১৫ আগষ্ট....
15 আগস্ট 1975। বাংলাদেশ স্বাধীনের সময়কালীন নেতৃত্বদানকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। শুধু তাকে হত্যা করে ঘাতকরা ক্ষান্ত হয়নি। তার পরিবারসহ বাড়িতে যারা ছিল সকল কে হত্যা করেছে। এমনকি তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। তাকেও তারা হত্যা করেছে। কিন্তু কি ছিল হত্যার পেছনে? কেন তারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে? আজও সে রহস্য উদঘাটন হয়নি। আর হবেও না।কে করবে সে রহস্যের উদঘাটন? এখনকার সময়ে যেভাবে ইতিহাস বদলাচ্ছে তাহলে সে রহস্যের উদঘাটন করবে কে? কিভাবে জানবো আমরা সত্যিটা। আগামী প্রজন্মের যারা আসবে তারাতো এদেশের স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস পাবে। তারা তো সঠিক ইতিহাস কখনোই জানতে পারবে না। কেন এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল? কে স্বাধীন করেছিল? কিভাবে স্বাধীন করেছিল? কত মানুষের প্রাণ গিয়েছিল? এ ব্যাপারে তারা জানবে না। হ্যাঁ তারা একটা ইতিহাস জানবে কিন্তু সেই ইতিহাস বিকৃত ইতিহাস।
কারন? কারণটা হলো আমরা বার বার দেখে আসছি যে সরকার ক্ষমতায় আসে সে তার নিজস্ব মত অনুযায়ী নিজের সুবিধা অনুযায়ী ইতিহাস রচনা করে। এজন্য আমরা ইতিহাস সঠিক ইতিহাস আমাদের আগামী প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে পারব না। সত্য ইতিহাস সঠিক ইতিহাস রচনা করার যে উদ্যোগ নিচ্ছে তাকে হত্যা করা হচ্ছে। তাকে জেল-জুলুম নির্যাতন করা হচ্ছে। মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হচ্ছে। তাহলে কি পেয়েছি আমরা স্বাধীন করে? 30 লক্ষ মা বোনের কেন শহীদ হয়েছে? তাদের রক্তের মূল্য আমরা কিভাবে দিচ্ছি? আমরা তাদের রক্ত কে অপমানিত ছাড়া আর কি করছি? শুধু ষোলই ডিসেম্বরে মাইক বাজিয়ে বিজয় দিবস পালন করলেই তাদের রক্তের প্রতি সম্মান দেখানো হয় না। শুধু একুশে ফেব্রুয়ারি খালি পায়ে হেঁটে মাইক বাজালেই তাদের রক্তের প্রতি সম্মান করা হয় না।
Source
তাদের রক্তের প্রতি সম্মান যদি করতেই হয় তাহলে যে উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ স্বাধীন এর পিছনে যে উদ্দেশ্য ছিল সে উদ্দেশ্য জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। জনগণের বাক স্বাধীনতা, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। তাহলেই তাদের রক্তের প্রতি সম্মান করা হবে। তাদের আত্মা শান্তি পাবে। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পিছনে যে উদ্দেশ্য ছিল তা সফল হবে।