কাটানো সময় গুলো সুন্দর ছিলো।আমি সবার জন্য দোয়া করি সবাই আমার জন্যও দোয়া করবেন যাতে আল্লাহ তায়ালা আমাকে বারবার হজ্ব করার তৌফিক দান করেন আমিন ইয়া রব্বুল আলামীন।
এরপর মাদ্রাসায় ফিরে আসলাম।এই ছিলো আমার ডায়েরি যা ইতিমধ্যেই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি,আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি।
@habib35
X promotion link
https://x.com/MdHabib86056390/status/1807254164969546009?
TEAM 7
Congratulations! Your post has been upvoted through steemcurator09.Thank you dear @sahmie brother, for your support 🥰
Wa Alaikum Assalam @habib35 uh always on ur pleasure to read your diary.. ur post like you had a busy and productivess on day. the day of starting with Fajr prayer and then out for some cricket is a great way to stay active and spiritualy fulfilled. best wishes for uh & take care
My dear sister, I like your nice comment very much, thank you for your valuable comment.